আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
203 views
in সালাত(Prayer) by (8 points)
মসজিদে জামায়াত চলাকালীন কোনো মুসল্লি যদি অজ্ঞান হয়ে বা যেকোনো কারনে পড়ে যায় তাহলে আমার করনীয় কী?

ওই মুসল্লি যদি আমার একেবারে কাছাকাছি থাকে তাহলে কি করতে হবে?
উনি যদি আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ও হোন তাহলে ঐ সময়ে আমার কি কর্তব্য?

নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবো? নাকি নামাজ বাদ দিয়েই যেকোনো ব্যবস্থা নিবো?

1 Answer

–1 vote
by (713,000 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1855 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
মা বাবার ডাকে জবাব দেয়ার জন্য নামায ভঙ্গ করা সম্পর্কে মূলনীতিতে আমরা বলেছি,

ইমাম নববী রাহ বলেন,
" قَالَ الْعُلَمَاء : كَانَ الصَّوَاب فِي حَقّه إِجَابَتهَا لِأَنَّهُ كَانَ فِي صَلَاة نَفْل , وَالِاسْتِمْرَار فِيهَا تَطَوُّع لَا وَاجِب , وَإِجَابَة الْأُمّ وَبِرّهَا وَاجِب , وَعُقُوقهَا حَرَام , وَكَانَ يُمْكِنهُ أَنْ يُخَفِّف الصَّلَاة وَيُجِيبهَا ثُمَّ يَعُود لِصَلَاتِهِ ... " انتهى
উলামায়ে কেরাম বলেন,জুরাইজের উচিৎ ছিলো,মায়ের ডাকের জবাব দেয়া।কেননা উনিতো নফল সালাতে ছিলেন।নফল নামাযকে সম্পন্ন করা মুস্তাহাব।ওয়াজিব নয়।অন্যদিকে মায়ের ডাকে জবাব দেয়া এবং মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার করা ওয়াজিব।এবং মায়ের নাফরমানি করা হারাম।উনার জন্য সম্ভব ছিলো যে,নামাযকে সংক্ষেপণ করে মায়ের ডাকে জবাব দেয়া উনার জন্য সম্ভব ছিলো।অতঃপর ফিরে গিয়ে আবার নামাযকে সমাপ্ত করবেন।(আল মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২০/৩৪২)

ফাতাওয়ায়ে শামী(২/৫৪)তে বর্ণিত রয়েছে,
" ولو دعاه أحد أبويه في الفرض لا يجيبه ، إلا أن يستغيث به " انتهى .أي يطلب منه الغوث والإعانة .
ফরয নামাযে মাতাপিতার কেউ ডাকলে সে ডাকের জবাব প্রদান ওয়াজিব নয়। তবে যদি মাতাপিতা সাহায্যর আবেদন করে, তখন মাতাপিতার ডাকে জবাব দেয়া যাবে।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতা ফরয নামাযে ডাক দিলে, তখন জবাব দেয়া ওয়াজিব না। কিন্তু নফল নামাযে ডাক দিলে,যদি অনুমান করা যায় যে,মাতাপিতা সন্তুষ্ট হবেন না, তাহলে জবাব না দেয়াই উত্তম। কিন্তু যদি অনুমান করা হয় যে,মাতাপিতা নারাজ হবেন,তাহলে এমতাবস্থায় জবাব দেয়াই উচিৎ।হ্যা অবশ্যই পরবর্তীতে উক্ত নামাযকে সম্পন্ন করা হবে।এক্ষেত্রে কোনো কাফফারা আসবে না।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু নামাযে কেউ বেহুশ হলে তার সাহায্যর প্রয়োজন হয়,তাই এজন্য নামায ভঙ্গ করা যাবে।অনুমোদন রয়েছে।যে কোনো একজন সাহয্যর জন্য নামায ভঙ্গ করে ফেললে তখন অন্যদের জন্য নামায ভঙ্গ করা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 53 views
0 votes
1 answer 92 views
0 votes
1 answer 222 views
0 votes
1 answer 113 views
...