আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
এই ফতুয়ায় বলা হয়েছে আমি একজন ওয়াসওয়াসার রোগী।
নিচে ফাতওয়া টা দেখলেই বুঝতে পারবেন আমার অবস্থা কি রকম।
https://ifatwa.info/56834/

আমার ওয়াসওয়াসা কে বিবেচনা করে একটু উত্তর দিবেন।আমি আসলেই একজন প্রচন্ড রকমের ওয়াসওয়াসার রোগী।আমি যতক্ষন জেগে থাকি ততক্ষণ মাথায় এটা ঘুরতে থাকে , এক মিনিটের জন্যে ঘুম যদি ভেঙে যায় তখনো এইটাই চিন্তা চলে আসে।একটা মানুষের পক্ষে যতটা ওয়াসওয়াসা আসা সম্ভব ঠিক ততটা ।কথায় কথায় সন্দেহ হয়। আমার স্স্বাভাবিক জীবন টা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে ওয়াসওয়াসার কারনে।  আমি আর এই যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছিনা। আমার একের পর এক প্রশ্নের কারনে আমার স্ত্রী অনেক বিরক্ত। আমার বিষয় গুলো বিবেচনা করে একটু উত্তর দিবেন দয়া করে,প্লিজ ।

প্রশ্ন) স্বামী স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। সামী স্ত্রীকে আগেই সাবধান করে কোন শব্দ উচ্চারণ না করে ইংগিতে বুঝায় যাতে অই টাইপের কোন কথা না বলে যাতে মজলিস না তৈরী হয়।তারপর কথা কাটাকাটি হয় এক পর্যায়ে স্ত্রীকে চুপ করাতে সামী  বলে ,যে তুমি কি চাও আমি উল্টো পাল্টা কিছু বলি, তুমি কিন্তু আমাকে বাধ্য করতেছো। তারপর স্ত্রী সম্ভবত বলে , "আমি কিছুই বলিনি এবং কিছু বলাইতে বাধ্য ও করিনি যা বলার তুমিই বলতেছো " কিন্তু স্ত্রী কোন কেনায়া শব্দই বলেনি ।স্বামীর ওয়াসওয়াসার কারনে ভূল বুঝে যে স্ত্রী মনে হয় কেনায়া শব্দ বলে ফেলেছে যার কারনে সম্পর্ক হয়তো হারা* হয়ে গিয়েছে তাই স্বামী বলে , "তুই হালাল সম্পর্ক টাকে হারাম বানাইছোস" । একথার বলার উদ্দেশ্যে ছিল যে , স্বামী ভয় দেখায়   স্ত্রীর কথায় কেনায়া বাক্য বা শব্দ বলেছে যার  দারা সম্পর্ক টা হারা* হয়ে গেছে এবং ভয় দেখায় যাতে  এই কথা শুনে স্ত্রী চুপ হয়ে যায় ।কিন্তু সত্যটা হচ্ছে স্ত্রী আদৌ কেনায়া শব্দও বলেনি আর তাছাড়া স্ত্রীর তা*** এর অধিকার ও নেই । স্ত্রী বেচারী আসলেই কোন কিছুই বলেনি।স্ত্রীও বুঝতে পারে তাকে ধমকের উদ্দেশ্যেই এই কথা বলেছে তার সামী। সামীর উদ্দেশ্য ছিলো ঝগড়া যেনো না বাড়ে স্ত্রী যেন ভয় পেয়ে চুপ হয়ে যায়। এবং সেখানে কেউ তা*** শব্দ উচ্চারণ ও করেনি এমনকি তা*** চাওয়া  হয়নি  ।
এবং স্বামী আল্লাহর নামে কসম করে বলেছে যে স্ত্রীকে তা*** উদ্দেশ্য করে উক্ত কথা বলেনি । এবং স্ত্রী ও সেটা বুজতে পেরেছে।

দয়া করে একটু জানাবেন

স্ত্রী , সামীর পুরো পরিবার ,এবং সামীর ঘনিষ্ঠরা জানে তার সামী OCD আক্রান্ত । দেশের বাহিরে থাকার কারনে এখনো ডাক্তার দেখাতে পারছেনা যার কারনে প্রেসক্রিপশন দেখাতে পারছিনা।  দেশে আসলে ডাক্তার দেখাবো ডিসেম্বর এ । আপাতত মোবাইলে রুকাইয়া শুনে ভালো থাকার চেষ্টা করছি।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন ,
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।
এখানে স্বামী তার স্ত্রীকে বলেছে, "তুই হালাল সম্পর্ক টাকে হারাম বানাইছোস" স্বামীর এতটুকু কথা বলার দরুন তালাক হবেনা।

আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...