ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ভুমিকা
মহিলা একা নামায পড়ুক বা জমাতের সাথে পড়ুক তাদের জন্য ইক্বামত নেই।
আহসানুল ফাতাওয়া-২/২৮৩
নামাযের জন্য আযান ফরয বা ওয়াজিব নয় বরং সুন্নাত।
ফাতাওয়ায়ে ক্বাসিমিয়্যাহ-৫/৩৬২
ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেনঃ
(ﻗَﻮْﻟُﻪُ: ﻟِﻠﺮِّﺟَﺎﻝِ) ﺃَﻣَّﺎ اﻟﻨِّﺴَﺎءُ ﻓَﻴُﻜْﺮَﻩُ ﻟَﻬُﻦَّ اﻷَْﺫَاﻥُ ﻭَﻛَﺬَا اﻹِْﻗَﺎﻣَﺔُ، ﻟِﻤَﺎ ﺭُﻭِﻱَ ﻋَﻦْ ﺃَﻧَﺲٍ ﻭَاﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻣِﻦْ ﻛَﺮَاﻫَﺘِﻬِﻤَﺎ ﻟَﻬُﻦَّ؛ ﻭَﻷَِﻥَّ ﻣَﺒْﻨَﻰ ﺣَﺎﻟِﻬِﻦَّ ﻋَﻠَﻰ اﻟﺴَّﺘْﺮِ، ﻭَﺭَﻓْﻊُ ﺻَﻮْﺗِﻬِﻦَّ ﺣَﺮَاﻡٌ ﺇﻣْﺪَاﺩٌ، ﺛُﻢَّ اﻟﻈَّﺎﻫِﺮُ ﺃَﻧَّﻪُ ﻳُﺴَﻦُّ ﻟِﻠﺼَّﺒِﻲِّ ﺇﺫَا ﺃَﺭَاﺩَ اﻟﺼَّﻼَﺓَ ﻛَﻤَﺎ ﻳُﺴَﻦُّ ﻟِﻠْﺒَﺎﻟِﻎِ ﻭَﺇِﻥْ ﻛَﺎﻥَ ﻓِﻲ ﻛَﺮَاﻫَﺔِ ﺃَﺫَاﻧِﻪِ ﻟِﻐَﻴْﺮِﻩِ ﻛَﻼَﻡٌ ﻛَﻤَﺎ ﺳَﻴَﺄْﺗِﻲ ﻓَﺎﻓْﻬَﻢْ.
আযান পুরুষদের জন্য সুন্নাত।এবং মহিলাদের জন্য আযান-ঈক্বামত মাকরুহ। হযরত আনস রাযি এবং ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,যে তারা মহিলাদের জন্য আযান-ইক্বামতকে অপছন্দ করতেন।কেননা মহিলাদের অবস্থান পর্দার আড়ালে।এবং তাদের স্বরকে পর পুরুষের সামনে উচ্ছ করা হারাম।নাবালেক বালকদের জন্য আযান-ঈক্বামত মাসনুন যখন তারা নামাযের ইচ্ছা পোষন করবে।যেভাবে বালেগদের জন্য মাসনুন।তবে যদিও নাবালেক কর্তৃক বালেগদের জন্য আযান-ঈক্বামত প্রদাণ মাকরুহ।এবং এ বিষয়ে আলোচনা রয়েছে।
{রদ্দুল মুহতার;১/৩৮৪}
قال (وليس على النساء أذان ولا إقامة) لأنهما سنة الصلاة بالجماعة وجماعتهن منسوخة لما في اجتماعهن من الفتنة وكذلك إن صلين بالجماعة صلين بغير أذان ولا إقامة
মহিলাদের উপর আযান-ঈক্বামত নেই।কেননা আযান-ঈক্বামত হচ্ছে জামাতের সাথে নামায আদায়কালীন সুন্নাত।আর মহিলাদের জামাতের সাথে নামায মানসুখ বা রহিত কেননা মহিলাদের জমায়েত ফিৎনা আশংকাজনক।ঠিকতেমনিভাবে যদি তারা জামাতে নামায পড়েও নেয় তবে যেন তারা আযান-ঈক্বামত ব্যতীত পড়ে।
মাবসুত-সারখাসী-১/১৩৩)
আযান প্রচলনের হেকমত বা রহস্য হিসেবে
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ
"আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় "বর্ণিত রয়েছে,
شُرِعَ الأَْذَانُ لِلإِْعْلاَمِ بِدُخُول وَقْتِ الصَّلاَةِ، وَإِعْلاَءِ اسْمِ اللَّهِ بِالتَّكْبِيرِ، وَإِظْهَارِ شَرْعِهِ وَرِفْعَةِ رَسُولِهِ، وَنِدَاءِ النَّاسِ إِلَى الْفَلاَحِ وَالنَّجَاحِ
তরজমাঃ-
নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশ হয়েছে, একথা বোঝানোর জন্য আযানের প্রচলন শুরু হয়।শুধু তাই নয় বরং তাকবীরের মাধ্যমে আল্লাহর নামকে উচু করার স্বার্থে।এবং আল্লাহ তা'আলার বিধি-বিধানকে প্রকাশ করতে ও তার রাসূল সাঃ এর মর্যদাকে বৃদ্ধি করতে সর্বোপরি লোকদিগকে কল্যাণ ও কামিয়াবির দিকে ডাকতে আযানের প্রচলন শুরু হয়।
(২/৩৫৯)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
ফুকাহায়ে কেরামদের উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা বুঝা যায় যে,আযান হচ্ছে নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশের ঘোষক।কিন্তু যেহেতু আযানের পরপরই নামায শুরু করাটা সুবিধাজনক। তাই ওয়াক্ত প্রবেশের সাথে সাথেই আযান না দিয়ে বরং হাদীসে বর্ণিত মুস্তাহাব ওয়াক্তের কিছু পূর্বে আযান দেয়া হয়ে থাকে।
সুতরাং প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্ত হয়ে গেলে আযান হোক বা নাই হোক, শোনা যাক বা নাই যাক।
নামায পড়ে নিলে নামায অাদায় হয়ে যাবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
আযানের সময় নামায পড়লে অর্থাৎ ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে যদি কেউ নামাযে দাঁড়িয়ে যায়, এবং তার নামাজ চলাকালীন সময়েই আযান শুরু হয়ে যায়।তাহলে এতে তার নামায ফাসিদ হবে না।তবে উত্তম হল,মহল্লার আযান হওয়ার পর আযানের জবাব প্রদানের পর নামাযে দাড়ানো।
(২)
গ্রামে অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ যাবৎ বিভিন্ন মসজিদে আযান হয়।এক্ষেত্রে কেউ তার নিকটের মসজিদের আযানের জবাব দেয়ার পরই নামায শুরু করবে।এটাই উত্তম।সবগুলো আযানের জবাব প্রদান করতে না।তবে কেউ কোনো একটা মসজিদের আযান শ্রবণ করার পর নামায পড়ে নিলেও নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
(৩)
ওয়াক্ত হওয়ার পর পর কেউ নামাজ শুরু করে দিলে যদি কেউ নামাজের পরও আযান শুনে, এতে নামাজ আদায়ের পরও আযানের জবাব দেওয়া মুস্তাহাব।