ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
□ কুফরী বাক্যর অর্থ জানা নেই এবং বলার ইচ্ছে নেই তবে মুখ ফসকে
কোনো কুফরী বাক্য মুখ থেকে উচ্ছারণ হয়ে গেছে, এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কাফির হবে
না। যেমন হযরত আবু যর রাযি. থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ رضي الله عنه
قَالَ :قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :(إِنَّ اللَّهَ
تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ)
রাসূলুল্লাহ
সাঃ বলেছেন,নিশ্চয়
আল্লাহ তা'আলা আমার
উম্মত থেকে ভূল ভ্রান্তি এবং নিরুপায় মূলক কাজ কে ক্ষমা করে দিয়েছেন। (সুনানু উবনি
মা'জা-২০৪৩) আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/3012/?show=3012#q3012
□ হাদীস শরীফে এসেছে-
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ
الرَّازِيُّ، وَيُوسُفُ بْنُ مُوسَى الْقَطَّانُ الْبَغْدَادِيُّ، قَالاَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَغْرَاءَ أَبُو زُهَيْرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ،
عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " يَوَدُّ أَهْلُ الْعَافِيَةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حِينَ يُعْطَى
أَهْلُ الْبَلاَءِ الثَّوَابَ لَوْ أَنَّ جُلُودَهُمْ كَانَتْ قُرِضَتْ فِي
الدُّنْيَا بِالْمَقَارِيضِ " . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ
بِهَذَا الإِسْنَادِ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ
هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ عَنْ مَسْرُوقٍ
قَوْلَهُ شَيْئًا مِنْ هَذَا .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে বিপদে পতিত (ধৈর্যধারী) মানুষদের যখন প্রতিদান
দেয়া হবে, তখন (পৃথিবীতে) বিপদমুক্ত মানুষেরা আকাঙ্ক্ষা (পরিতাপ) করবে, হায়! দুনিয়াতে যদি কাঁচি দ্বারা
তাদের শরীরের চামড়া কেটে টুকরা টুকরা করে দেয়া হতো। সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং- ২৪০২
□ অন্য এক হাদীসে এসেছে-
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى،
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي
سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" مَا يَزَالُ الْبَلاَءُ بِالْمُؤْمِنِ وَالْمُؤْمِنَةِ فِي نَفْسِهِ
وَوَلَدِهِ وَمَالِهِ حَتَّى يَلْقَى اللَّهَ وَمَا عَلَيْهِ خَطِيئَةٌ "
. قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মু’মিন নারী-পুরুষের উপর, তার সন্তানের উপর ও তার ধন-সম্পদের
উপর অনবরত বিপদাপদ লেগেই থাকে। সবশেষে আল্লাহ্ তা‘আলার সাথে সে গুনাহমুক্ত অবস্থায়
মিলিত হয়। সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং- ২৩৯৯
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
■ প্রথমে আমি বলবো আপনি ধৈর্য্যধারণ
করবেন। আল্লাহ তায়ালা আপনার অনেক অনেক গোনাহ মাফ
করে দিবেন।
কারণ, হাদীস শরীফে এসেছে-
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে বিপদে পতিত
(ধৈর্যধারী) মানুষদের যখন প্রতিদান দেয়া হবে, তখন (পৃথিবীতে) বিপদমুক্ত মানুষেরা আকাঙ্ক্ষা
(পরিতাপ) করবে, হায়! দুনিয়াতে যদি কাঁচি দ্বারা তাদের শরীরের চামড়া কেটে টুকরা
টুকরা করে দেয়া হতো। সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং- ২৪০২
তবে সুস্থতার জন্য আল্লাহ তায়ালার
কাছে বেশী বেশী দুআ করবেন। বিশেষ করে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েও দুআ করবেন। আমরাও দুআ
করি আল্লাহ তায়ালা যেনো আপনাকে পরিপূর্ণ সুস্থতার নিয়ামত দান করেন।
১-২. যেহেতু কথাটি আপনি বিশেষ পরিস্থিতিতে বলে ফেলেছেন বা মুখ দিয়ে হঠাৎ বের
হয়ে গিয়েছে তাই এর কারণে আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ। তবুও আল্লাহ
তায়ালার কাছে মাফ চাবেন এবং এ জাতীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকবেন।
৩. ক.
বিয়ে নবায়ন এভাবে করা যেতে পারে যে, স্বামী নিজের মাহরাম দুইজন বালেগ পুরুষের সামনে স্ত্রীকে বলবেন যে, আমি তোমার সাথে দশ হাজার
টাকা দেন মহরে বিয়েটা নবায়ন করে নিলাম বা আমি তোমাকে বিয়ে করে নিলাম। তখন স্ত্রী বলবেন যে, আমি কবুল করলাম। তাহলেই বিয়েটা নবায়ন হয়ে যাবে। আর এ সম্পর্কে
আরো ভালো ভাবে জানতে নিকটস্ত কোনো মুফতী সাহেবের কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করে নিবেন।
খ. ঈমান নবায়ন করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন -
https://ifatwa.info/52689/