আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
443 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
closed by

1)https://islamqa.org/hanafi/fatwa-ca/121590
এই লিংকে নিচের কথা টি পেলাম।

When one hears the Adhan, then he should definitely answer the call. There are two ways of answering the Adhan. One is wajib and the other is Mustahab. Halwaani r.a says that answering with tongue is mustahab, while answering by proceeding towards Salah is wajib.
** ওয়াজিব আযান এর উত্তর কখন? সেটা বুঝতে পারিনাই।

2) ইমাম সাহেব জুমার খুতবা তে যেসব দোয়া বা দরুদ পড়েন সেসব কি মুখে বলবো নাকি মনে মনে?

3) আমরা জানি যে কাফের দের জন্য দোয়া করা যায়না। 
কিন্তু ইবরাহিম (আঃ)
রাব্বানাগফিরলী ওয়ালি ওয়ালিদাইয়্যা ওয়ালিল মু'মিনীনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব
দোয়া তে কেন তার বাবা মায়ের জন্য দোয়া করলেন? তার বাবা তো কাফের ছিল। মা কি মুসলিম ছিলেন?

4)মা বাবার কাছে তো সন্তান এর নেকি যায়।
সন্তানের গুনাহও কি যায়? মা বাবা মারা গেলে কবরেও কি গুনাহ যায়?

5) ডানদিকে পা বের করে বাম দিকে হাত রেখে কি ইহুদি রা বসে?
যদি তাই-ই হয় এইটা তো নবিজি মানা করেছেন ওদের অনুসরণ করতে। 
এইরকম ভাবে বসা যাবে না তাহলে?

6)রাতে ঘুমানোর আগে সবাইকে মাফ করে ঘুমানোর ফলে এক সাহাবিকে জান্নাত এর সুসংবাদ দেওয়া হয়েছিল। তো এর ফলে কি তিনি নিজে যেসব গুনাহ করেছিলেন বান্দার সাথে তাও মাফ হয়ে গিয়েছে?
এই আমল এর দ্বারা কি আমরাও অন্যদের হক নষ্টের গুনাহ থেকে বাচঁবো? 

7) জান্নাতে গেলবান বা কম বয়সী ছেলেদের কাজ কি? 

8)আমাদের জান্নাত এ যাওয়ার পরেও জান্নাতে জায়গা ফাকা থাকবে। তখন আল্লাহ তা'য়ালা আরেক নতুন জীব সৃষ্টি করবেন। এইটা নিয়ে যদি কিছু বলতেন। তারাও কি আমাদের মত পরীক্ষিত হবে? তারা কেমন হবে?

9) জান্নাতুল ফিরদউস এর সবচেয়ে উপরের স্তর কি জান্নাতুল আদন?  যেখান থেকে আল্লাহর বড়ত্বের পর্দা ছাড়া আর পার্থক্য থাকবে না বান্দার সাথে আল্লাহর..

closed

1 Answer

+1 vote
by (671,200 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
আযানের জওয়াব মুখে দেওয়া মুস্তাহাব।
আর আমলের মাধ্যমে জওয়াব দেওয়া ওয়াজিব।
অর্থাৎ কাজ বাদ দিয়ে অযু,মসজিদের দিকে গমন,পোশাক  পরধান ইত্যাদির মাধ্যমে নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি নেওয়া ওয়াজিব।
এটাকেই বলা হয় আমলের মাধ্যমে জওয়াব  দেওয়া । 

وفی الشامیۃ (۳۹۶/۱): (قولہ قال الحلوانی ندبا الخ) ای قال الحلوانی ان الاجابۃ باللسان مندوبۃ والواجبۃ ھی الاجابۃ بالقدم
যবান দ্বারা আযানের জওয়াব দেওয়া মুস্তাহাব। চলার মাধ্যমে আযানের জওয়াব দেয়া ওয়াজিব
,
(০২)
মুক্তাদি ঐ সময় যাহা কিছু পড়বে,মনে মনে পড়বে।
,
(০৩)
,
ইব্রাহিম  আঃ  তার পিতা মাতার জন্য মাগফিরাত এর দোয়া করেছিলেন।

এই দোয়া করেছিলেনঃ
رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
(سورۃ ابراھیم، آیت:41)
,

ইবরাহীম আঃ  তার পিতা মাতার জন্য মাগফিরাত  এর দোয়া ঐ সময় করেছিলেন,যখন তাকে কাফেরদের জন্য দোয়া করা থেকে নিষেধ করা হয়নি।
(তাফসিরে মাআরিফুল কুরআন। 

অমুসলিমের জন্য দোয়া সংক্রান্ত জানুন
,
(০৪)
সন্তানদেরকে ইসলামী সভ্যতা  (তাহযীব) শেখানো, দ্বীন ও শরীয়তের মৌলিক বিষয়াদি শেখানো এবং একজন দ্বীনদার-নামাযী ও প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাও মা-বাবার দায়িত্ব ও কর্তব্য। 

হাদীস শরীফে এসেছে- ‘জেনে রেখ, তোমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেককে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। পুরুষ তার পরিবারবর্গের ব্যাপারে দায়িত্বশীল। তাদের ব্যাপারে তাকে জবাবদিহি করতে হবে।’ -সহীহ বুখারী ১/২২২ হাদীস ৮৯৩

সুসন্তান যেমন মা-বাবার জন্য দুনিয়া ও আখিরাতের বড় সম্পদ এবং সদকা জারিয়া তেমনি সন্তান যদি দ্বীন ও শরীয়তের অনুগত না থাকে, দুর্নীতি ও গুনাহে লিপ্ত হয়ে যায় তাহলে সে উভয় জগতেই মা-বাবার জন্য বিপদ। দুনিয়াতে লাঞ্ছনা, বঞ্চনা ও পেরেশানির কারণ। আর কবরে থেকেও মা-বাবা তার গুনাহর ফল ভোগ করতে থাকবে। আখিরাতে এই  আদরের দুলালই আল্লাহ তাআলার দরবারে মা-বাবার বিরুদ্ধে আপিল করবে যে, তারা আমাকে দ্বীন শেখায়নি। তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। তাই এই আমানতের হক আদায়ের প্রতি খুবই যত্নবান হতে হবে।

সুতরাং আপনি যদি আপ্রান চেষ্টা করেন দ্বীনের পথা চলানোর জন্য,তারপরেও সন্তা না শোনে,তাহলে পিতামাতার কোনো গুনাহ হবেনা
কবরে গিয়ে তারা গুনাহের ভাগিদার হবেনা।  

কুরআন শরীফে এসেছেঃ  

وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ ۚ 

আল্লাহ তায়ালা  কাহারো গুনাহের বোঝা অন্যের উপর চাপিয়ে দিবেননা।
(সুরা ফাতির ১৮)

,
(০৫)
এরকম বসাতে কোনো সমস্যা নেই। 
,
(০৬)   
আশা করা যায় যে এই আমল দ্বারা আমরাও অন্যের হক নষ্টের গুনাহ থেকে বাঁচতে পারবো।
ইনশাআল্লাহ 
,
(০৭)
কুরআন শরিফে এরশাদ হয়েছেঃ  
وَيَطُوفُ عَلَيْهِمْ غِلْمَانٌ لَّهُمْ

তাদের খেদমতের জন্য ঘুরতে থাকবে তাদের জন্য নিযুক্ত সেবক বালক। (সুরা তুর ২৪)

তারা সাথে নিয়ে ঘুরবে,খেদমত করবে।
তাদের সাথে সহবাস করা হবেনা।
,

(০৮)
এই ব্যাপারে স্পষ্ট আকারে কোথাও পাইনি।
,
(০৯)    
জান্নাতুল ফেরদাউস : ফেরদাউস এমন জান্নাতকে বলা হয়, যাতে সব ধরনের গাছপালা এবং বিভিন্ন বাগানে যা থাকে তার সবই এক জায়গায় এখানে পাওয়া যায়। জান্নাতগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ জান্নাত হচ্ছে জান্নাতুল ফেরদাউস। এ জান্নাতের ওপর আল্লাহর আরশ অবস্থিত। আল্লাহ নিজ হাতে এটি তৈরি করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তিনটি জিনিস নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন, আদমকে তাঁর হাতে সৃষ্টি করেছেন, তাওরাত কিতাব নিজ হাতে লিখেছেন এবং ফেরদাউস নিজ হাতে স্থাপন করেছেন।’ (দায়লামি)। 

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের মেহমানদারির জন্য রয়েছে জান্নাতুল ফেরদাউস।’ (সূরা কাহাফ : ১০৭)।
,
★সুতরাং জান্নাতুল ফেরদৌসের উপরেই  আরশ হবে।
এটার সবচেয়ে উপরের স্তর। 
জান্নাতুল আদন  এমন উঁচু স্তরের নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...