আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
465 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (13 points)
edited by
স্বামী যদি ঝগড়ার সময় বলে তোর মতো বেয়াদবের সাথে সংসার করা অসম্ভব/তোর মতো মেয়ের সাথে সংসার করা অসম্ভব।এরপর যদি বলে তুই শুধু একবার বল যে আপনার সাথে থাকবোনা তাহলেই ব্যবস্থা নেবো।তোর পড়াশুনা বাদ ভার্সিটির কালই খুলনা(এখানে আমার বাবার বাড়ি) যাবি।তারপর কি যেনো বলার পর বলছে তোর বাপ ভাইয়ের সাথে কথা বলে কথা বলে কি সীদ্ধান্ত নিবি জানাবি/একটা সিদ্ধান্ত নিবি।আমার মা আসলে আমার বাড়ি যাবি।কাল না আজই খুলনা যাবি।স্ত্রী তার কোন কথায় সায় দিনি বা তালাকও চাইনি চুপ ছিলো।

১.তোর মতো বেয়াদবের/মেয়ের সাথে সংসার করা অসম্ভব এটা কি কেনায়া তালাকের শব্দ?? একথাটা বলার কারণে উক্ত মজলিস কি তালাকের মজলিস হবে??এখানে স্ত্রী তালাক চায়নি

২.তোর মতো বেয়াদবের/মেয়ের সাথে সংসার করা অসম্ভব ও তুই শুধু একবার বল আপনার সাথে থাকবো না তাহলে ব্যবস্থা নিবো।এ ২ টা কথা বা ২ টার কোনো একটা কথা বলার কারণে কি উক্ত মজলিস তালাকের মজলিস হবে??

৩.ঐ মজলিসে তুই কাল খুলনা যাবি ও কাল না আজই খুলনা যাবি এ কথা ২টা বলার কারণে কি তালাক পতিত হবে??

৪.এ ২ টা শব্দ (কাল খুলনা যাবি ও আজই খুলনা যাবি) কি কেনায়া শব্দ বলে বিবেচিত হবে??

৫.কেউ যদি লেখার সময় তালাকের শর্তের দিকে ইঙ্গিত করে বলিনি লিখতে যেয়ে ভুলে বলেছি লেখা হয়ে যায় এবং সাথে সাথেই কারেকশন করে বলিনি লেখে তাহলেও কি বলেছি লেখাটা কে স্বীকারোক্তি দেওয়া হয়ে যাবে?যদিও ভুলে লিখে ফেলছে। নাকি বলিনি লেখাটাই গ্রহনযোগ্য হবে??

৬..স্ত্রী তালাকের অধিকার পাওয়ার পর যদি কোনো একটা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলে আমিই তো স্বাধীন(বাপের বাড়ি আসার সুযোগ থাকার কারনে)।তালাকের অতিরিক্ত ওয়াসওয়াসা থাকার কারনে স্বাধীন শব্দটা বলার সময় বা তার আগ মুহূর্তে তালাকের নিয়তের চিন্তা মাথায় আসে যে তালাক হয়ে গেল কিনা/ তালাক হয়ে যাচ্ছে/ যাবে সঠিক মনে নেই।তার তালাকের নিয়ত ছিলো শুরুতে।"আমিইতো তো" এতাটুকু বলার সময় তালাকের কথাটা মাথায় আসেনি শুধু স্বাধীন শব্দ টা বলার সময় মনে তালাকের চিন্তা আসে।কিন্তু সে নিজের উপর তালাক নিলাম এটা নিয়ত করেনি।কেমন নিয়তের কথা মাথায় এসেছিলো মনে নেই।মূলত  তালাকের অতিরিক্ত ওয়াসওয়াসা থাকার কারনে স্বাধীন বা এজাতীয় বা অনেক সময় কেনায়া শব্দের সাদৃশ্য যে কোনো শব্দ শুনলে বা পড়লে তালাকের নিয়তের কথা অটোমেটিক মাথায় চলে আসে।মনের অনিচ্ছায় না চাইতেও।

ক.আমিই তো স্বাধীন এটা কি নিজের উপর তালাক নেওয়ামুলক বাক্য??

খ.ওয়াসওয়াসা কারনে শুধু স্বাধীন শব্দ টা বলার সময় তালাকের নিয়ত মাথায় চলে আসার কারণে কি নিজের উপর তালাক পতিত হয়ে যাবে??

গ.অতিরিক্ত ওয়াসওয়াসা থাকার কারনে আমিইতো স্বাধীন শব্দ টা বলার সময় মনে নিজের উপর তালাক নেওয়ার নিয়ত মাথায় চলে আসে তাহলে নিজের উপর তালাক পতিত হয়ে যাবে??

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(১-৪)
তালাক খুবই মারাত্মক  একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 


যদি স্বামী তালাক দেয়ার উপর ধমক দিতে থাকে,বা স্ত্রী তালাক চায়,বা সেখানে অন্য কোনো ব্যাক্তি সেই স্বামীকে তালাক দেয়ার উপর উদ্ভুদ্ধ করে,তাহলে সেটিকে তালাকের মজলিস,মুযাকারায়ে তালাক বলা হবে।

মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের মজলিস কাকে বলে?
এ বিষয়ে রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
"(قَوْلُهُ: وَهِيَ حَالَةُ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ) أَشَارَ بِهِ إلَى مَا فِي النَّهْرِ مِنْ أَنَّ دَلَالَةَ الْحَالِ تَعُمُّ دَلَالَةَ الْمَقَالِ قَالَ: وَعَلَى هَذَا فَتُفَسَّرُ الْمُذَاكَرَةُ بِسُؤَالِ الطَّلَاقِ أَوْ تَقْدِيمِ الْإِيقَاعِ كَمَا فِي اعْتَدِّي ثَلَاثًا وَقَالَ قَبْلَهُ الْمُذَاكَرَةُ أَنْ تَسْأَلَهُ هِيَ أَوْ أَجْنَبِيٌّ الطَّلَاقَ".
( كتاب الطلاق، بَابُ الْكِنَايَاتِ، ٣ / ٢٩٧)

মুযাকারায়ে তালাকের অর্থ হল, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করা ,অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন এবং তামান্না করা। এই উভয় প্রকারকে 'মুতালাবায়ে তালাক' নামে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে,তাহলে এদ্বারাও মুযাকারায়ে তালাক প্রমাণিত হবে।এই তৃতীয় প্রকারকে  তাকদীমূল ঈ'কা বলা হয়ে থাকে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৯৭) 

আরো জানুনঃ- 

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতকে তালাকের মজলিস বলা হবে।  
স্ত্রী তালাক না চাইলেও এটি তালাকের মজলিস।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
https://ifatwa.info/1049/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  

 "ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া) তে বর্ণিত রয়েছে,

 لَا يَقَعُ بِهَا الطَّلَاقُ إلَّا بِالنِّيَّةِ أَوْ بِدَلَالَةِ حَالٍ كَذَا فِي الْجَوْهَرَةِ النَّيِّرَةِ. ثُمَّ الْكِنَايَاتُ ثَلَاثَةُ أَقْسَامٍ (مَا يَصْلُحُ جَوَابًا لَا غَيْرُ) أَمْرُك بِيَدِك، اخْتَارِي، اعْتَدِّي (وَمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا لَا غَيْرُ) اُخْرُجِي اذْهَبِي اُعْزُبِي قُومِي تَقَنَّعِي اسْتَتِرِي تَخَمَّرِي (وَمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَشَتْمًا) خَلِيَّةٌ بَرِيَّةٌ بَتَّةٌ بَتْلَةٌ بَائِنٌ حَرَامٌ


কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা নিয়ত ব্যতীত বা তালাকের ব্যাপারে ইশরা ইঙ্গিত ব্যতীত তালাক পতিত হয় না।কেনায়া তালাক তিন প্রকার যথাঃ-


(১)

যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না।যেমন,তোমার বিষয় তোমার হাতে,তুমি পছন্দ করো,তুমি গণনা করো।


(২) যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক হওয়া এবং না হওয়া উভয়টি বুঝায়।যেমন,তুমি বের হও,তুমি চলে যাও,তুমি আমার কওম থেকে দূরে চলে চাও,তুমি নেকাব পরিধান করো,তুমি পর্দার আড়ালে চলে যাও,তুমি উড়না পরিধান করো।


(৩) যা তালাক এবং গালির উভয়টির সম্ভাবনা রাখে। হারাম,বায়িন,মুক্ত,দায়মুক্ত, বাত্তাহ,বাতলাহ ইত্যাদি শব্দাবলি।


পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট তিন প্রকারঃ যথাঃ- 

وَالْأَحْوَالُ ثَلَاثَةٌ (حَالَةُ) الرِّضَا (وَحَالَةُ) مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ بِأَنْ تَسْأَلَ هِيَ طَلَاقَهَا أَوْ غَيْرُهَا يَسْأَلُ طَلَاقَهَا (وَحَالَةُ) الْغَضَبِ 

পরিবেশ ও পরিস্থিতি তিন প্রকার।(১) হালতে রেযা- খুশির হালত(২) তালাকের শব্দাবলী উচ্ছারণের হালত(৩) রাগান্বিত অবস্থা।


فَفِي حَالَةِ الرِّضَا لَا يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي الْأَلْفَاظِ كُلِّهَا إلَّا بِالنِّيَّةِ وَالْقَوْلُ قَوْلُ الزَّوْجِ فِي تَرْكِ النِّيَّةِ مَعَ الْيَمِينِ

(১) খুশির হালতে নিয়ত ব্যতীত কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা তালাক পতিত হবে না।নিয়ত না থাকার বিষয়ে স্বামীর কথাই কসমের সাথে গ্রহণযোগ্য। 


وَفِي حَالَةِ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي سَائِرِ الْأَقْسَامِ قَضَاءً إلَّا فِيمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا فَإِنَّهُ لَا يُجْعَلُ طَلَاقًا كَذَا فِي الْكَافِي

(২)তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে সকল প্রকার কেনায়া তালাকে তালাক পতিত হবে।তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)



প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
উপরে উল্লেখ রয়েছে যে তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।
সে শব্দ গুলো দিয়ে তালাক হওয়ার জন্য নিয়ত শর্ত।
সেই শব্দ গুলো হলোঃ
তুমি বের হও,তুমি চলে যাও,তুমি আমার কওম থেকে দূরে চলে চাও,চলে যাও,বের হও ইত্যাদি।  

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্য ""কাল খুলনা যাবি ও আজই খুলনা যাবি""
এটিও এমন ধরনেরই বাক্য।
এই বাক্যে তালাকের নিয়ত ছাড়া বললে তালাক হয়না।
,
তাই উপরোক্ত ছুরতে যদিও তালাকের  মজলিস পাওয়া গিয়েছে, তবুও যেহেতু  স্বামীর তালাকের নিয়ত ছিলোনা,তাই তালাক হবেনা। 

(০৫)
বলিনি লেখাটাই গ্রহনযোগ্য হবে।

(০৬)
স্ত্রীর উক্ত বাক্য বলাতে তালাক হবেনা।
চাই তালাকের নিয়ত থাকুক,বা না থাকুক। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (675,600 points)
কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা সাধারণত নিয়ত ব্যতীত ও ইশারা ইঙ্গিত ব্যাতিত তালাক পতিত হয় না।কেনায়া তালাক তিন প্রকার যথাঃ-

(০১)
যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না।যেমন,তোমার বিষয় তোমার হাতে,তুমি পছন্দ করো,তুমি গণনা করো,আমি তোমাকে পৃথক করে দিয়েছি, ইত্যাদি । 

(০২) যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক হওয়া এবং না হওয়া (তালাকের তলবকে ফিরিয়ে দেয়া) উভয়টি বুঝায়।যেমন,তুমি বের হও,তুমি চলে যাও,তুমি এখান থেকে চলে যাও, তুমি উঠে খাড়া হও,তুমি আমার সামনে থেকে সড়ে যাও, তুমি আমার কওম থেকে দূরে চলে চাও,তুমি নেকাব পরিধান করো,তুমি পর্দার আড়ালে চলে যাও,তুমি উড়না পরিধান করো,ইত্যাদি। 

(০৩) যা তালাক এবং গালির উভয়টির সম্ভাবনা রাখে। হারাম,বায়িন,মুক্ত,দায়মুক্ত, বাত্তাহ,বাতলাহ ইত্যাদি শব্দাবলি।

তালাকের পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট,পরিবেশ তিন প্রকার।
(১) হালতে রেযা- খুশির হালত।
(২) তালাকের শব্দাবলী উচ্ছারণের হালত।
(৩) রাগান্বিত অবস্থা।

(১) হালতে রেযা বা খুশির প্রেক্ষাপট 
খুশির হালতে নিয়ত ব্যতীত কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা তালাক পতিত হবে না।নিয়ত না থাকার বিষয়ে স্বামীর কথাই কসমের সাথে গ্রহণযোগ্য। 

(২) মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের আলোচনা।
তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে সকল প্রকার কেনায়া তালাকে তালাক পতিত হবে।তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

(৩)রাগের অবস্থা।

রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে। 
 
ফাতওয়ায়ে শামীতে আছেঃ- 

فتاوی شامی (الدرّ المختار وردّ المحتار):

"(ما لم يوضع له)  أي الطلاق (واحتمله) وغيره (ف) الكنايات (لا تطلق بها) قضاء (إلا بنية أو دلالة الحال) وهي حالة مذاكرة الطلاق أو الغضب.

فالحالات ثلاث: رضا وغضب ومذاكرة والكنايات ثلاث ما يحتمل الرد أو ما يصلح للسب، أو لا ولا (فنحو اخرجي واذهبي وقومي) تقنعي تخمري استتري انتقلي انطلقي اغربي اعزبي من الغربة أو من العزوبة (يحتمل ردا، ونحو خلية برية حرام بائن) ومرادفها كبتة بتلة  (يصلح سبا، ونحو اعتدي واستبرئي رحمك، أنت واحدة، أنت حرة، اختاري أمرك بيدك سرحتك، فارقتك لا يحتمل السب والرد، ففي حالة الرضا) أي غير الغضب والمذاكرة (تتوقف الأقسام) الثلاثة تأثيرا (على نية) للاحتمال والقول له بيمينه في عدم النية ويكفي تحليفها له في منزله، فإن أبى رفعته للحاكم فإن نكل فرق بينهما، مجتبى.

(وفي الغضب) توقف (الأولان) إن نوى وقع وإلا لا (وفي مذاكرة الطلاق) يتوقف (الأول فقط) ويقع بالأخيرين وإن لم ينو لأن مع الدلالة لا يصدق قضاء في نفي النية لأنها أقوى لكونها ظاهرة، والنية باطنة ولذا تقبل بينتها على الدلالة لا على النية إلا أن تقام على إقراره بها عمادية، ثم في كل موضع تشترط النية فلو السؤال بهل يقع بقول نعم إن نويت، ولو بكم يقع بقول واحدة ولا يتعرض لاشتراط النية بزازية فليحفظ.
(قوله فالحالات ثلاث) لما كان الغضب يقابله الرضا فهو مفهوم منه صح التفريع.
(کتاب الطلاق، باب الکنایات، ج:3، ص:300/301/302، ط:ایج ایم سعید)

সারমর্মঃ-
কেনায়া শব্দ যেগুলোকে তালাকের জন্য গঠন করা হয়নি,এগুলোর দ্বারা তালাক হয়না,তবে তালাকের নিয়তের দরুন বা অবস্থার ইঙ্গিতের প্রেক্ষিতে তালাক পতিত হয়। সেটা হলো মুযাকারায়ে তালাকের অবস্থা,এবং রাগের অবস্থা।

তালাকের হালত, প্রেক্ষাপট তিনটি।
(১) হালতে রেযা- খুশির হালত।
(২) তালাকের শব্দাবলী উচ্ছারণের হালত।
(৩) রাগান্বিত অবস্থা।

কেনায়া বাক্যও তিন প্রকার।
(১) যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না। 
(২) যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক হওয়া এবং না হওয়া (তালাকের তলবকে ফিরিয়ে দেয়া) উভয়টি বুঝায়।
(৩) যা তালাক এবং গালির উভয়টির সম্ভাবনা রাখে। 

★যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক হওয়া এবং না হওয়া (তালাকের তলবকে ফিরিয়ে দেয়া) উভয়টি বুঝায়।যেমন,তুমি বের হও,তুমি চলে যাও,তুমি এখান থেকে চলে যাও, তুমি উঠে খাড়া হও,তুমি আমার সামনে থেকে সড়ে যাও, তুমি আমার কওম থেকে দূরে চলে চাও,তুমি নেকাব পরিধান করো,তুমি পর্দার আড়ালে চলে যাও,তুমি উড়না পরিধান করো,ইত্যাদি। 

★যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না।যেমন,তোমার বিষয় তোমার হাতে,তুমি পছন্দ করো,তুমি গণনা করো,আমি তোমাকে পৃথক করে দিয়েছি, ইত্যাদি । 

★যা তালাক এবং গালির উভয়টির সম্ভাবনা রাখে। হারাম,বায়িন,মুক্ত,দায়মুক্ত, বাত্তাহ,বাতলাহ ইত্যাদি শব্দাবলি।

হালতে রেযা বা খুশির প্রেক্ষাপট 
খুশির হালতে নিয়ত ব্যতীত কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা তালাক পতিত হবে না।

আর রাগ ও মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক হওয়া এবং না হওয়া উভয়টি বুঝায়,শুধু এটি নিয়তের উপর মওকুফ থাকবে। বাকি দুই ছুরতে তালাকের নিয়ত না থাকলেও তালাক পতিত হয়ে যাবে। 

★রাগ ও মুযাকারায়ে তালাকের অবস্থায় প্রথম প্রকারের শব্দ অর্থাৎ যা মহিলার কথার উত্তর হওয়া যোগ্য,তা নিয়তের উপর নির্ভরশীল হবে। আর শেষ দুই প্রকারের শব্দাবলী যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না,এবং যা তালাক এবং গালি উভয়টির সম্ভাবনা রাখে,এগুলোর দ্বারা নিয়ত ব্যাতিতই তালাক পতিত হবে। 

কেননা নিয়ত অস্বীকারের বিষয়টি কাজায়ান সত্যায়ন করা হবেনা। কেননা তাহা বাহ্যিক অবস্থা থেকে আরো বেশি শক্তিশালী।  আর নিয়ত তো বাতেনী তথা অভ্যন্তরীণ বিষয়।
(ফাতাওয়ায়ে শামী (৩/ ৩০১,৩০২,৩০৩)

لا تحتمل المذاكرة من الرد والتبعيد، فترجح جانب الطلاق ظاهرا فلا يصدق في الصرف عنه
সারমর্মঃ-
এক্ষেত্রে তালাকের দিকটাই প্রাধান্য পাবে। সুতরাং তাহা হতে ফেরার ক্ষেত্রে তাকে সত্যায়ন করা হবেনা।

(ফাতাওয়ায়ে শামী ৪/৫৩৩ মাকতাবায়ে যাকারিয়া।)

وفي حال مذاكرة الطلاق يتوقف الأول أي ما يصلح ردا علي النية أما الاخيران وهما ما يصلح سبا وما لا يحتمل الرد والسب فيقع بهما الطلاق وان لم ينو. 

আর তালাকের আলোচনার অবস্থায় প্রথম প্রকারের শব্দ অর্থাৎ যা মহিলার কথার উত্তর হওয়া যোগ্য,তা নিয়তের উপর নির্ভরশীল হবে। আর শেষ দুই প্রকারের শব্দাবলী যে শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না,এবং যা তালাক এবং গালি উভয়টির সম্ভাবনা রাখে,এগুলোর দ্বারা নিয়ত ব্যাতিতই তালাক পতিত হবে। 
(শরহে বিকায়া, কিতাবুত তালাক অধ্যায়। ২/৭৭)

https://ifatwa.info/1049/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
"ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া) তে বর্ণিত রয়েছে,

 لَا يَقَعُ بِهَا الطَّلَاقُ إلَّا بِالنِّيَّةِ أَوْ بِدَلَالَةِ حَالٍ كَذَا فِي الْجَوْهَرَةِ النَّيِّرَةِ. ثُمَّ الْكِنَايَاتُ ثَلَاثَةُ أَقْسَامٍ (مَا يَصْلُحُ جَوَابًا لَا غَيْرُ) أَمْرُك بِيَدِك، اخْتَارِي، اعْتَدِّي (وَمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا لَا غَيْرُ) اُخْرُجِي اذْهَبِي اُعْزُبِي قُومِي تَقَنَّعِي اسْتَتِرِي تَخَمَّرِي (وَمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَشَتْمًا) خَلِيَّةٌ بَرِيَّةٌ بَتَّةٌ بَتْلَةٌ بَائِنٌ حَرَامٌ

কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা নিয়ত ব্যতীত বা তালাকের ব্যাপারে ইশরা ইঙ্গিত ব্যতীত তালাক পতিত হয় না।কেনায়া তালাক তিন প্রকার যথাঃ-

(১)

যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না।যেমন,তোমার বিষয় তোমার হাতে,তুমি পছন্দ করো,তুমি গণনা করো। (২) যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক হওয়া এবং না হওয়া উভয়টি বুঝায়।যেমন,তুমু বের হও,তুমি চলে যাও,তুমি আমার কওম থেকে দূরে চলে চাও,তুমি নেকাব পরিধান করো,তুমি পর্দার আড়ালে চলে যাও,তুমি উড়না পরিধান করো। (৩) যা তালাক এবং গালি উভয়টির সম্ভাবনা রাখে। হারাম,বায়িন,মুক্ত,দায়মুক্ত, বাত্তাহ,বাতলাহ ইত্যাদি শব্দাবলি।

পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট তিন প্রকারঃ যথাঃ- 

وَالْأَحْوَالُ ثَلَاثَةٌ (حَالَةُ) الرِّضَا (وَحَالَةُ) مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ بِأَنْ تَسْأَلَ هِيَ طَلَاقَهَا أَوْ غَيْرُهَا يَسْأَلُ طَلَاقَهَا (وَحَالَةُ) الْغَضَبِ 

পরিবেশ ও পরিস্থিতি তিন প্রকার।(১) হালতে রেযা- খুশির হালত(২) তালাকের শব্দাবলী উচ্ছারণের হালত(৩) রাগান্বিত অবস্থা।

(১) হালতে রেযা বা খুশির প্রেক্ষাপট 

فَفِي حَالَةِ الرِّضَا لَا يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي الْأَلْفَاظِ كُلِّهَا إلَّا بِالنِّيَّةِ وَالْقَوْلُ قَوْلُ الزَّوْجِ فِي تَرْكِ النِّيَّةِ مَعَ الْيَمِينِ

খশির হালতে নিয়ত ব্যতীত কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা তালাক পতিত হবে না।নিয়ত না থাকার বিষয়ে স্বামীর কথাই কসমের সাথে গ্রহণযোগ্য। 

(২) মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের আলোচনা

وَفِي حَالَةِ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي سَائِرِ الْأَقْسَامِ قَضَاءً إلَّا فِيمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا فَإِنَّهُ لَا يُجْعَلُ طَلَاقًا كَذَا فِي الْكَافِي

তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে সকল প্রকার কেনায়া তালাকে তালাক পতিত হবে।তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দুগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

(৩)রাগের অবস্থা

وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.

রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী) (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

★উল্লেখ্য, মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে কেনায়া কিছু বাক্যের ক্ষেত্রে স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকলেও সর্বাবস্থায় তালাক পতিত হয়ে যায়।
ফাতাওয়ায়ে শামী,শরহে বিকায়াহ সহ বিভিন্ন ফিকহের কিতাবে তাহা স্পষ্ট আকারে উল্লেখ রয়েছে।

তবে কিছু ফাতওয়ার কিতাবে এক্ষেত্রে উল্লেখ রয়েছে যে এমতাবস্থায় কাজায়ান তালাক হয়,দিয়ানাতান তালাক হয়না। 

তাই এক্ষেত্রে ফতোয়া প্রদানের ক্ষেত্রেও মুফতী সাহেবদের মাঝে কিছু ভিন্নতা দেখা যায়।

জামিয়া ইউসুফ বিন নুরী টাউন ফতোয়া বিভাগের (144211200060) নং ফতোয়াতেও এক্ষেত্রে সর্বাবস্থায় তালাক পতিত হওয়ার কথা রয়েছে। কাজায়ান, দিয়ানাতান এর কথা উল্লেখ নেই।

★সুতরাং সব কিছু বিবেচনা করে আমরা বলবো যে মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে স্বামী যদি দুই প্রকারের শব্দাবলী ( যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না,এবং যা তালাক এবং গালি উভয়টির সম্ভাবনা রাখে।) বলে,সেক্ষেত্রে সতর্কতামূলক এক তালাকে বায়েন ধরে নিয়ে পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
by (675,600 points)
●مافی فتح القدیر (۷۳/۴): وقد ظهر مما ذكر أن حال مذاكرة الطلاق لا تقتصر على السؤال وهو خلاف ما قدموه من أنها حال سؤالها أو سؤال أجنبي طلاقها بل هي أعم من حالة السؤال للطلاق ومن مجرد ابتداء الإيقاع ثم على هذا لقائل أن يقول المذاكرة التي تصير الكناية معها ظاهرة في الإيقاع إنما هي سؤال الطلاق لأن ذكر الكناية الصالحة للإيقاع دون الرد عقيب سؤال الطلاق ظاهر في قصد الإيقاع به فيمتنع قبول دعواه إرادة الطلاق بخلاف المذاكرة بمعنى الابتداء بإيقاع الطلاق مرة فان الإيقاع مرة لا يوجب ظهور الإيقاع مرة ثانية وثالثة فلا يكون اللفظ الصالح له ظاهرا في الإيقاع حتى لا يقبل قوله في عدم إرادته بالكناية ۔


●فی الشامیۃ (۲۹۶/۳): قوله ( وهي حالة مذاكرة الطلاق ) أشار به إلى ما في النهر من أن دلالة الحال تعم دلالة المقال قال وعلى هذا فتفسر المذاكرة بسؤال الطلاق أو تقديم الإيقاع كما في اعتدي ثلاثاوقال قبله المذاكرة أن تسأله هي أو أجنبي الطلاق ۔۔۔ قوله ( والكنايات ثلاث الخ ) حاصله أنها كلها تصلح للجواب أي إجابته لها في سؤالها الطلاق منه لكن منها قسم يحتمل الرد أيضا أي عدم إجابة سؤالها كأنه قال لها لا تطلبي الطلاق فإني لا أفعله وقسم يحتمل السب والشتم لها دون الرد وقسم لا يحتمل الرد ولا السب بل يتمحض للجواب كما يعلم من القهستاني وابن الكمال ۔۔۔ قوله ( يحتمل ردا ) أي ويصلح جوابا أيضا ولا يصلح سبا ولا شتما ح۔


●وفیہ أیضاً(۳۰۴/۳):قوله ( قال اعتدي ثلاثا ) أي قاله ثلاث مرات قوله ( وبالباقي حيضا ) هذا إذا كان الخطاب مع من هي من ذوات الحيض فلو كانت آيسة أو صغيرة فقال أردت بالأول طلاقا وبالباقي تربصا بالأشهر كان حكمه كذلك ، فتح قوله ( لنيته حقيقة كلامه ) وهو إرادته أمرها بالاعتداد بالحيض بعد الطلاق قوله ( بنية الأول ) أي دلالة الحال بسبب نيته الإيقاع بالأول قال في فتح القدير فقد ظهر مما ذكر أن حالة مذاكرة الطلاق لا تقتصر على السؤال وهو خلاف ما قدموه من أنها حال سؤالها أو سؤال أجنبي طلاقها بل هي أعم منه ومن مجرد ابتداء الإيقاع قوله ( حتى ) تفريع على ما فهم من اعتبار دلالة الحال ط ۔


●وفیہ أیضاً (۲۹۹/۳):وقد مر أن الصريح ما لم يستعمل إلا في الطلاق من أي لغة كانت لكن لما غلب استعمال حلال الله في البائن عند العرب والفرس وقع به البائن لولا ذلك لوقع به الرجعي والحاصل أن المتأخرين خالفوا المتقدمين في وقوع البائن بالحرام بلا نية حتى لا يصدق إذا قال لم أنو لأجل العرف الحادث في زمان المتأخرين فيتوقف الآن وقوع البائن به على وجود العرف كما في زمانهم وأما إذا تعورف استعماله في مجرد الطلاق لا بقيد كونه بائنا يتعين وقوع الرجعي به كما في فارسية سرحتك ومثله ما قدمناه في أول باب الصريح من وقوع الرجعي بقوله سن بوش أو بوش أو في لغة الترك مع أن معناه العربي أنت خلية وهو كناية لكنه غلب في لغة الترك استعماله في الطلاق هذا ما ظهر لفهمي القاصر ولم أر أحدا ذكره وهي مسألة مهمة كثيرة الوقوع فتأمل۔

لو قال: أنت بثلاث: وقعت ثلاثا إن نوی؛ لأنہ محتمل لفظہ، ولو قال: لم أنو لا یصدق إذا کان في حال مذاکرۃ الطلاق؛ لأنہ لایحتمل الرد وإلاصدق۔ (شامي / باب الکنایات ۴؍۵۳۶ زکریا) 

وأما الضرب الثاني، وہو الکنایات لا یقع بہا الطلاق إلا بالنیۃ، أو بدلالۃ الحال؛ لأنہا غیر موضوعۃ للطلاق؛ بل تحتملہ وغیرہ فلابد من التعیین أو دلالتہ … وبقیۃ الکنایات إذا نوی بہا الطلاق کانت واحدۃ بائنۃ، وإن نوی ثلاثًا کان ثلاثًا۔ (الہدایۃ / کتاب الطلاق ۲؍۳۷۳)

নাজমুল ফাতওয়া ৬/৮২
سوال… کیا فرماتے ہیں علماءِ کرام ومفتیانِ عظام اس مسئلے کے بارے میں کہ کل میرے ایک دوست نے صبح سویرے فون کیا میں  نے فون اٹھایا تو وہ بہت پریشان تھا ، اس کا اپنی بیوی کے ساتھ جھگڑا ہوا ہے اور اس نے کہا کہ میں  نے غصہ میں اپنی بیوی کو تین بارکہا کہ اب تو مجھ سے ہمیشہ کیلئے علیحدہ ہو، اب میرا کیا ہوگا میں  نے دارالافتاء سے رجوع کیا ہے۔ لہٰذا قرآن و حدیث کی روشنی میں جواب دیں کہ کتنی طلاقیں واقع ہوئیں ؟
الجواب بعون الملک الوھاب… صورت مسئولہ میں آپ کے دوست نے اپنی بیوی کو لڑائی جھگڑے کے دوران غصہ کی حالت میں تین بار الفاظ کنائی سے طلاق دی ہے۔ اگر اس سے ان کا ارادہ برا بھلا کہنے کا تھا تب تو طلاق واقع نہیں  ہوئی اور اگر ان الفاظ سے اس کا ارادہ طلاق دینے کا تھا تو اس سےایک طلاق بائن واقع ہوگئی ہے۔

নাজমুল ফাতওয়া ৬/৮৩

سوال… کیا فرماتے ہیں علماءِ کرام ومفتیانِ عظام اس مسئلہ کے بارے میں  کہ بیوی بولتی ہے کہ میرے شوہر نے غصے میں  مجھے کہا کہ جا تو میری طرف سے فارغ ہے جبکہ شوہر بولتا ہے کہ میں  نے ایسا نہیں کہا، یہ جھوٹ ہے۔ بیوی بولتی ہے کہ میرے شوہر نے میرے کو یہ الفاظ تین مرتبہ بولے ہیں جبکہ اس معاملے کا ایک گواہ بولتا ہے کہ میرے سامنے ایک دفعہ زید نے یہ الفاظ بولے ہیں کہ تو میری طرف سے فارغ ہے، بیٹھ جا۔ شوہر اقرار کرتا ہے کہ میں  نے ایک مرتبہ بولا ہے، بالکل ایسے جیسے گواہ بول رہاہے، آیاکہ طلاق ہوئی یا نہیں جبکہ بیوی حاملہ ہے، آیا کس کی بات مستند ہوگی شوہر کی یا بیوی کی؟ جبکہ بیوی ایک سے دو ماہ ساتھ رہی ہے، بعد میں اپنی مرضی سے اپنے باپ کے گھر گئی اور وہاں  جا کر بولتی ہے کہ میرے شوہر نے مجھے طلاق دے دی۔ شوہر الله کو حاضر ناظر جان کر مسجد جا کر اور قرآن کو ہاتھ میں اُٹھا کر اس بات کا اقرار کرنے کو تیار ہے کہ میں  نے طلاق نہیں دی۔ علماء کرام اس پیچیدہ مسئلے میں  کیا فرماتے ہیں کہ طلاق ہوئی یا نہیں ؟ اس مسئلے کا جواب تفصیل سے دیا جائے۔
الجواب بعون الملک الوھاب… صورت مسئولہ میں مذکورہ الفاظ(تو میری طرف سے فارغ ہے) سے حالتِ غضب اور مذاکرہ طلاق میں  بغیر نیت کے طلاق بائن واقع ہوجاتی ہے لہٰذا ایک طلاق بائن بغیر نیت کے بھی واقع ہوجائے گی اور اگر حالت رضا ہو[یعنی غصہ کی حالت نہ ہو اور طلاق کا ذکر بھی نہ چل رہا ہو] تو یہ الفاظ نیت کے محتاج ہوتے ہیں لہذااگر حالتِ رضا ہو اور شوہر کی نیت طلاق دینے کی ہو تو ایک طلاق بائن واقع ہو جائے گی ورنہ نہیں ۔
ایک طلاق بائن واقع ہونے کے بعدچونکہ دوسری طلاق بائن واقع نہیں  ہوتی لہذا مذکورہ لفظ اگر شوہر نے دوسری تیسری مرتبہ کہے بھی ہوں تو بھی ان سے کوئی طلاق واقع نہیں ہوگی پس صورت مسئولہ میں صرف ایک طلاق بائن واقع ہوئی اور طلاق بائن واقع ہونے کے بعد اگر بیوی اس خاوند کے ساتھ رہنے پر راضی ہو تو دوبارہ نکاح کرنے کے بعد دونوں کا ایک ساتھ رہنا جائز ہے۔

নাজমুল ফাতওয়া ৬/৮৩

سوال… کیا فرماتے ہیں علماءِ کرام ومفتیانِ عظام اس مسئلہ کے بارے میں  کہ مذاکرہ طلاق کیا ہے؟ بیوی سے طلاق کی بات مذاکرہ طلاق ہے یا ساس، دوست وغیرہ سے بیوی کے بارے میں ذکر بھی مذاکرہ طلاق ہے اور وہ کنائی الفاظ جو مذاکرہ طلاق میں بغیر نیت وقوع طلاق کا سبب ہوتے ہیں ، ساس یا دوستوں میں بیوی کے ذکر کے وقت ان کا استعمال طلاق واقع کردے گا یا نہیں ؟
(۲) میں نے تجھے فیصلہ دیا یہ الفاظ استعمال کرنے سے طلاق کا وقوع ہوتا ہے یا نہیں ؟ یہ الفاظ صریح ہیں  یا کنائی؟


الجواب بعون الملک الوھاب…  مذاکرۂ طلاق، طلاق کے متعلق گفتگو کو کہتے ہیں وہ چاہے طلاق کے مطالبے کے ساتھ ہو اور مطالبہ چاہے بیوی کرے یا ساس کرے یا کوئی اور یا بغیر مطالبے کے ہو لیکن کسی بھی صورت میں ایسے الفاظ کا ذکر مقدم ہو جو طلاق کی نیت ہونے پردلالت کرتے ہوں  ، وہ مذاکرۂ طلاق شمار ہوگا لہٰذا وہ الفاظ کنائی جو مذاکرۂ طلاق میں  نیت پر موقوف نہیں ہوتے مذکورہ تمام صورتوں میں ان الفاظ سے طلاق واقع ہوجائے گی۔
(۲) ”میں نے تجھے فیصلہ دیا“ اس میں چونکہ لفظ فیصلہ ایسا لفظ ہے جو نہ گالی بن سکتا ہے اور نہ ڈانٹ کیلئے استعمال ہوسکتا ہے، اس میں فقط جواب بننے کی صلاحیت ہے لہٰذا یہ ان الفاظ کنایہ میں سے ہوا جو کہ فقط جواب بن سکتے ہیں اور ان سے طلاق بائنہ واقع ہوتی ہے لہٰذا اس لفظ سے بھی اگر مذاکرۂ طلاق میں  کہا ہو تو بغیر نیت کے طلاق بائنہ واقع ہوجائے گی اور حالت رضا میں طلاق نیت پر موقوف ہوگی۔


لمافی فتح القدیر (۷۳/۴): وقد ظهر مما ذكر أن حال مذاكرة الطلاق لا تقتصر على السؤال وهو خلاف ما قدموه من أنها حال سؤالها أو سؤال أجنبي طلاقها بل هي أعم من حالة السؤال للطلاق ومن مجرد ابتداء الإيقاع ثم على هذا لقائل أن يقول المذاكرة التي تصير الكناية معها ظاهرة في الإيقاع إنما هي سؤال الطلاق لأن ذكر الكناية الصالحة للإيقاع دون الرد عقيب سؤال الطلاق ظاهر في قصد الإيقاع به فيمتنع قبول دعواه إرادة الطلاق بخلاف المذاكرة بمعنى الابتداء بإيقاع الطلاق مرة فان الإيقاع مرة لا يوجب ظهور الإيقاع مرة ثانية وثالثة فلا يكون اللفظ الصالح له ظاهرا في الإيقاع حتى لا يقبل قوله في عدم إرادته بالكناية ۔
وفی الشامیۃ (۲۹۶/۳): قوله ( وهي حالة مذاكرة الطلاق ) أشار به إلى ما في النهر من أن دلالة الحال تعم دلالة المقال قال وعلى هذا فتفسر المذاكرة بسؤال الطلاق أو تقديم الإيقاع كما في اعتدي ثلاثاوقال قبله المذاكرة أن تسأله هي أو أجنبي الطلاق ۔۔۔ قوله ( والكنايات ثلاث الخ ) حاصله أنها كلها تصلح للجواب أي إجابته لها في سؤالها الطلاق منه لكن منها قسم يحتمل الرد أيضا أي عدم إجابة سؤالها كأنه قال لها لا تطلبي الطلاق فإني لا أفعله وقسم يحتمل السب والشتم لها دون الرد وقسم لا يحتمل الرد ولا السب بل يتمحض للجواب كما يعلم من القهستاني وابن الكمال ۔۔۔ قوله ( يحتمل ردا ) أي ويصلح جوابا أيضا ولا يصلح سبا ولا شتما ح۔
وفیہ أیضاً(۳۰۴/۳):قوله ( قال اعتدي ثلاثا ) أي قاله ثلاث مرات قوله ( وبالباقي حيضا ) هذا إذا كان الخطاب مع من هي من ذوات الحيض فلو كانت آيسة أو صغيرة فقال أردت بالأول طلاقا وبالباقي تربصا بالأشهر كان حكمه كذلك ، فتح قوله ( لنيته حقيقة كلامه ) وهو إرادته أمرها بالاعتداد بالحيض بعد الطلاق قوله ( بنية الأول ) أي دلالة الحال بسبب نيته الإيقاع بالأول قال في فتح القدير فقد ظهر مما ذكر أن حالة مذاكرة الطلاق لا تقتصر على السؤال وهو خلاف ما قدموه من أنها حال سؤالها أو سؤال أجنبي طلاقها بل هي أعم منه ومن مجرد ابتداء الإيقاع قوله ( حتى ) تفريع على ما فهم من اعتبار دلالة الحال ط ۔
وفیہ أیضاً (۲۹۹/۳):وقد مر أن الصريح ما لم يستعمل إلا في الطلاق من أي لغة كانت لكن لما غلب استعمال حلال الله في البائن عند العرب والفرس وقع به البائن لولا ذلك لوقع به الرجعي والحاصل أن المتأخرين خالفوا المتقدمين في وقوع البائن بالحرام بلا نية حتى لا يصدق إذا قال لم أنو لأجل العرف الحادث في زمان المتأخرين فيتوقف الآن وقوع البائن به على وجود العرف كما في زمانهم وأما إذا تعورف استعماله في مجرد الطلاق لا بقيد كونه بائنا يتعين وقوع الرجعي به كما في فارسية سرحتك ومثله ما قدمناه في أول باب الصريح من وقوع الرجعي بقوله سن بوش أو بوش أو في لغة الترك مع أن معناه العربي أنت خلية وهو كناية لكنه غلب في لغة الترك استعماله في الطلاق هذا ما ظهر لفهمي القاصر ولم أر أحدا ذكره وهي مسألة مهمة كثيرة الوقوع فتأمل۔


 وفی الشامیۃ(۲۹۷/۳): باب الکنا یات: قوله ( وهي حالة مذاكرة الطلاق ) أشار به إلى ما في النهر من أن دلالة الحال تعم دلالة المقال قال وعلى هذا فتفسر المذاكرة بسؤال الطلاق أو تقديم الإيقاع كما في اعتدي ثلاثا وقال قبله المذاكرة أن تسأله هي أو أجنبي الطلاق۔
وفیہ أیضا(۲۹۹/۳):وأما إذا تعورف استعماله في مجرد الطلاق لا بقيد كونه بائنا يتعين وقوع الرجعي به كما في فارسية سرحتك ومثله ما قدمناه في أول باب الصريح من وقوع الرجعي بقوله سن بوش أو بوش أو في لغة الترك مع أن معناه العربي أنت خلية وهو كناية لكنه غلب في لغة الترك استعماله في الطلاق هذا ما ظهر لفهمي القاصر ولم أر أحدا ذكره وهي مسألة مهمة كثيرة الوقوع فتأمل۔۔۔۔۔وأیضا فیہ: بخلاف فارسية قوله سرحتك وهو رها كردم لأنه صار صريحا في العرف على ما صرح به نجم الزاهدي الخوارزمي في شرح القدوري اھ۔
وکذا فیہ(۳۰۴/۳): باب الکنا یات:قوله ( قال اعتدي ثلاثا ) أي قاله ثلاث مرات ۔۔۔ قوله (بنية الأول ) أي دلالة الحال بسبب نيته الإيقاع بالأول قال في فتح القدير فقد ظهر مما ذكر أن حالة مذاكرة الطلاق لا تقتصر على السؤال وهو خلاف ما قدموه من أنها حال سؤالها أو سؤال أجنبي طلاقها بل هي أعم منه ومن مجرد ابتداء الإيقاع ۔۔۔ قوله ( لو نوى بالثاني فقط ) أي نوى به الطلاق ولم ينو بغيره شيئا فثنتان أي يقع به واحدة وكذا بالثالث أخرى وإن لم ينو به لدلالة الحال بإيقاع الثاني ولا يقع بالأول شيء لأنه لم ينو به ودلالة الحال وجدت بعده۔

 নাজমুল ফাতওয়া ৬/৬৭

البتہ’’ میرے سے فارغ ہے‘‘ سے متعلق اس بات کو ذہن نشین رکھا جائے کہ یہ کنائی کے ان الفاظ کی قبیل سے ہےجو صرف جواب بننے کا احتمال رکھتے ہیں نیز جو الفاظ فقط جواب بننے کا احتمال رکھتے ہوں  ان سے متعلق حکم یہ ہے کہ حالتِ غضب اور مذاکرہ طلاق میں  بغیر نیت کے طلاق بائن واقع ہوجاتی ہے لہذا مذکورہ الفاظ( میرے سے فارغ ہےسے حالتِ غضب اور مذاکرہ طلاق میں  بغیر نیت کے طلاق بائن واقع ہوجائے گی اور اگر حالت رضا ہو[یعنی غصہ کی حالت نہ ہو اور طلاق کا ذکر بھی نہ چل رہا ہو] تو یہ الفاظ نیت کے محتاج ہوں گے ۔
فارغ خطی۔فیروز اللغات میں اس کا ترجمہ یوں کیا ہے”بے تعلقی کی تحریر جو میاں  بیوی کے درمیان ہو، طلاق نامہ‘‘( فیروز اللغات ۲/۹۲۱)لہٰذا طلاق نامہ چونکہ تفریق کیلئے ہی ہوتا ہے اس لئے اس سے ایک طلاق بائن واقع ہوجائے گی اور چونکہ یہ طلاق کیلئے متعارف ہے لہٰذا اس سے بغیر نیت کے طلاق بائن واقع ہوگی۔


لمافی الشامیۃ (۲۹۹/۳):بخلاف فارسية قوله سرحتك وهو " رهاء كردم " لأنه صار صريحا في العرف على ما صرح به نجم الزاهدي الخوارزمي في شرح القدوري ا هـ وقد صرح البزازي أولا بأن : حلال الله علي حرام أو الفارسية لا يحتاج إلى نية ، حيث قال : ولو قال حلال " أيزدبروي " أو حلال الله عليه حرام لا حاجة إلى النية ، وهو الصحيح المفتى به للعرف وأنه يقع به البائن لأنه المتعارف ثم فرق بينه وبين سرحتك فإن سرحتك كناية لكنه في عرف الفرس غلب استعماله في الصريح فإذا قال "رهاكردم " أي سرحتك يقع به الرجعي مع أن أصله كناية أيضا ، وما ذاك إلا لأنه غلب في عرف الفرس استعماله في الطلاق وقد مر أن الصريح ما لم يستعمل إلا في الطلاق من أي لغة كانت ، لكن لما غلب استعمال حلال الله في البائن عند العرب والفرس وقع به البائن ولولا ذلك لوقع به الرجعي .والحاصل أن المتأخرين خالفوا المتقدمين في وقوع البائن بالحرام بلا نية حتى لا يصدق إذا قال لم أنو لأجل العرف الحادث في زمان المتأخرين ، فيتوقف الآن وقوع البائن به على وجود العرف كما في زمانهم .وأما إذا تعورف استعماله في مجرد الطلاق لا بقيد كونه بائنا يتعين وقوع الرجعي به كما في فارسية سرحتك ومثله ما قدمناه في أول باب الصريح من وقوع الرجعي بقوله " سن بوش " أو " بوش " أول في لغة الترك مع أن معناه العربي أنت خلية ، وهو كناية لكنه غلب في لغة الترك استعماله في الطلاق ، وهذا ما ظهر لفهمي القاصر ، ولم أر أحدا ذكره وهي مسألة مهمة كثيرة الوقوع فتأمل ، ثم ظهر لي بعد مدة ما عسى يصلح جوابا ، وهو أن لفظ حرام معناه عدم حل الوطء ودواعيه وذلك يكون بالإيلاء مع بقاء العقد وهو غير متعارف ، ويكون بالطلاق الرافع للعقد ، وهو قسمان : بائن ورجعي ، لكن الرجعي لا يحرم الوطء فتعين البائن ، وكونه التحق بالصريح للعرف لا ينافي وقوع البائن به ، فإن الصريح قد يقع به البائن كتطليقة شديدة ونحوه كما أن بعض الكنايات قد يقع به الرجعي ، مثل اعتدي واستبرئي رحمك وأنت واحدة والحاصل أنه لما تعورف به الطلاق صار معناه تحريم الزوجة ، وتحريمها لا يكون إلا بالبائن ، هذا غاية ما ظهر لي في هذا المقام ، وعليه فلا حاجة إلى ما أجاب به في البزازية من أن المتعارف به إيقاع البائن ، لما علمت مما يرد عليه ، والله سبحانه وتعالى أعلم۔

কিতাবুন নাওয়াজেল ২/২৫৬
مذاکرۂ طلاق کے دوران کہنا کہ ’’ہم نے تینوں دیا‘‘
سوال(۳۳۲):- کیا فرماتے ہیں علماء دین ومفتیانِ شرع متین مسئلہ ذیل کے بارے میں کہ: ایک ماہ سے مسلسل ماں اور اس کے لڑکے کے درمیان جھگڑا ہورہا تھا، بیوی کی غیر موجود گی میں ایک روز پھر جھگڑا شروع ہوا، ماں بیٹے کے درمیان تو بیٹے نے کہا میری شادی آپ لوگ کرتے ہیں، میری بیوی سے متعلق زیادہ طعن وتشنیع کروگے، تو ہم چھوڑدیںگے، غصہ میں آکر بیٹے نے کہا ماں سے کہ ’’ہم نے تینوں دیا‘‘، مزید ڈرانے دھمکانے کے لئے کہا، لیکن لڑکا سے سوال کرنے پر بیان دیا کہ میں نے تینوں کا لفظ جو استعمال کیا وہ ماں کو ڈرانے دھمکانے کے لئے کہا ہے، تاکہ روز انہ کا جھگڑا ختم ہوجائے، طلاق دینی کی نیت یہ جملہ ادا کرتے وقت بھی نہ تھی، اور اب بھی نہیں ہے؟ اس مسئلہ کے متعلق امارتِ شرعیہ بہار کے دارالافتاء سے عدمِ وقوع کا فتویٰ آیا ہے، آپ کی اس کے بارے میں کیا رائے ہے؟
باسمہٖ سبحانہ تعالیٰ
الجواب وباللّٰہ التوفیق: مسئولہ صورت میں چوںکہ مذکراۂ طلاق یعنی اس جملہ کہ ’’میری بیوی سے متعلق زیادہ طعن وتشنیع کروگے تو ہم چھوڑ دیںگے‘‘ کے بعد یہ لفظ کہا ہے کہ ’’ہم نے تینوں دیا، تو ایسی صورت میں فتاوی شامی کی درج ذیل عبارت سے نیت طلاق کے بغیر بھی تین طلاقوں کے وقوع کا حکم معلوم ہوتا ہے، اس لئے آپ فتاوی شامی کے جزئیہ کے حوالے کے ساتھ دوبارہ دارالافتاء امارت شرعیہ بہار سے رجوع کریں وہ جزئیہ یہ ہے:
لو قال: أنت بثلاث: وقعت ثلاثا إن نوی؛ لأنہ محتمل لفظہ، ولو قال: لم أنو لا یصدق إذا کان في حال مذاکرۃ الطلاق؛ لأنہ لایحتمل الرد وإلاصدق۔ (شامي / باب الکنایات ۴؍۵۳۶ زکریا) فقط

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...