আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (66 points)
আসসালামু আলাইকুম।

কেউ যদি হানাফী মজহাবের অনুসারী হয়। সবকিছু হানাফী মাযহাবের ফতোয়া অনুযায়ী করে। কিন্তু শুধু একটা মাস'আলার ক্ষেত্রে মানে পিরিয়ডের সময় কোর'আন পড়ার ক্ষেত্রে অন্য মাযহাবের মাসা'আলা ফলো করে তাহলে কি কোনো গুনাহ হবে? কোনো ইমামই এটা সমর্থন করেন না যে, কেউ এই মাযহাব থেকে একটা আর ঐ মাযহাব থেকে আরেকটা ফতোয়া নিয়ে নিজের সুবিধামতো আ'মল করবে। এতে মূলত প্রবৃত্তির অনুসরণ করা হয়। কিন্তু কেউ যদি হিফজের জন্য  এসময় পড়তে চায়। ৭/১০ দিনের গ্যাপে হিফজকৃত অংশ ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কেউ কি চাইলে এমতাবস্থায় ফোন দেখে পড়তে বা শুনে শুনে হিফজ করতে পারবে?হিফজের উস্তাদাকে শুনাতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلِمَةَ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَأْتِي الْخَلاَءَ فَيَقْضِي الْحَاجَةَ ثُمَّ يَخْرُجُ فَيَأْكُلُ مَعَنَا الْخُبْزَ وَاللَّحْمَ وَيَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَلاَ يَحْجُبُهُ - وَرُبَّمَا قَالَ وَلاَ يَحْجُزُهُ - عَنِ الْقُرْآنِ شَىْءٌ إِلاَّ الْجَنَابَةُ .

আবদুল্লাহ ইবনু সালামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) এর নিকট গেলাম। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়খানায় গিয়ে তাঁর প্রাকৃতিক প্রয়োজন সেরে বের হয়ে এসে আমাদের সাথে রুটি ও গোশত খেতেন, কুরআন তিলাওয়াত করতেন এবং তাঁকে কোন জিনিস এ থেকে বিরত রাখতো না। রাবী কখনো বলতেন, গোসলের প্রয়োজন হয় এরূপ নাপাক অবস্থা ব্যতীত কোন জিনিস তাঁকে কুরআন তিলাওয়াত থেকে বিরত রাখতো না।

তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: তিরমিযী ১৪৬, নাসায়ী ২৬৫-৬৬, আবূ দাঊদ ২২৯, আহমাদ ৬২৮, ৬৪০, ৬৮৮, ৮৪২, ১০১৪, ১১২৬, ইবনু মাজাহ ৫৯৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৪৬০, যঈফ আবূ দাউদ ৩১, ইরওয়াহ ১৯২, ৪৮৫।

জমহুর ফুকাহায়ে কেরামদের মতে হায়েজ অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত জায়েজ নেই।
তবে কুরআন তিলাওয়াত শোনা যাবে,এতে কোনো সমস্যা নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
   
عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131

অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না।
(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১,
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১,
মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১,
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০,
মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩)

আরো জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
https://www.ifatwa.info/37693/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
কিছু ফুকাহায়ে কেরামগন কঠিন প্রয়োজনের দিক লক্ষ্য করে জায়েযের এই ছুরত বলেছেন যে প্রত্যেক শব্দ ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়বে।
যেভাবে শিক্ষক শিখানোর সময় ভেঙ্গে ভেঙ্গে শিখায়।
(নাজমুল ফাতওয়া ২/৯৮)
যেমন الحمد কয়েক বার পড়বে, لله কয়েকবার পড়বে।
رب কয়েকবার পড়বে। العالمين কয়েকবার পড়বে।
এক বারে একসাথে মিলিয়ে পড়বেনা।
,
★অন্যত্রে এসেছেঃ
হায়েজ অবস্থায়  কুরআন শরিফ পড়া সম্পুর্ন ভাবে নিষেধ। 
তাই হেফজ করতে চাইলেও সেই সময়ে কুরআন  শরিফ  পড়া যাবেনা।
এটাই শরীয়তের  হুকুম।
সেক্ষেত্রে সময়ের ক্ষতির ফিকির করবেনা।
ক্ষতি হয় হোক,তারপরেও সেইকদিন  বিরতি দিবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১০৮)
.
★★সুতরাং হায়েজ অবস্থায় সতর্কতামূলক কুরআন না পড়াই উচিত।
মনে মনে,বা আয়াত ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়া যদিও জায়েজ বুঝা যায়,তবে এক্ষেত্রে পুরো আয়াত বা অধিকাংশ আয়াত অনেক সময় হয়তোবা মুখে উচ্চারিত হতেও পারে,মুখস্ত করার সময় এটির সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই সতর্কতামূলক হায়েজ চলাকালীন হেফজ বন্ধ রাখাই উচিত।

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
কোনো ছাত্রীর হায়েজ হলে সেক্ষেত্রে সে উক্ত দিন গুলিতে কুরআন পড়াশোনা বন্ধ রাখবে।
প্রয়োজনে মনে মনে পড়তে পারবে।

আর যদি উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়তে পারে,তাহলে এভাবে পড়তে পারবে।

তবে কোনোভাবেই যেনো একাধিক শব্দ একসাথে উচ্চারণ না হয়,সেদিকে সর্বোচ্চ খেয়াল রাখবে।

এক্ষেত্রে কোনো ভাবেই ভিন্ন মাযহাবের মাসয়ালার উপর আমল করার সুযোগ নেই।

কোনোক্রমেই হিফজের উস্তাদাকে কুরআন  শুনাতে পারবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 91 views
...