আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in পবিত্রতা (Purity) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি অনেক বেশি মাত্রায় ওয়াসওয়াসাজনিত সমস্যায় ভুগছি। নামাজ, ওযু, পবিত্রতা সব নিয়েই। নামাজে মনে হয় ভুল পড়লাম কিনা, বায়ু বের হলো কিনা, বা কোন এক জায়গা থেকে নাপাক সমস্ত জামাকাপড় থেকে চুলে পর্যন্ত ছড়িয়ে গেল কিনা এমন। এখন কোনটা শয়তানের ওয়াসওয়াসা আর কোনটা আসলেও হচ্ছে তা বুঝতে পারিনা। কারণ অনেক জায়গায় নাপাক লাগছে বলে মনে হলেও অনেক সময় চিহ্ন পাইনা, আবার মনে হয় যে চিহ্ন শুকিয়েও যেতে পারে কিন্তু হয়তো নাপাক ছিল। এতকিছুর মাঝে নামায পড়া খুবই কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
আমি কি কিছুদিন সবকিছুকেই শয়তান এর ওয়াসওয়াসা ধরে নিয়ে নিজেকে শুধরানোর চেষ্টা করতে পারি? আপনাদের মত জানতে চাচ্ছিলাম।

আমার আরো কিছু প্রশ্ন ছিল। এত বড় প্রশ্নের জন্য আগে থেকেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
১। আমার প্রস্রাব/পায়খানার পরে পরিষ্কার হওয়ার সময় নাপাক পানির ছিটা কোথায় লাগে কিনা সন্দেহ হয় বলে আমি প্রতিবার পুরো নিচের অংশ ধুয়ে বের হই। এতে পানির অনেক বেশি খরচ হয়।
এভাবে না ধুয়ে বরং হাতে পানি নিয়ে মাসেহ করে দিলে কি এই ছিটেফোটার নাপাকি দূর হবে?

২। বাচ্চারা যে তোশকে প্রস্রাব করে, বা তোষকে প্রস্রাবজাতীয় নাপাকি লাগলে সেই তোশক শুকিয়ে নিলেই কি পাক হয়ে যায়? পরবর্তীতে তোশকে ভেজা কিছু লাগলে কি তা নাপাক হয়ে যায়? (সেই তোশকের উপর চাদর পারলে, চাদর ভিজলে কি চাদরও নাপাক?)

৩। পায়জামায় প্রস্রাবের ছিটেফোঁটা থাকলে বা প্রস্রাব লাগলে, সেই পায়জামা নিয়ে কাঠের চেয়ারে বসলে বা অন্য ফার্নিচার এর সাথে লাগলে তা ভিজা ন্যাকড়া দিয়ে মুছে দেয়া কি যথেষ্ট?
৪। নাপাক জিনিসের উপর হালকা ঘর্মাক্ত হাত/পা লাগলে হাত/পা নাপাক হয়ে যায়?

৫। এক ফোটা প্রস্রাব পায়জামায় লাগলে কি তা জামা/বিছানার সাথে ছোয়া লেগে তা ও নাপাক হয়ে যায়?

আবারো মাফ চেয়ে নিচ্ছি এত বড় প্রশ্নের জন্যে। দয়া করে জবাব দিবেন। আর আমার জন্যে দোয়া করবেন যাতে সুস্থ হয়ে যেতে পারি ইন শা আল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (713,920 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

এরকম শয়তানি প্ররোচনা থেকে বাচতে হলে, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিধিনিষেধকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করতে হবে।সাথে সাথে ঐ চিন্তা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হবে।এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া সহ আল্লাহর যিকিরে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখতে পারলেই তবে এরকম শয়তানী ওয়াসওয়াসা থেকে নিজেবে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।(আল-মিনহাজ-২/১৫৫-১৫৬)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে।তবে তারপূর্বে আপনার সাথে ফোনে কথা বলতে চাই আপনি ফোন দিবেন।দয়া করে এ বিষয়ে নতুন কোনো প্রশ্ন করবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (7 points)
ওয়াসওয়াসার  এই সমস্যা গুলি  আমার।আমি কি আপনাদেরকে  ফোনে কথা বলতে পারি।
by (713,920 points)
01717917686 এই নাম্বারে কল দিবেন।শনি রবি সোম এই তিনদিন রাত ৯ টা থেকে ১১

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...