আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
266 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায।

১।আমি প্রায় ১ বছরের উপরে অসুস্থতার মধ্যে আছি।আলহামদুলিল্লাহি আ'লা কুল্লি হাল।সবরের সাথে আছি।কিন্তু সেদিন হঠাৎ খুব খারাপ লাগতেসিলো,, তাই বলসি যে,,"আল্লহ, আমার প্রতি কি তোমার একটু দয়া হয় না গো?"এটা কি কুফরী বাক্যের মধ্যে পরলো? ইমানের কোনো সমস্যা হয়েছে ওই কথা টা বলায়?

২।আমি খাস পর্দা করি আলহামদুলিল্লাহ।তো  টিউমার চিকিৎসার জন্য হসপিটালে গিয়ে আমি এমনভাবে বেপর্দা হয়েছি যা আমার জন্য  ওই মুহুর্তে  মেনে নেওয়া কঠিন ছিলো,সবকিছু তাড়াহুড়ো করে হয়েছিলো।আমি বুঝে উঠতে পারিনি বেপর্দা হবো।মহিলা ডা. ও ছিলো না ওখানে।তো অসহ্য মানুষিক যন্ত্রনায় আমি কাঁদতে কাঁদতে বলছিলাম যে,"আল্লহ তুমি আমাকে এমন রোগ কেন দিলা যে এমন রোগ কেন দিলা যে,এমনভাবে বেপর্দা হওয়া লাগলো"

আমার সমস্ত অভিমান, ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছিলো।কারণ আমি কাউকে বলতে পারছিলাম না।তাকদীরের ফায়সালা মেনে নেয়া আমার জন্য কস্টকর না।শুধু আমি বেপর্দা হওয়াতে আমার ওইরকম কথা মুখে আসছে উস্তায। আমার ইমান কি ভঙ্গ হয়েছে?
৩।বিবাহ দোহরানো বিষয়টা জানতে চাই,কিভাবে করে? ইমান নবায়নের সময় ওটা করে জানি।

জাযাকুমুল্লহু খয়ের।একটু তাড়াতাড়ি উত্তর দেয়ার চেস্টা করবেন উস্তায। খুব কস্টে আছি।

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

কুফরী বাক্যর অর্থ জানা নেই এবং বলার ইচ্ছে নেই তবে মুখ ফসকে কোনো কুফরী বাক্য মুখ থেকে উচ্ছারণ হয়ে গেছে, এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কাফির হবে না। যেমন হযরত আবু যর রাযি. থেকে বর্ণিত রয়েছে,

عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ رضي الله عنه قَالَ :قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :(إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মত থেকে ভূল ভ্রান্তি এবং নিরুপায় মূলক কাজ কে ক্ষমা করে দিয়েছেন। (সুনানু উবনি মা'জা-২০৪৩) আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/3012/?show=3012#q3012

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، وَيُوسُفُ بْنُ مُوسَى الْقَطَّانُ الْبَغْدَادِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَغْرَاءَ أَبُو زُهَيْرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَوَدُّ أَهْلُ الْعَافِيَةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حِينَ يُعْطَى أَهْلُ الْبَلاَءِ الثَّوَابَ لَوْ أَنَّ جُلُودَهُمْ كَانَتْ قُرِضَتْ فِي الدُّنْيَا بِالْمَقَارِيضِ " . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ عَنْ مَسْرُوقٍ قَوْلَهُ شَيْئًا مِنْ هَذَا .

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে বিপদে পতিত (ধৈর্যধারী) মানুষদের যখন প্রতিদান দেয়া হবে, তখন (পৃথিবীতে) বিপদমুক্ত মানুষেরা আকাঙ্ক্ষা (পরিতাপ) করবে, হায়! দুনিয়াতে যদি কাঁচি দ্বারা তাদের শরীরের চামড়া কেটে টুকরা টুকরা করে দেয়া হতো। সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং- ২৪০২

 

অন্য এক হাদীসে এসেছে-

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا يَزَالُ الْبَلاَءُ بِالْمُؤْمِنِ وَالْمُؤْمِنَةِ فِي نَفْسِهِ وَوَلَدِهِ وَمَالِهِ حَتَّى يَلْقَى اللَّهَ وَمَا عَلَيْهِ خَطِيئَةٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মু’মিন নারী-পুরুষের উপর, তার সন্তানের উপর ও তার ধন-সম্পদের উপর অনবরত বিপদাপদ লেগেই থাকে। সবশেষে আল্লাহ্ তা‘আলার সাথে সে গুনাহমুক্ত অবস্থায় মিলিত হয়। সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং- ২৩৯৯

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

প্রথমে আমি বলবো আপনি ধৈর্য্যধারণ করবেন আল্লাহ তায়ালা আপনার অনেক অনেক গোনাহ মাফ করে দিবেন  কারণ, হাদীস শরীফে এসেছে-

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে বিপদে পতিত (ধৈর্যধারী) মানুষদের যখন প্রতিদান দেয়া হবে, তখন (পৃথিবীতে) বিপদমুক্ত মানুষেরা আকাঙ্ক্ষা (পরিতাপ) করবে, হায়! দুনিয়াতে যদি কাঁচি দ্বারা তাদের শরীরের চামড়া কেটে টুকরা টুকরা করে দেয়া হতো। সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং- ২৪০২

তবে সুস্থতার জন্য  আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশী বেশী দুআ করবেন। বিশেষ করে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েও দুআ করবেন। আমরাও দুআ করি আল্লাহ তায়ালা যেনো আপনাকে পরিপূর্ণ সুস্থতার নিয়ামত দান করেন।

 

১-২. যেহেতু কথাটি আপনি বিশেষ পরিস্থিতিতে বলে ফেলেছেন বা মুখ দিয়ে হঠাৎ বের হয়ে গিয়েছে তাই এর কারণে আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ। তবুও আল্লাহ তায়ালার কাছে মাফ চাবেন এবং এ জাতীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকবেন।

 

. . বিয়ে নবায়ন এভাবে করা যেতে পারে যে, স্বামী নিজের মাহরাম দুইজন বালেগ পুরুষের সামনে স্ত্রীকে বলবেন যে, আমি তোমার সাথে  দশ হাজার টাকা দেন মহরে বিয়েটা নবায়ন করে নিলাম বা আমি তোমাকে বিয়ে করে নিলাম তখন স্ত্রী বলবেন যে, আমি কবুল করলাম। তাহলেই বিয়েটা নবায়ন হয়ে যাবে। আর এ সম্পর্কে আরো ভালো ভাবে জানতে নিকটস্ত কোনো মুফতী সাহেবের কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করে নিবেন।

খ. ঈমান নবায়ন করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/52689/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
 জাযাকাল্লাহু খয়ের উস্তায,, আমি আমার যাওজকে  একটা চিকিৎসার ধরন বুঝাতে গিয়ে কস্টের তীব্রতা কেমন হয় সেটা বলছিলাম।তো কথাটা বলেছি এমনভাবে যে,,"আপনার দেখলে মনে হবে এর থেকে মরণও ভালো"
এর দ্বারা  কি ইমানের ক্ষতি হয়েছ উস্তায? 
by (59,970 points)
জী না, এর দ্বারা ঈমানের কোন ক্ষতি হবে না ইনশাআল্লাহ। তবে এমন কথা বলা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...