আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১/ ৪৮+ বয়সের মহিলার মাসিক অনিয়মিত হয়ে গিয়েছে। রক্ত কণা হুট করে একটু বের হয়ে অফ হয়ে যায়।১-২ দিন কোন রক্ত দেখা যায় না। পরে দু' তিনদিন পর আবার বের হয়,। এই পুরোটা সময় কি মাসিক গণ্য করবে?

২/ নিজের গোপন কোন খারাপ বিষয় প্রকাশ না হওয়ার সুযোগ নিয়ে কোন ব্যক্তি যদি তার পারিবারিক অবস্থান নিয়ে অহংকার বা আত্মগরিমা প্রদর্শন করে, আর অপর কোন ব্যক্তি সেই গোপন বিষয়টা জানে।
এহেন অবস্থায় সেই গোপন বিষয়টা যেটা প্রকাশ না করার আমানতে অপর ব্যক্তি জানতো, সে ঐ ব্যক্তির আত্মগরিমা প্রদর্শন ও অহংকার ভেঙ্গে দেবার নিয়তে গোপন বিষয়টা প্রকাশ করে দিলে কি আমানত খিয়ানতের গুনাহ্ হবে?

৩/ বাজারের প্যাকেটজাত নুডলস যেগুলোতে চিকেন কারী  মশলা থাকে, সেই চিকেন হালাল উপায়ে প্রসেস করলো কি না তো জানি না কিন্তু প্যাকেটে লিখা থাকে হালাল। এরকম যেকোন খাদ্য পণ্যের ক্ষেত্রেই প্যাকেটে যদি হালাল লিখা থাকে তবে কি নির্দ্বিধায় খাওয়া যাবে?

৪/ বেশিরভাগ খাদ্যপণ্যতেই ই-কোডগুলো পাওয়া যায়। যেগুলোতে অধিকাংশই মাশবুহ ই-কোড থাকে।  বা কোনটাতে  হারাম হতে পারে এমন অধিক সন্দেহপূর্ণ ই-কোডও পাওয়া যায়।  কিন্তু প্যাকেটে বিএসটিআই সার্টিফাইড ও হালাল লিখা থাকে। এগুলোও কি নির্দ্বিধায় খাওয়া যাবে?

৫/ কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ইস্তেখারা করার আগেই  যদি কোন একদিকে মন ঝুঁকে থাকে তবে ইস্তেখারা করার পরেও সেদিকে মন আরো বেশি ঝুঁকে যাবার সম্ভাবনা আছে কি?
ইস্তেখারা করার পরেও এক্ষেত্রে মন ঝোঁকার জন্য কি শয়তান প্ররোচনা দিতে পারে কোনভাবে?
বিঃদ্রঃ কাউকে আগে থেকে পছন্দ থাকলে তাকে বিয়ের ব্যাপারে করা ইস্তেখারার সময়।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে একবার হায়েজ এসে পরে যদি আবার ২য় দিনে হায়েজ আসে,এর পর যদি আর না আসে,তাহলে সেটি ইস্তেহাজা। 

যদি একবার হায়েজ এসে পরে যদি আবার ৩য় দিনে হায়েজ আসে,এর পর যদি আর না আসে,তাহলে সেটিও ইস্তেহাজা। 

কেননা উভয় ছুরতে হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা পাওয়া যায়নি।
এসময়ে নামাজ আদায় করতে হবে।

যদি একবার হায়েজ এসে পরে যদি আবার ২য়/৩য় দিনে হায়েজ আসে,এর পর যদি আবার ৪র্থ/৫ম/৬ষ্ঠ/৭ম/৮ম/৯ম/১০ম দিনে আসে,তাহলে সেটি হায়েজ। 
এসময়ে নামাজ আদায় করা যাবেনা।

(০২)
গুনাহ মূলক কিছু হলে সেটি বলা কোনোভাবেই জায়েজ হবেনা।

আর পূন্য মূলক কোনো কাজ হলে তার পক্ষ থেকে কাউকে বলতে নিষেধাজ্ঞা থাকলে, সেক্ষেত্রে বললে আমানতের খিয়ানত হবে।

আর কাউকে বলতে নিষেধাজ্ঞা না থাকলে আমানতের খিয়ানত হবেনা।

(০৩)
হ্যাঁ, খাওয়া যাবে।

(০৪)
হারাম কোড থাকলে খাওয়া যাবেনা।
নতুবা খাওয়া যাবে।

(০৫)
ইস্তেখারা করার পরেও সেদিকে মন আরো বেশি ঝুঁকে যাবার সম্ভাবনা আছে।

এক্ষেত্রে শয়তানের প্ররোচনারও সম্ভাবনা রয়েছে।
তাই এক্ষেত্রে একাধিকবার সুন্নাহ পদ্ধতি অবলম্বন করে ইস্তেখারা করা উচিত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...