আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in সালাত(Prayer) by (43 points)
১। একটু দেরি হয়ে যাওয়ায় মসজিদের এক কোনায় গিয়ে বসিতে হয়েছিল, সেখানে সাধারনত স্কুল পড়ুয়া ছেলেরা বসে, বেশ কথা বার্তা বলে, আর স্পিকার টা মাঝের দিকে থাকায় কোনায় খুতবা স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল না। কোন মতে বোঝা যাচ্ছিল যে খুতবা চলছে। এজন্য আজকের খুতবা শুনতে পারি নি। আমার কি ওয়াজিব তরক করার গুনাহ হবে? তাওবা করতে হবে?

২। খুতবার সময় যদি কখন মসজিদে প্রবেশ করি, তাহলে কি দুখুলুল মসজিদ পড়ব নাকি খুতবা শুনতে হবে?
৩। আমি গ্রাউন্ডফোর থেকে লিফটে উঠি, দরজা বন্ধ হবার আগে দিয়ে ৩ জন নন মাহরাম মহিলা ( আমার মার বয়সি হবেন ) উঠেন লিফটে।  আমি জায়গার অভাবে বের হয়ে আসতে পারি নি ( চাইলে আমি তাদের দাড়াতে বলে বের হয়ে আসতে পারতাম হয়তো, কিন্তু কি যেন মনে করি নামি নি )।  আমার বাসা ৩য় ফ্লোরেই ছিল, আমি তখন নজর হেফাজতে রেখে, কোনার দাঁড়িয়ে সময়টা পার করি, ও নেমে যাই বাসায়। আমার গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (696,520 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
(১)
খতিব সাহেবের আওয়াজ যতদূর পর্যন্ত পৌছবে,ততদূর পর্যন্ত লোকদের জন্য খুৎবাহ শ্রবণ করা এবং চুপ থাকা ওয়াজিব।
খতিব সাহেব থেকে দূরবর্তী অর্থাৎ যাদের নিকট আওয়াজ পৌছছে না,তাদের জন্য করণীয় কি?
এ সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে,একদল ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,যদিও তাদের উপর শ্রবণ ওয়াজিব নয়,তবে তাদের জন্য তখনও চুপ থাকা ওয়াজিব।অন্যদিকে একদল ফুকাহায়ে কেরাম মনে করেন,যখন খুতবাহ শুনা যাচ্ছে না,তখন শ্রবণও ওয়াজিব নয় এবং চুপ থাকাও ওয়াজিব নয়,বরং তখন চাইলে কুরআন তিলাওয়াত, তাসবীহ তাহলীল করা যাবে।
ثم ما ذكرنا من وجوب الاستماع والسكوت في حق القريب من الخطيب فأما البعيد منه إذا لم يسمع الخطبة كيف يصنع اختلف المشايخ فيه قال محمد بن سلمة البلخي: الإنصات له أولى من قراءة القرآن، وهكذا روى المعلى عن أبي يوسف وهو اختيار الشيخ الإمام أبي بكر محمد بن الفضل البخاري، ووجهه ما روي عن عمر وعثمان أنهما قالا: إن أجر المنصت الذي لا يسمع مثل أجر المنصت السامع؛ ولأنه في حال قربه من الإمام كان مأمورا بشيئين الاستماع والإنصات، وبالبعد إن عجز عن الاستماع لم يعجز عن الإنصات فيجب عليه، وعن نصير بن يحيى أنه أجاز له قراءة القرآن سرا، وكان الحكم بن زهير من أصحابنا ينظر في كتب الفقه، ووجهه أن الاستماع والإنصات إنما وجب عند القرب ليشتركوا في ثمرات الخطبة بالتأمل والتفكر فيها، وهذا لا يتحقق من البعيد عن الإمام فليحرز لنفسه ثواب قراءة القرآن ودراسة كتب العلم ولأن الإنصات لم يكن مقصودا بل ليتوصل به إلى الاستماع فإذا سقط عنه فرض الاستماع سقط عنه الإنصات أيضا والله أعلم
(বাদায়ে সানায়ে-১/২৬৪)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার ওয়াজিব তরকের গোনাহ হবে না।যেজন্য তাওবাহও করতে হবে না।

(২)
খুতবাহ এর সময় কেউ মসজিদে আসলে সে কি তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়বে নাকি খুতবাহ শুনবে?
এ সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।তাদের উভয়ের নিকটই কুরআন-হাদীস থেকে দলীল রয়েছে।হানাফি মাযহাবের সিদ্ধান্ত হল,
উক্ত ব্যক্তি খতবাহ শুনবে।

(৩)
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী পরিস্থিতি বিবেচনায় গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 189 views
...