আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
284 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
১. কোনো পণ্যের মোড়কে যদি বেপর্দা নারীর ছবি থাকে তাহলে পণ্যটি বিক্রি করলে কি ইনকাম হারাম হবে?

২. একজন ব্যক্তির একাধিক জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকা কি জায়েজ?

৩. "বিতরণ করা" ও "শেয়ার করা" এই দুটি শব্দ কি একই রকম অর্থ প্রকাশ করে?

৪. আমার কেনা কোনো বই যেমন আমি কাউকে পড়তে দিতে পারি, তেমনিভাবে আমার কেনা কোনো অনলাইন কোর্স কি আমি কাউকে শেয়ার করতে পারবো? (বিক্রয় না করে)

৫. কোনো ওয়েবসাইটের আর্টিকেল প্রিন্ট করে পড়া বৈধ কি না?

৬. মালিকের সরাসরি অনুমতি হয়তোবা নেই, বা আছে কি না জানা নেই, এমন কোনো জিনিস (যেমনঃ সফটওয়্যার, পিডিএফ, ভিডিও, ছবি, অডিও, আর্টিকেল ইত্যাদি) ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা যাচ্ছে। সেগুলো ব্যবহার করা কি হারাম হবে? কারণ ইন্টারনেটে কোনো কিছু ছড়িয়ে গেলে তা ব্যবহার তো সবাই করতে পারে।

৭. মনে করুন, কেউ একজনের কোনো পণ্য টাকার মিনিময়ে ১০ দিনের জন্য ব্যবহার করছে। কিন্তু ১০ দিনের জায়গায় ১২ দিন পণ্যটি ব্যবহার করার সুযোগ পেল। কিন্তু যে টাকা নিল সে ১০ দিনের টাকাই দাবি করলো বাকি ২ দিনের না। এতে ওই ২ দিনের হক নষ্ট হলো কি না?

৮. পুরাতন সাইকেল, মোটর সাইকেল ইত্যাদিতে বিভিন্ন ত্রুটি থেকে থাকে (যেমনঃ পার্টসের ক্ষয়, কোনো স্থানে বাঁকা, ভাঙ্গা ইত্যাদি)। যারা ক্রয় করছে তারাও জানে এটি পুরাতন জিনিস। ধোঁকা দেওয়ার কোনো উদ্দেশ্য নাই। এমতাবস্থায় কি সকল প্রকার ত্রুটি উল্লেখ না করলে বিক্রয় নাজায়েজ হবে?

৯. রাগের বশে কথা বলার সময় কসম করলে কি কাফফারা দিতে হবে?

১০. কাউকে মিথ্যা বললে কি তার হক নষ্ট করা হয়?

১১. কোনো কিছুর জন্য পূর্বে বেশি টাকা দান করার নিয়ত ছিল, কিন্তু দান করার সময় তার থেকে কম টাকা দান করলে বা পূর্বের চেয়ে কম টাকা দান করার নিয়ত করে দান করলে সেই দান করা জায়েজ হবে কি না?

১২. কেউ আমার কাছ থেকে কিছু টাকা পায় বলে সন্দেহ হলে তাকে কিছু টাকা দেয়ার নিয়ত করি, সন্দেহ দূর হলে মনে পরে, যে পরিমাণ টাকা দেওয়ার নিয়ত করেছিলাম সেই পরিমাণের চেয়ে কম টাকা পায় সে ব্যাক্তিটি। তাহলে কি আগের নিয়ত করা টাকাই দিতে হবে নাকি যা পরে মনে পরছে সেটা দিলেই হবে?

১৩. অজু করা ও গোসল করার উদ্দেশ্যে অজু ও গোসল করলেই কি নিয়ত হয়ে যায়? নাকি আলাদা ভাবে মনে মনে বলতে হবে যে আমি অজু করছি বা গোসল করছি?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)কোনো পণ্যের মোড়কে যদি বেপর্দা নারীর ছবি থাকে, তাহলে পণ্যটি বিক্রি করলে ইনকাম হারাম হবেনা।

(২)একজন ব্যক্তির একাধিক জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকা জায়েয কি না? সেটা নির্ভর করবে জিমেইল কর্তৃপক্ষের নিয়মনীতির উপর।তাদের পলিসি অনুযায়ী বৈধ হলে তখন বৈধ হবে নতুবা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

(৩)"বিতরণ করা" ও "শেয়ার করা" এই দুটি শব্দ প্রায় একই রকম অর্থ প্রকাশ করে। তবে বিতরণ ও শেয়ার এর অর্থের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। বিতরণ বলতে লিফরেট, পুস্তিকা ইত্যাদির বিতরণকে বুঝায়।আর শেয়ার মানে অনলাইনে অন্যকে জানানো বা বন্ধুকে কোনো অভিজ্ঞতার বিষয়ে অবগত করা বুঝায়।

(৪)  ক্রয় করা বই অন্য কাউকে পড়তে দেওয়া যাবে।যেহেতু এখানে কপি করার সম্ভাবনা বিরল। ক্রয়কৃত অনলাইন কোর্স অন্যকে শেয়ার করা যাবে না।কেননা এতে কপি হওয়াটা সাধারণ।কেননা যাকে দিবেন,সেটা কপি হয়েই তার কাছে যাবে।সুতরাং এটা দেওয়া যাবে না।

(৫)কোনো ওয়েবসাইটের আর্টিকেল প্রিন্ট করে পড়া যাবে।তবে তাদের পলিসি অনুযায়ী নিষিদ্ধ থাকলে তখন পড়া যাবে না।

(৬)মালিকের সরাসরি অনুমতি হয়তোবা নেই, বা আছে কি না জানা নেই, এমন কোনো জিনিস (যেমনঃ সফটওয়্যার, পিডিএফ, ভিডিও, ছবি, অডিও, আর্টিকেল ইত্যাদি) ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা যাচ্ছে। সেগুলো ব্যবহার করা হারাম হবে না।

(৭)মনে করুন, কেউ একজনের কোনো পণ্য টাকার বিনিময়ে ১০ দিনের জন্য ব্যবহার করছে। কিন্তু ১০ দিনের জায়গায় ১২ দিন পণ্যটি ব্যবহার করার সুযোগ পেল। কিন্তু যে টাকা নিল সে ১০ দিনের টাকাই দাবি করলো বাকি ২ দিনের না।

এতে ওই ২ দিনের হক নষ্ট হবে না।কেননা ঐ ব্যক্তি তো ১২ দিনের চার্জ করছে না।

(৮)পুরাতন সাইকেল, মোটর সাইকেল ইত্যাদিতে বিভিন্ন ত্রুটি থেকে থাকে (যেমনঃ পার্টসের ক্ষয়, কোনো স্থানে বাঁকা, ভাঙ্গা ইত্যাদি)। যারা ক্রয় করছে তারাও জানে এটি পুরাতন জিনিস। ধোঁকা দেওয়ার কোনো উদ্দেশ্য নাই। এমতাবস্থায়ও সকল প্রকার ত্রুটি উল্লেখ করতে হবে।নতুবা ক্রয় বিক্রিয় জায়েয হবে না।

(৯)রাগের বশে কথা বলার সময় কসম করলে কাফফারা দিতে হবে কি? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3110

(১০)কাউকে মিথ্যা বললে কবিরা গেনাহ হবে।

(১১)কোনো কিছুর জন্য পূর্বে বেশি টাকা দান করার নিয়ত ছিল, কিন্তু দান করার সময় তার থেকে কম টাকা দান করলে বা পূর্বের চেয়ে কম টাকা দান করার নিয়ত করে দান করলে সেই দান করা জায়েজ হবে। হ্যা, উত্তম হল, যা নিয়ত করা হবে সেটাই দান করা।

(১২)কেউ আমার কাছ থেকে কিছু টাকা পায় বলে সন্দেহ হলে তাকে কিছু টাকা দেয়ার নিয়ত করি, সন্দেহ দূর হলে মনে পরে, যে পরিমাণ টাকা দেওয়ার নিয়ত করেছিলাম সেই পরিমাণের চেয়ে কম টাকা পায় সে ব্যাক্তিটি।

তাহলে আগের নিয়ত করা টাকাই দিতে হবে না বরং যা পরে মনে পরছে সেটা দিলেই হবে।

(১৩)
প্রশ্নটি অস্পষ্ট। সুতরাং স্পষ্ট করে উল্লেখ করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (26 points)
1.)  ৬ নং প্রশ্নের জন্যঃ 

আমি একটি ফন্ট ইন্টারনেট থেকে ফ্রি ডাউনলোড করেছি। কিন্তু ওই ফন্টটি অন্য একটি ওয়েবসাইটে বিক্রি করা হচ্ছে। যারা বিক্রি করছে তারা ওই ফন্টের প্রস্তুতকারী। কিন্তু আমি তাদের থেকে ফন্টটি না কিনে ফ্রিতে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করেছি। এক্ষেত্রে ওই ফন্ট ফ্রিতে ব্যবহার করা হারাম হবে কি না?
এই প্রশ্নের উত্তরে জায়েয হবে না বলা হয়েছে।

কিন্তু ফন্ট এর বিষয়টি ও ৬ নং প্রশ্নের বিষয়টি তো একই ধরনের। ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করার বিষয়। তাহলে উত্তর এর ভিন্নতা কেন? ডাউনলোড করে তো এগুলো আবার বিক্রি করা হয় না। অন্য ওয়েবসাইটে পাওয়া গিয়েছে এজন্য ব্যবহার করা হয়। আর যারা ডাউনলোড করতে দিয়েছে তারা কোথায় থেকে পেয়েছে বা কিভাবে পেয়েছে তাও তো জানা নেই।
by (589,140 points)
যারা ফ্রন্টটি আবিস্কার করেছে, সেই ফ্রন্টের মালিক মূলত তারাই। তাই তাদের অনুমতি ব্যতিত ঐ ফ্রন্টটি ব্যবহার করতে পারবেন না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...