আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
1. আমি একটি দোকান থেকে ৬৬৮ টাকার বই কিনলাম। দোকানদারকে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চাইলাম, তিনি বললেন ক্যাশআউট চার্জ সহ আপনি মোট ৬৮০ টাকা দিন বিকাশে। আমি তাকে ৬৮০ টাকাই দিলাম। কিন্তু পরে আমি ৬৮০ টাকার ক্যাশআউট চার্জ বিকাশ এর ওয়েবসাইট থেকে হিসাব করে দেখলাম ১২.৩৬ টাকা আসে। এক্ষেত্রে ০.৩৬ পয়সা দোকানদারকে কম দেয়া হয়েছে। কিন্তু দোকানদার আমাকে যা দিতে বলেছিল আমি তাই দিয়েছি, টাকা বিকাশে দেওয়ার পর তিনি আমার সামনে চেকও করেছেন। এক্ষেত্রে কি উক্ত ০.৩৬ পয়সা তাকে দিতে হবে? না দিলে কি হক নষ্ট হবে?

2. পুরাতন ত্রুটিযুক্ত জিনিস বিক্রির পূর্বে ত্রুটিমুক্ত বা মেরামত করে বিক্রি করলে কি সেই পূর্বের ত্রুটির কথা ক্রেতাকে বলা বাধ্যতামূলক?

3. আমি আমার একজন বন্ধুর একটি জিনিস নিয়েছিলাম। ওই বন্ধু তখন বলেছিল যে, " ওই জিনিসের জন্য কিছু টাকা আমাকে দিয়ে তুই একবারে নিয়ে নিস "। আমি বলেছিলাম আচ্ছা টাকা হলে দিবনে। পরবর্তীতে একদিন আমি তাকে বললাম উক্ত জিনিসের টাকা দিতে হবে কি না, বন্ধু বললো " না টাকা দেয়া লাগবে না "।
এক্ষেত্রে আমি এটা জানি না যে, আমার ওই বন্ধু পূর্বে আমার কাছ থেকে উক্ত জিনিসের জন্য টাকা চেয়েছিল, এটা সে ভুলে গিয়েছে কি না। সে আমার কাছ থেকে পূর্বে উক্ত জিনিসের জন্য টাকা চেয়েছিল এটা কি আমার তাকে মনে করিয়ে দিতে হবে? মনে করিয়ে না দিলে কি হক নষ্ট করা হবে? যদি হক নষ্ট করা না হয় তবে কি উক্ত জিনিসটি আমার নিজস্ব হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে৷ উল্লেখিত ছুরতে দোকানদারকে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চাইলে তিনি যেহেতু নিজেই বলেছেন যে ক্যাশআউট চার্জ সহ আপনি মোট ৬৮০ টাকা দিন বিকাশে। 

সুতরাং আপনি যেহেতু ৬৮০ টাকা তাকে প্রদান করেছেন,তাই উক্ত ০.৩৬ পয়সা তাকে আর দিতে হবেনা।

এতে বান্দার হক নষ্ট হবেনা।
কেননা এক্ষেত্রে উভয়ের সন্তুষ্টি চিত্তেই এটি নির্ধারন করা হয়েছে।

(০২)
পুরাতন ত্রুটিযুক্ত জিনিস বিক্রির পূর্বে ক্রেতা যদি জানেই যে এগুলো ত্রুটিযুক্ত হয়, ত্রুটি যুক্ত জানার পরেও ক্রেতা যদি তাহা ক্রয় করে,সেক্ষেত্রে ত্রুটির বিষয় না জানালেও সমস্যা হবেনা।
কেননা এগুলো জিনিস যে ত্রুটিযুক্ত হয়,তাহা ক্রেতা বিক্রেতা সহ সকলেরই জানা।

হ্যাঁ যদি ক্রেতা না জানে যে এই জিনিস গুলো ত্রুটি থাকে,সেক্ষেত্রে বিক্রয়ের পূর্বের ত্রুটির কথা ক্রেতাকে বলা বাধ্যতামূলক।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে মনে করিয়ে না দিলে হক নষ্ট করা হবেনা।  উক্ত জিনিসটি আপনার নিজস্ব হয়ে যাবে।

তবে সতর্কতামূলক বন্ধুকে কিছু টাকা দিয়ে নেয়ার বিষয়টি মনে করে দেয়া আপনার জন্য উচিত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...