আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহৃমাতুল্লাহ।

১।কোন মেয়ে ধরেন মেসেজে তালাক চাওয়ার উত্তরে স্বামী কিছু বলে নি অথবা বলেছে স্ত্রীকে থামানোর জন্য দিব।কারন হয়ত স্বামী জানত স্ত্রী এসব এমনিতে বলতেছে।স্ত্রীর বাসায় এখনো জানে না ধরেন বিয়ের কথা।চুরি করে করেছে বিয়ে।স্ত্রী যদি বলে আমি বাবাকে বলব বিয়ের কথা আর তারপর বলব ডিভোর্সের কাগজ বানাতে।মানে স্বামীকে দিবে এমনটা বুঝাচ্ছে আর কি।এর পর স্বামী যদি নিয়ত ছাড়া কোন কেনায়া শব্দ বলে তাহলে কি তালাক হবে? আগে তালাক চায়ছে যে এর উত্তরে না বলে এখন বললে কি তালাক হবে? এটা জানার জন্য এমনিতে।

২।এইটা আরেকটা প্রশ্ন। স্ত্রীর বাসায় এখনো জানে না ধরেন বিয়ের কথা।চুরি করে করেছে বিয়ে।স্ত্রী যদি বলে আমি বাবাকে বলব বিয়ের কথা আর তারপর বলব ডিভোর্সের কাগজ বানাতে।মানে স্বামীকে দিবে এমনটা বুঝাচ্ছে আর কি।এর পর স্বামী যদি নিয়ত ছাড়া কোন কেনায়া শব্দ বলে তাহলে কি তালাক হবে?এখানে ধরেন মেসেজে কথা হচ্ছিল আর স্ত্রী তালাক চায় নি।

৩।।কোন মেয়ে ধরেন মেসেজে তালাক চাওয়ার উত্তরে স্বামী কিছু বলে নি অথবা বলেছে স্ত্রীকে থামানোর জন্য দিব।কারন হয়ত স্বামী জানত স্ত্রী এসব এমনিতে বলতেছে।স্ত্রীর বাসায় এখনো জানে না ধরেন বিয়ের কথা।চুরি করে করেছে বিয়ে।স্ত্রী যদি বলে আমি বাবাকে বলব বিয়ের কথা আর তারপর বলব ডিভোর্সের কাগজ বানাতে।মানে স্বামীকে দিবে এমনটা বুঝাচ্ছে আর কি।এর পর স্বামী যদি  বলে ঠিক আছে তুমার ইচ্ছে বা যদি বলে তুমার দিতে হলে দিও তাহলে কি তালাক হবে? মানে ধরেন স্বামী কিছু বলবে না এটা বুঝাতে চাচ্ছে বা বাধা দিবে না এমনটা বুঝাতে চাচ্ছে  ? এটা জানার জন্য এমনিতে।

1 Answer

0 votes
by (687,520 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/45359/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 


যদি স্বামী তালাক দেয়ার উপর ধমক দিতে থাকে,বা স্ত্রী তালাক চায়,বা সেখানে অন্য কোনো ব্যাক্তি সেই স্বামীকে তালাক দেয়ার উপর উদ্ভুদ্ধ করে,তাহলে সেটিকে তালাকের মজলিস,মুযাকারায়ে তালাক বলা হবে।

মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের মজলিস কাকে বলে?
এ বিষয়ে রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
"(قَوْلُهُ: وَهِيَ حَالَةُ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ) أَشَارَ بِهِ إلَى مَا فِي النَّهْرِ مِنْ أَنَّ دَلَالَةَ الْحَالِ تَعُمُّ دَلَالَةَ الْمَقَالِ قَالَ: وَعَلَى هَذَا فَتُفَسَّرُ الْمُذَاكَرَةُ بِسُؤَالِ الطَّلَاقِ أَوْ تَقْدِيمِ الْإِيقَاعِ كَمَا فِي اعْتَدِّي ثَلَاثًا وَقَالَ قَبْلَهُ الْمُذَاكَرَةُ أَنْ تَسْأَلَهُ هِيَ أَوْ أَجْنَبِيٌّ الطَّلَاقَ".
( كتاب الطلاق، بَابُ الْكِنَايَاتِ، ٣ / ٢٩٧)

মুযাকারায়ে তালাকের অর্থ হল, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করা ,অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন এবং তামান্না করা। এই উভয় প্রকারকে 'মুতালাবায়ে তালাক' নামে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে,তাহলে এদ্বারাও মুযাকারায়ে তালাক প্রমাণিত হবে।এই তৃতীয় প্রকারকে  তাকদীমূল ঈ'কা বলা হয়ে থাকে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৯৭) 

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(০২)
এতে তালাক হবেনা।

(০৩)
এতে তালাক হবেনা।
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত কথা বলায় স্ত্রী নিজেকে নিজে তালাক দেয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...