ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সোমবারে রোযা রাখাকে কেন্দ্র করে জন্মদিন পালনের কোনো সুযোগ নেই।কেননা শুধু জন্ম হয়েছেন হিসেবে সেদিন রাসূলুল্লাহ সাঃ রোযা রাখেন নি।বরং অনেকগুলো কারণে সেদিন রোযা রেখেছিলেন।
বিজাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে জন্মদিন পালনের কোনো সুযোগ নেই।এবং এ হিসেবে কোনো অনুষ্টান মাহফিলেরও কোনো সুযোগ নেই।
এবং সে রকম অনুষ্টানে শরীক হওয়া ও জায়েয হবে না। তবে দিন তারিখ ঠিক না করে ঈসালে সওয়াব হিসেবে কারো জন্য কেউ কোনো দু'আর আয়োজন করলে সেটা মন্দ হবে না।
এক মুসলমানের জন্য অন্য মুসলমানের অবশ্যই দু'আ করা উচিৎ এবং এটাই কাম্য।বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/7747
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু হাদিয়া গ্রহণ করা সুন্নত। যদি ঐ আত্মীয় আপনাদের নাকট হাদিয়া প্রেরণ করে, তাহলে আপনি সেই হাদিয়া গ্রহণ করে নিতে পারবেন। তবে বার্ড-ডে প্রথার যাতে ব্যাপকতা না আসে, সেদিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে। যদিও এটা বার্থডের খাবার, কিন্তু যেহেতু সে এই মালের মালিক, তাই আপনার জন্য খাওয়া বৈধ।তবে কোনো মিসকিনকে দিয়ে দেওয়াই তাকওয়ার দাবী।
(২)
শাশিড়র ব্যাপারে আপনি যদি স্বামীকে কিছু না বলেন, তাহলে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। তবে পরিবেশ যদি এমন হয়, যে স্বামী মাইন্ড করবে না, এবং পরিবারে কোনো সমস্যা তৈরী হবে না, তাহলে পরিবারকে সংশোধন করার নিয়তে আপনি মায়ের ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড সম্পর্কে মহব্বতের সাথে অবগত করতে পারেন।
(৩)
না, এই জানতে চাওয়া গীবত হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1715