আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
207 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
edited by
আসসালামু ‘আলাইকুম,

১/ তালাকের মজলিসে কেউ যদি হ‍্যা বা না বলার উদ্দেশ্যে চোখের পলক ফেলে, তবে কি এর দ্বারা কিছু হবে?

২/ নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়ার সময় বা শ্বাস ত্যাগ করার সময় অনেক সময় হ‍্যা সূচক শব্দের মত উচ্চারণ হয় মনে হয়। তালাকের মজলিসে কেউ যদি হ‍্যা সূচক শব্দ উচ্চারণ করার নিয়তে এভাবে শ্বাস নেয় বা ত‍্যাগ করে তবে কি কিছু হবে?

৩/ কেউ যদি তার স্ত্রী কে তালাক দেয়ার নিয়তে তার শ্বাশুড়ির দিকে কুদৃষ্টিতে তাকায় বা শ্বাশুড়িকে ভেবে হস্তমৈথুন করে তবে কী তার স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে? (যদিও ঐ লোক তার শ্বাশুড়ি কে বিবস্ত্র অবস্থায় না দেখে এবং স্পর্শ না করেই কুদৃষ্টিতে তাকায়, কিন্তু সে যদি হস্তমৈথুন করার সময় তার শ্বাশুড়ি কে বিবস্ত্র কল্পনা করে।)

৪/ তালাকের মজলিস ব‍্যতীত মুখে কিছু না উচ্চারণ করে বা কিছু না লিখে শুধুমাত্র আকার ইঙ্গিতে কী তালাক হয়?


৫/ ফোনে যে AppLock থাকে তা Fingerprint এর মাধ্যমে খোলার সময় যদি কেউ তার স্ত্রীর উদ্দেশ্যে তালাকের নিয়ত করে, অর্থাৎ, এমন নিয়ত করে যে তার স্ত্রী তার সাথে যে বন্ধনে আবদ্ধ আছে তা সে খুলে দিচ্ছে। তবে কি কিছু হবে?


৬/ কোনো স্থানে যদি তালাক বা এ জাতীয় কোন শব্দ লেখা থাকে এবং কোন লোক যদি তার স্ত্রীর উদ্দেশ্যে তালাকের নিয়তে সেটা স্পর্শ করে অর্থাৎ এমন নিয়ত করে যে, তার স্ত্রীর উদ্দেশ্যে তালাকের নিয়তে সেটা বলছে বা উৎসর্গ করছে তবে কী কিছু হবে? (যদি ঐ লোক মুখে কিছু না বলে।)

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) তালাকের মজলিসে কেউ যদি হ্যা বা না বলার উদ্দেশ্যে চোখের পলক ফেলে, তবে এর দ্বারা কিছু হবে না।

(২) নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়ার সময় বা শ্বাস ত্যাগ করার সময় অনেক সময় হ্যা সূচক শব্দের মত উচ্চারণ হয় মনে হয়। তালাকের মজলিসে কেউ যদি হ্যা সূচক শব্দ উচ্চারণ করার নিয়তে এভাবে শ্বাস নেয় বা ত্যাগ করে, তবেও কিছু হবে না।

(৩)কেউ যদি তার স্ত্রী কে তালাক দেয়ার নিয়তে তার শ্বাশুড়ির দিকে কুদৃষ্টিতে তাকায় বা শ্বাশুড়িকে ভেবে হস্তমৈথুন করে তবেও তার স্ত্রী তালাক হবে না। (যদিও ঐ লোক তার শ্বাশুড়ি কে বিবস্ত্র অবস্থায় না দেখে এবং স্পর্শ না করেই কুদৃষ্টিতে তাকায়) কিন্তু সে যদি হস্তমৈথুন করার সময় তার শ্বাশুড়ি কে বিবস্ত্র কল্পনা করে,তবে ও তালাক হবে না, কিছুই হবে না।

৪/ তালাকের মজলিস ব্যতীত মুখে কিছু না উচ্চারণ করে বা কিছু না লিখে শুধুমাত্র আকার ইঙ্গিতে কিছু করলেও তালাক হবে না।

৫/ ফোনে যে AppLock থাকে তা Fingerprint এর মাধ্যমে খোলার সময় যদি কেউ তার স্ত্রীর উদ্দেশ্যে তালাকের নিয়ত করে, অর্থাৎ, এমন নিয়ত করে যে তার স্ত্রী তার সাথে যে বন্ধনে আবদ্ধ আছে তা সে খুলে দিচ্ছে। তবেও কিছু হবে না।

৬/ কোনো স্থানে যদি তালাক বা এ জাতীয় কোন শব্দ লেখা থাকে এবং কোন লোক যদি তার স্ত্রীর উদ্দেশ্যে তালাকের নিয়তে সেটা স্পর্শ করে অর্থাৎ এমন নিয়ত করে যে, তার স্ত্রীর উদ্দেশ্যে তালাকের নিয়তে সেটা বলছে বা উৎসর্গ করছে তবেও কিছু হবে না (যদি ঐ লোক মুখে কিছু না বলে।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...