আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
246 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by
১) জুমার খুতবার সময় কি নামাযে বসার মত করে বসতে হবে?

২) একটা আমল এর ক্ষেত্রে যদি মাযহাব মানা খুবই কষ্ট হয় তখন নফস কে প্রাধান্য না দিয়ে কি অন্য মাযহাব মানা যাবে? আশা করি বিস্তারিত বলবেন। কিছুক্ষেত্রে মাযহাব মানা নিয়ে ঝামেলা হলে অনেকেই বলেন ঐ মাসালা অন্য মাযহাব দিয়ে করতে।

3) ঘুমের মধ্যে প্রস্রাব হলে কি গোসল ফরয হবে? যদি আমি বীর্যের কোন অস্তিত্ব না পাই
closed

1 Answer

+1 vote
by (675,600 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে জুমআর খুতবা মনোযোগ সহকারে শ্রবনের  কথা বলা হয়েছে।

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، حَدَّثَنَا حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ، حَدَّثَنِي أَبُو الأَشْعَثِ، حَدَّثَنِي أَوْسُ بْنُ أَوْسٍ الثَّقَفِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " مَنْ غَسَّلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَاغْتَسَلَ وَبَكَّرَ وَابْتَكَرَ وَمَشَى وَلَمْ يَرْكَبْ وَدَنَا مِنَ الإِمَامِ فَاسْتَمَعَ وَلَمْ يَلْغُ - كَانَ لَهُ بِكُلِّ خَطْوَةٍ عَمَلُ سَنَةٍ أَجْرُ صِيَامِهَا وَقِيَامِهَا " .

আওস ইবনু আওস আস-সাকাফী (রাঃ) বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি জুমুআহর দিন ভালোভাবে,উত্তম রুপে গোসল করলো এবং সকাল সকাল যানবাহন ছাড়া পদব্রজে মসজিদে এসে ইমামের কাছাকাছি বসলো, মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে খুতবাহ শুনলো এবং অনর্থক কিছু করলো না, তার জন্য প্রতি কদমে এক বছরের রোযা রাখা ও নামায পড়ার সমান সওয়াব রয়েছে।
(তিরমিযী ৪৯৬, নাসায়ী ১৩৮১, ১৩৮৪, ১৩৯৮; আবূ দাঊদ ৩৪৫, আহমাদ ১৫৭২৮, ১৫৭৩৯, ১৫৭৪২, ১৬৫১৩, ১৫৪৬-৪৭।  মিশকাত ১৩৮৮, সহীহ আবী দাউদ ৩৭২।)
,
আর অন্য পদ্ধতিতে বসলে ঘুম ধরার সম্ভাবনা বেশি থাকে,তাই ফুকাহায়ে কেরামগন নামাজের মতো বসাকে মুসতাহাব তথা উত্তম বলেছেন।
তবে অন্যান্য পদ্ধতিতেও বসা যাবে,কোনো সমস্যা নেই।     
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ  
إذا شہد الرجل عند الخطبة إن شاء جلس محتبیًا أو متربعا أو کما تیسر، لأنہ لیس بصلاة عملا وحقیقة کذا في المضمرات، ویستحب أن یقعد فیہا کما یقعد في الصلاة (ہندیة: ۱/ ۲۰۹)
যেহেতু এটা নামাজ নয়,তাই ইচ্ছা মতো বসতে পারে,তবে মুস্তাহাব হলো নামাজের মতো করে বসা।

(০২)
৪র্থ শতাব্দীর উলামায়ে কিরাম একটি মাযহাবের অনুসরণকে বাধ্যতামূলক বলেছেন।
 যা সেই কালের ওলামায়ে কিরামের সর্বসম্মত সীদ্ধান্ত ছিল। আর একবার উম্মতের মাঝে ইজমা হয়ে গেলে তা পরবর্তীদের মানা আবশ্যক হয়ে যায়। ইমাম ইবনে তাইমিয়াও লাগামহীনভাবে যে মাযহাব মনে চায় সেটাকে মানা সুষ্পষ্ট হারাম ও অবৈধ ঘোষণা করেন। {ফাতওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়া-২/২৪১}
,
মাযহাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যে মাযহাবকে ফলো করতেছেন,সর্বক্ষেত্রে ঐ মাযহাবকেই ফলো করতে হবে।তবে মুজতাহিদ ফিল মাযহাব পর্যায়ের কোনো আলেমের কাছে নিজ মাযহাবের কোনো মাস'আলার দলীল অন্য মাযহাবের চেয়ে দুর্বল প্রমাণিত হলে তখন উনার জন্য শক্তিশালী মাযহাবকে ফলো করা ওয়াজিব।নতুবা যে মাযহাবকে ফলো করা হচ্ছে,সেই মাযহাবের সকল মাস'আলা কে অনুসরণ করতে হবে,করাটাই ওয়াজিব।
আরো জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত জায়েজ নেই।    
,
(০৩)
যদি ঘুমের মধ্যে প্রস্রাব হয়,তাহলে গোসল ফরয হবেনা।
নাপাক লেগে থাকা জায়গা ধুয়ে ফেলতে হবে। 
তবে যেহেতু কোথায় কোথায় এই পেশাব লেগেছে,সে জানেনা,তাই সতর্কতা মূলক গোসল করতে হবে।
,

উম্মে সালামা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, উম্মে সুলাইম (রাঃ) বললেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ্! কোন মহিলার যদি স্বপ্নদোষ হয় তাহলে কি তার উপর গোসল ফরয হবে? তিনি বললেন: হ্যাঁ; যদি পানি (বীর্য) দেখে।[সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম]

 এ হাদিস নির্দেশ করছে যে, যদি পানি (বীর্য) না দেখে তাহলে তার উপর গোসল ফরয নয়।
,
তবে যদি স্বপ্নদোষ হয়,আর সে মনে করে যে এটা পেশাব,তাহলে সে যদি নিশ্চিত হয় যে এটা পেশাবই,তাহলে গোসল ফরন নয়,অন্যথায় গোসল ফরজ।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 166 views
0 votes
1 answer 199 views
...