আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
edited by
মাসালা জানার পর থেকে খুব পেরেশানিতে আছি।যদিও এমন কিছু হয়নি এরপরো শুধু ভাবতে থাকি এইটা বলছি কিনা বা ওইটা বলছি কিনা।

প্রশ্ন ১হুজুর মানুষ মনে মনে লিখা পড়লে বা মনে মনে কথা বললে মুখ উচ্চারণ না হলেও, ঠোট বা জিহ্বা না নড়লেও আমার মতে জিহ্বার কম্পন টা একটু হয় সবার।তাই মুখ বন্ধ রেখে কোনা উচ্চারণ না করে,ঠোট এবং জিব্হা ও না নড়লে কিন্ত মনে মনে তালাকসূচক কিছু মনে করার চেষ্টার উদ্দেশ্য যদি মনে মনে বলা হয়""তোমাকে তালাক দিলাম (অর্থাত এই ধরনের কোন বাক্য বলেছি কিনা কখনো স্ত্রী কে কখনো মনে করার চেষ্টা করার উদ্দেশ্য)) """কিন্তু জিহ্বা নড়েনা নিশ্চিত তাই জিহ্বা না নড়লেও যদি জিহৃবা কম্পন অনুভূত হয় একথে কি তালাক হবে???অর্থাত ঠোঁট এবং জিহ্বা না নাড়িয়ে সবাই মনে মনে কথা বললে বা কোন লিখা পড়লে যেমন অনুভূতি ঠিক ওইরকম। জানার জন্য

প্রশ্ন ২:ওয়াসওয়াসা আসলে মনে করার উদ্দেশ্যে যদি মনে মনে তালাকসূচক শব্দগুলো বলা হয় বা মনে মনে কথা বলা হয় তাহলে তা ** হবে?যদি খাওয়ার সময় জিহ্বা নড়ে তাই যদি কিছু খেতে খেতে  ও এই ধরনের মনে করার চেষ্টা করা হয় বা মনে মনে কথা বলা হয় যে আমিতো এমন বলিনি,,,ওইরকম বলেছি এই ভাবে তালাকসূচক শব্দগুলো মনে করার  উদ্দেশ্য কিন্তুু জিহ্বা নড়ে শুধুমাত্র খাবার চিবানোর জন্য তাহলেও কি তালাক হয়?জানার জন্য।

প্রশ্ন:৩তালাকের অধিকার প্রাপ্তা স্ত্রী যদি অধিকার পাওয়ার পূর্বে তা** নেয় বা কোন কেনায়া বাক্য বলে তাহলে কি তা পতিত হবে?জানার জন্য

প্রশ্ন:৪অধিকারপ্রাপ্ত স্ত্রী যদি বলে "" থাকবোনা আমি তোমার সাথে "" এইটা কি কেনায়া বাক্য?নিয়ত ছাড়া বা নিয়ত করে বললে কি হবে?জানার জন্য

প্রশ্ন:৫ স্বামী যদি স্ত্রী কে বলে ওমুক কাজ করলে তালাক দিয়ে দিবো?যদি স্ত্রী কাজটা করে তালাক হবে?জানার জন্য
by (9 points)
হুজুর প্রশ্নটার উত্তর দিলে ভালো হতো

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আপনার প্রশ্নের জবাব প্রস্তুত হচ্ছে।ইনশাআল্লাহ অচিরেই জবাব পেয়ে যাবেন। ধর্য সহকারে অপেক্ষার জন্য আন্তরিক অভিবাদন। জাযাকুমুল্লাহ।

প্রথমে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে একটু মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন-
ফতোয়া আরবী শব্দ এবং কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শরীয়তের একটি মর্যাদাপূর্ণ পরিভাষা। বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে ‘ফতোয়া’ সংক্রান্ত আরো কিছু শব্দের অর্থ জেনে নেওয়া আবশ্যক। যথা : ইস্তিফতা, মুসতাফতী, মুফতী, ইফতা ও দারুল ইফতা। কুরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনী ইলমের মাহির আলিমের নিকট কোনো দ্বীনী বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জিজ্ঞাসা করাকে ‘ইস্তিফতা’ বলে। প্রশ্নকারীকে ‘মুস্তাফতী’ বা ‘সাইল’ বলে। বিশেষজ্ঞ আলিম শরীয়তের দলীলের আলোকে যে বিধান বর্ণনা করেন তাকে ‘ফতোয়া’ বলে। বিধান বর্ণনাকারী আলিমকে মুফতী এবং তার এই কাজ অর্থাৎ প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা করাকে ‘ইফতা’ বলে। যে প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করে তাকে ‘দারুল ইফতা’ বলে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...