ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)কোনো পণ্যের মোড়কে যদি বেপর্দা নারীর ছবি থাকে, তাহলে পণ্যটি বিক্রি করলে ইনকাম হারাম হবেনা।
(২)একজন ব্যক্তির একাধিক জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকা জায়েয কি না? সেটা নির্ভর করবে জিমেইল কর্তৃপক্ষের নিয়মনীতির উপর।তাদের পলিসি অনুযায়ী বৈধ হলে তখন বৈধ হবে নতুবা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
(৩)"বিতরণ করা" ও "শেয়ার করা" এই দুটি শব্দ প্রায় একই রকম অর্থ প্রকাশ করে। তবে বিতরণ ও শেয়ার এর অর্থের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। বিতরণ বলতে লিফরেট, পুস্তিকা ইত্যাদির বিতরণকে বুঝায়।আর শেয়ার মানে অনলাইনে অন্যকে জানানো বা বন্ধুকে কোনো অভিজ্ঞতার বিষয়ে অবগত করা বুঝায়।
(৪) ক্রয় করা বই অন্য কাউকে পড়তে দেওয়া যাবে।যেহেতু এখানে কপি করার সম্ভাবনা বিরল। ক্রয়কৃত অনলাইন কোর্স অন্যকে শেয়ার করা যাবে না।কেননা এতে কপি হওয়াটা সাধারণ।কেননা যাকে দিবেন,সেটা কপি হয়েই তার কাছে যাবে।সুতরাং এটা দেওয়া যাবে না।
(৫)কোনো ওয়েবসাইটের আর্টিকেল প্রিন্ট করে পড়া যাবে।তবে তাদের পলিসি অনুযায়ী নিষিদ্ধ থাকলে তখন পড়া যাবে না।
(৬)মালিকের সরাসরি অনুমতি হয়তোবা নেই, বা আছে কি না জানা নেই, এমন কোনো জিনিস (যেমনঃ সফটওয়্যার, পিডিএফ, ভিডিও, ছবি, অডিও, আর্টিকেল ইত্যাদি) ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা যাচ্ছে। সেগুলো ব্যবহার করা হারাম হবে না।
(৭)মনে করুন, কেউ একজনের কোনো পণ্য টাকার বিনিময়ে ১০ দিনের জন্য ব্যবহার করছে। কিন্তু ১০ দিনের জায়গায় ১২ দিন পণ্যটি ব্যবহার করার সুযোগ পেল। কিন্তু যে টাকা নিল সে ১০ দিনের টাকাই দাবি করলো বাকি ২ দিনের না।
এতে ওই ২ দিনের হক নষ্ট হবে না।কেননা ঐ ব্যক্তি তো ১২ দিনের চার্জ করছে না।
(৮)পুরাতন সাইকেল, মোটর সাইকেল ইত্যাদিতে বিভিন্ন ত্রুটি থেকে থাকে (যেমনঃ পার্টসের ক্ষয়, কোনো স্থানে বাঁকা, ভাঙ্গা ইত্যাদি)। যারা ক্রয় করছে তারাও জানে এটি পুরাতন জিনিস। ধোঁকা দেওয়ার কোনো উদ্দেশ্য নাই। এমতাবস্থায়ও সকল প্রকার ত্রুটি উল্লেখ করতে হবে।নতুবা ক্রয় বিক্রিয় জায়েয হবে না।
(৯)রাগের বশে কথা বলার সময় কসম করলে কাফফারা দিতে হবে কি? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3110
(১০)কাউকে মিথ্যা বললে কবিরা গেনাহ হবে।
(১১)কোনো কিছুর জন্য পূর্বে বেশি টাকা দান করার নিয়ত ছিল, কিন্তু দান করার সময় তার থেকে কম টাকা দান করলে বা পূর্বের চেয়ে কম টাকা দান করার নিয়ত করে দান করলে সেই দান করা জায়েজ হবে। হ্যা, উত্তম হল, যা নিয়ত করা হবে সেটাই দান করা।
(১২)কেউ আমার কাছ থেকে কিছু টাকা পায় বলে সন্দেহ হলে তাকে কিছু টাকা দেয়ার নিয়ত করি, সন্দেহ দূর হলে মনে পরে, যে পরিমাণ টাকা দেওয়ার নিয়ত করেছিলাম সেই পরিমাণের চেয়ে কম টাকা পায় সে ব্যাক্তিটি।
তাহলে আগের নিয়ত করা টাকাই দিতে হবে না বরং যা পরে মনে পরছে সেটা দিলেই হবে।
(১৩)
প্রশ্নটি অস্পষ্ট। সুতরাং স্পষ্ট করে উল্লেখ করুন।