আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
775 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
শায়েখ,
১।স্ত্রী যদি নামাজরত অবস্থায় থাকে তখন যদি স্ত্রীকে দেখে যদি স্ত্রীর সাথে সহবাসের চিন্তা করি তাহলে কি গুনাহ হবে?

২। স্ত্রী যদি নামাজরত অবস্থায় থাকে তারপর স্ত্রীর নামাজ শেষ হওয়ার পর পরি মানে সালাম ফিরানোর পরে স্ত্রী দাঁড়ায়ও নাই দাঁড়ানোর সু্যোগও পায় নাই বসাই ছিল ওই সময় যদি স্বামী স্ত্রীকে ওই জায়গায় মানে যেখানে স্ত্রী নামাজ আদায় করেছে সেই জায়গায়ই এবং সেই কাপড়েই যেই কাপড়ে স্ত্রী নামাজ আদায় করেছে সেই কাপড়েই যদি স্বামী স্ত্রীর সাথে সহবাস করে তাহলে কি গুনাহ হবে? একটু বুঝিয়ে বললে অনেক উপকৃত হব ইন শা আল্লাহ।
৩।বিশেষ করে স্ত্রী যদি বোরকা,হিজাব বা খিমার পড়া অবস্থায় থাকে তখন স্বামী স্ত্রীকে দেখে যদি স্বামীর যৌন উত্তেজনা অনেক বেশি হয় এবং স্বামী স্ত্রীকে দেখে যদি সহবাসের চিন্তা করে তাহলে কি গুনাহ হবে? যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন তাহলে অনেক উপকৃত হব ইন শা আল্লাহ।
৪।বিশেষ করে স্ত্রী যখন বোরকা,হিজাব বা খিমার পড়ে স্বামীর যদি অনেকটা ভালো লাগে এর কারনে স্বামী যদি স্ত্রীকে বোরকা, হিজাব বা খিমার পড়িয়ে নিয়ে তারপর স্ত্রীর সাথে সহবাস করে মানে স্ত্রী বোরকা, হিজাব বা খিমার পড়া অবস্থায় স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে সহবাস করে তাহলে কি গুনাহ হবে ইমান নষ্ট হয়ে যাবে? উল্লেখ্য স্ত্রী যদি বোরকা, হিজাব বা খিমার পড়ে স্বামীর অনেকটা ভালো লাগলে।শায়েখ যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন তাহলে অনেক উপকৃত হব ইন শা আল্লাহ।
৫।স্ত্রী যে কাপড়ে নামাজ পড়ে বা বোরকা, হিজাব বা খিমার পড়ে আর এই কাপড় গুলো পড়া অবস্থায় স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে সহবাস করে তাহলে কি গুনাহ হবে? এগুলো কাপড় পড়ে কি সহবাস করা যাবে?
৬।স্বামী যদি জুব্বা পাঞ্জাবি পায়জামা পড়ে স্ত্রীর সাথে সহবাস করে তাহলে কি গুনাহ হবে?
৭। স্ত্রী কি স্বামীর সামনে অনেক টাইট কাপড় তারপর লেডিস গেঞ্জি বা লেডিস পায়জামা পরতে পারবে?

৮।প্রশ্নে যা উল্লেখ করলাম সেই কাপড় পড়ে কি সহবাস করা যাবে?একটু বুঝিয়ে বললে অনেক উপকৃত হব ইন শা আল্লাহ।

1 Answer

+1 vote
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্বামী স্ত্রী একে অপরের কাছ থেকে যেকোনো ভাবে ফায়দা নিতে পারবে। হারাম বিষয়কে পরিহার মূলক পরস্পর পরস্পর থেকে যেকোনো ভাবে ফায়দা নিতে পারবে।

أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ۗ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ ۖ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ ۚ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ ۚ وَلَا تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ ۗ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَقْرَبُوهَا ۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ

রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে।(সূরা বাকারা-১৮৭)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফিকহের মূলনীতি হল,
উসূলে ফিকহের মূলনীতি হলো,
الأمور بمقاصدها-(شرح المجلة لسليم رستم باز)
প্রত্যেক কাজ তার উদ্দেশ্যর উপর নির্ভরশীল।


সুতরাং উদ্দেশ্য ভালো হওয়া না হওয়ার উপর আপনার প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করবে। ভালো উদ্দেশ্য হলে জায়েয নতুবা নাজায়েয।


১।স্ত্রী যদি নামাজরত অবস্থায় থাকে তখন যদি স্ত্রীকে দেখে যদি স্ত্রীর সাথে সহবাসের চিন্তা করা হয়, তাহলে  গুনাহ হবে না।

২। স্ত্রী যদি নামাজরত অবস্থায় থাকে তারপর স্ত্রীর নামাজ শেষ হওয়ার পরপরই মানে সালাম ফিরানোর পরে স্ত্রী দাঁড়ায়ও নাই, দাঁড়ানোর সু্যোগও পায় নাই, বসাই ছিল, ওই সময় যদি স্বামী স্ত্রীকে ওই জায়গায় মানে যেখানে স্ত্রী নামাজ আদায় করেছে সেই জায়গায়ই এবং সেই কাপড়েই যেই কাপড়ে স্ত্রী নামাজ আদায় করেছে, স্বামী তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে তাহলেও গুনাহ হবে না। তবে উত্তম হল, জায়নামায বা নামাযের কাপড়ে সহবাস না করা,কেননা এতেকরে কাপড় অপবিত্র হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়।

৩।বিশেষ করে স্ত্রী যদি বোরকা,হিজাব বা খিমার পড়া অবস্থায় থাকে, তখন স্বামী স্ত্রীকে দেখে যদি স্বামীর যৌন উত্তেজনা অনেক বেশি হয় এবং স্বামী স্ত্রীকে দেখে যদি সহবাসের চিন্তা করা হয়, তাহলেও গুনাহ হবে না। 

৪।বিশেষ করে স্ত্রী যখন বোরকা,হিজাব বা খিমার পড়ে স্বামীর যদি অনেকটা ভালো লাগে এর কারনে স্বামী যদি স্ত্রীকে বোরকা, হিজাব বা খিমার পড়িয়ে নিয়ে তারপর স্ত্রীর সাথে সহবাস করে, মানে স্ত্রী বোরকা, হিজাব বা খিমার পড়া অবস্থায় স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে সহবাস করে, তাহলেো গুনাহ হবে না। ইমান নষ্ট হবে না। 

৫।স্ত্রী যে কাপড়ে নামাজ পড়ে বা বোরকা, হিজাব বা খিমার পড়ে আর এই কাপড় গুলো পড়া অবস্থায় স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে সহবাস করে তাহলেও গুনাহ হবে না।

৬।স্বামী যদি জুব্বা পাঞ্জাবি পায়জামা পড়ে স্ত্রীর সাথে সহবাস করে তাহলেও গুনাহ হবে না।

৭। স্ত্রী স্বামীর সামনে অনেক টাইট কাপড় তারপর লে ডিস গেঞ্জি বা লেডিস পায়জামা পরতে পারবে।

৮। জ্বী, সহবাস করা যাবে।তবে ভিনদেশি মানুষের কল্পনা করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...