ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আকিকার ছাগলের টাকা বোন দিবে। মানুষকে খাওয়ানো হলে চাল,ডাল, মসলা ইত্যাদি যা যা প্রয়োজন,তার সবটাই তার বাবা দিবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না। এভাবে আকিকা দিলে হবে।
আকিকার পশুর ক্ষেত্রে নিয়ম হল,কুরবানির মত গরু হলে দুই বৎসর এবং বকরি হলে এক বৎসর হতে হবে।
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لَا تَذْبَحُوا إلَّا مُسِنَّةً إلَّا أَنْ يَعْسُرَ عَلَيْكُمْ فَتَذْبَحُوا جَذَعَةً مِنْ الضَّأْنِ
তোমরা (কুরবানীর জন্য) মুসিন্নাহ ব্যতীত যবাই করো না। যদি সম্ভব না হয় তবে ছয় মাস বয়সী ভেড়া বা দুম্বা। (সহীহ মুসলিম ১৯৬৩)
(২)
কেউ আল্লহর কাছে ওয়াদা করল যে জীবনে নামায বাদ দিবে না, আওয়াল ওয়াক্তে পড়বে৷ জ্বর আসায় সে ঘুম থেকে উঠতে পারে নি। আযান দেয়ার প্রায় ৩০ মিনিট পর উঠেছে। কিন্তু সে আযান শুনেছিল।
জ্বরের কারণে ঘুমের কারণে উঠতে পারেনি। এক্ষেত্রে তাকে ওয়াদা ভাঙার কাফরারা আদায় করতে হবেনা।প্রথম কথা হল, ওয়াদা ভঙ্গের কোনো কাফফারা নেই বরং শুধুমাত্র ইস্তেগফার করতে হবে।দ্বিতীয়ত এখানে সে মা'যুর তাই ওয়াদাও ভঙ্গ হবে না।
(৩)
বাসি খাবার খাওয়া সুন্নাহর খেলাপ, সরাসরি এমন কোনো কথা শুনিনি।হ্যা, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা অবশ্যই সুন্নত।
(৪)
ক্লাসে সর্বদা উপস্থিত থাকবেন।এবং মনযোগ সহকারে ক্লাসে উস্তাদদের কথাকে শুনবেন।
(৫)
ওযুর আগে 'বিসমিল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহ' বলে ওযু করলে যতক্ষণ অবধি ওযু থাকবে ততক্ষণ সওয়াব লিখা হবে। এমন কথা বিশুদ্ধ বর্ণনায় শুনিনি।তবে বিসমিল্লাহ বলা সুন্নত।