আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
125 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

১. কলেজে  আমাদের ছেলেমেয়ে একসাথে ক্লাস করতে হয়। মেয়েদের সংখ্যা অনেক কিন্তু ছেলে হচ্ছে মাত্র ৬-৭ জন । তাদের ও আমাদের সারির মাঝে বেশ ফাকা জায়গা। ছেলেদের সাথে কোনো প্রকার কথাবার্তা বলি না এমনকি কোনো প্রয়োজনেও কথা বলতে যাই না। তাদের দিকে তাকানো থেকেও বিরত থাকার চেষ্টা করি। এখন অনেক কে বলতে দেখেছি যে সহশিক্ষা হারাম ! আমার কলেজের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত বললাম এখন এক্ষেত্রেও কি আমার গুনাহ হচ্ছে এমন সহশিক্ষায়  থাকার জন্য  ?

২. হায়েজের রক্ত কাপড়ে লেগে শুকিয়ে গেলে সেটি অনেক চেষ্টা করেও যদি তোলা না যায় !! বার বার ধোয়ার পরও একটা ছাপ রয়ে যায়  তাহলে কি সেই কাপড় পড়ে সালাত আদায় করা যাবে‌ ?
৩. মাজহাব কি জেনেছি ক'দিন হলো। পরিবারের কারোই এগুলা নিয়ে কোনো ধারনা নেই। এমন কি কিছু বইয়ের নাম সাজেস্ট করতে পারেন যেগুলো পড়লে হানাফি ও সালাফি বা অন্য ২ টো মাজহাব সম্পর্কে জানতে পারবো।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাবঃ-



https://www.ifatwa.info/27006/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছেঃ 

দ্বীনি শিক্ষা হোক,বা দুনিয়াবি শিক্ষা হোক,ইসলামের বিধান হলো ছেলেরা ছেলেদের প্রতিষ্ঠানে এবং মেয়েরা মেয়েদের প্রতিষ্ঠানে পড়বে। বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে এর প্রতি সর্বোচ্চ লক্ষ রাখা ও গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক। 

 

কেননাআল্লাহ তাআলা বলেন,

زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ النِّسَاء

মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী…। (সূরা আলি ইমরান ১৪)

 

রাসুলুল্লাহ  বলেছেন,

مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنْ النِّسَاءِ

আমি আমার পরে মানুষের মাঝে পুরুষদের জন্য নারীদের চাইতে অধিকতর ক্ষতিকর কোন ফিতনা রেখে যাই নি।(বুখারী ৪৮০৮ মুসলিম ২৭৪০)

 

ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমাতে এসেছে,

 فلا يجوز للمرأة أن تَدرس أو تعمل في مكان مختلط بالرجال والنساء ، ولا يجوز لوليها أن يأذن لها بذلك

সুতরাং মেয়েদের জন্য এমন প্রতিষ্ঠানে পড়া-লেখা কিংবা চাকরি করা জায়েয হবে না যেখানে নারী-পুরুষের সহাবস্থান রয়েছে এবং অভিবাকের জন্য জায়েয হবে না তাকে এর অনুমতি দেয়া।  (ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা ১২/১৫৬)

 

 একান্ত অপারগ অবস্থায় বা বিকল্প কোন পথ না পেলে এসব প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা জায়েয আছে। কেননাالضرورات تبيح المحظورات জরুরত নিষিদ্ধ কাজকে সিদ্ধ করে দেয়। (আলআশবাহ ওয়াননাযাইর ১/৭৮)

 

তবে সবোর্চ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরিযাতে পর্দা লঙ্ঘন বা আল্লাহর অসন্তুষ্টি মূলক কার্যক্রম সংঘটিত না হয়। কেননাআল্লাহ তাআলা বলেন,

فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ

অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর। (সূরা তাগাবুন ১৬)

 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন

যতদিন পর্যন্ত এই দেশে পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে উলামায়ে কেরামগন কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

 

১/ শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।

 

২/ পরিপূর্ণ পর্দা ও চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না। মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না। সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে। ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১;

 

সহ শিক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 

https://www.ifatwa.info/434

 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

যতদিন পর্যন্ত এই দেশে পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে উপরোক্ত শর্তাদির সাথে উলামায়ে কেরামগন কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

সুতরাং আপনি চেহারা, হাত,পা ঢেকে পূর্ণ পর্দা কিরে উপরোক্ত শর্তগুলি মেনে উক্ত প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া,ক্লাশ চালিয়ে যেতে পারবেন।  

(০২)
যদি উক্ত কাপড় শরীয়াহ নীতিমালা মেনে তিনবার ধোয়া হয়ে থাকে,প্রত্যেকবার নিংড়ানো হয়ে থাকে, তাহলে উক্ত কাপড় পাক হয়ে গিয়েছে।
দাগ/ছাপ থেকে যাওয়ায় সমস্যা নেই। 
সেই কাপড় পড়ে সালাত আদায় করা যাবে।

(০৩)
আপনি হানাফি মাযহাব সম্পর্কে জানতে,এর বিস্তারত আমলের পদ্ধতি জানতে আহকামে জিন্দেগী পড়তে পারেন। 

অন্যান্য ৩ মাযহাবের প্রচলন যেহেতু আমাদের দেশে তেমন নেই,তাই বাংলা ভাষায় তাদের পূর্ণ মাসয়ালা সম্বলিত  কিতাবাদি রচিত হয়েছে কিনা, আমার জানা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 229 views
...