আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
387 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (82 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

শায়েখ  একজন ব্যাক্তি তার খালাকে তালাকের মাসআালা বুঝাচ্ছে। স্বামী বা স্ত্রী এরকম এরকম বললে তালাক হয়ে যায়।তহ ও নিজের দিকে ইন্গিত করে নি। প্রত্যেকবার মানুষ বা স্বামী ও স্ত্রী বলে এরকম বলেছে।তহ লাস্টে গিয়ে আর স্বামি স্ত্রী বলে  এরকম বলে নি।কারন সে জানে সে অন্যদের দিকে ইন্গিত করে বুঝাচ্ছে। আর ১ম এও বলেছে তাই লাস্টে আর বলে নি।এতে কি ওর বৈববাহিক জীবনে সমস্যা হবে?যেমন মেয়েটি যদি বলে".......... দিব বললে হয় না,  তারপর.......  বললে হয় যে"।এতে কি তালাক হবে?সে মাসআালা বলার সময় ভয়ে ভয়ে বলতেছিল যাতে নিজের দিকে ইন্গিত না হয়।আর  প্রশ্নে উল্ল্যেখিত ব্যাক্তিটি মেয়ে।ওর স্বামী ওকে তালাকের অধিকার দিয়েছে।  লাস্টে  সে পুরুষের  উদাহরন দিয়ে বুঝাচ্ছিল। কিন্তুু লাস্টে এসে ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে ওর মনে।ভয়ে সে আর কিছু বলে নি।মেয়েটি শুধু লাস্টের দিকে বলেছে..... দিব বললে হয় না,তারপর আর বলে নি কিছু ভয়ে।মানে বাকি অংশ আর বলে নি ভয়ে। বাকি অংশ বললেও কি সমস্যা হত? সে তহ নিজের দিকে ইন্গিত করে বলে নি।

২।আর শায়েখ আমার স্বামি আমাকে তালাকের অধিকার দিছে।উপরের প্রশ্নটা করার কারনে আমার বৈবাহিক জীবনে কি সমস্যা হবে?প্রশ্নটা যদি আমার হয় আমি নিজের দিকে ইন্গিত না করে প্রশ্ন করেছি।এতে আমার বৈবাহিক জীবনে সমস্যা হবে?আমি চায় না আমার স্বামীর সাথে আমার বিচ্ছেদ হোক।

৩।কারো মনে তালাকের চিন্তা আসলে হ্যা বা না বলার দ্বারা কি তালাক হয়? তালাকের কথা উচ্চারন না করে।শুধু হ্যা বা না বললে?মানুষের মনে তহ বিভিন্ন চিন্তা আসে।হ্যা বা না বললে কি তালাক হয়?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

(০১)
তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

لو كرر مسائل الطلاق بحضرة زوجته ويقول: أنت طالق ولا ينوى طلاقا لا تطلق، (فتح القدير، كتاب الطلاق، باب ايقاع الطلاق-4/4)
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীর উপস্থিতিতে তালাকের মাসয়ালা বারবার বলে,তালাক প্রদানের নিয়ত না করে,তাহলে তালাক পতিত হবেনা। 

★সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো তালাক হবেনা।

(০২)
এতে আপনার বৈবাহিক জীবনে সমস্যা হবেনা।

(০৩)
এতে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (657,800 points)


يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সর্বসম্মতিক্রমে তালাকের জন্য নিজের ইচ্ছা বা দৃঢ় মনোভাব থাকা শর্ত। অর্থাৎ এমন শব্দ উচ্ছারণ করা শর্ত যাতে নিজের ইচ্ছার কথা প্রতিফলিত হয়।যদি তালাকের নিয়ত না থাকে, তাহলে তালাক পতিত হবে না। সুতরাং তালাকের অপছন্দকারী ব্যক্তির তালাক শব্দ বলার দ্বারা তালাক হবে না।
অন্তরের প্ররোচিকা বা অন্তরের প্ররোচিকা দ্বারা তালাক হবে না।কেননা এখানেতো তালাক শব্দের অর্থকে উদ্দেশ্য নেয়া হচ্ছে না।বরং শিক্ষা বা কাহিনি বর্ণনার উদ্দেশ্যে তালাক শব্দ উচ্ছারণ করা হয়েছে। (আল ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিল্লাতুহু-৭/৩৬৮)

لو كرر مسائل الطلاق بحضرة زوجته ويقول: أنت طالق ولا ينوى طلاقا لا تطلق، (فتح القدير، كتاب الطلاق، باب ايقاع الطلاق-4/4)
যদি স্ত্রীর উপস্থিতিতে তালাকের মাস'আলা মাসাঈলকে বারংবার বলা হয়, যেমন স্বামী বলল, তুমি তালাক,এবং এমতাবস্থায় স্ত্রীকের তালাকের উদ্দেশ্য নেই, তাহলে স্ত্রী তালাক হবে না।(ফাতহুল কাদির-৪/৪)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...