আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
509 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (50 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

হুজুর আমি মাঝে মাঝে মনমালিন্যের সময়,সামির কিছু কিছু কাজ ভাল লাগে না।ওই কাজ থেকে মুক্তি চেয়েছি,আার হয়ত বলেছি কি জন্য বিয়ে করলাম জানি না আর হয়ত বলেছি সহ্য করতে পারতেছি না।তহ উত্তরে স্বামী যদি বলে আর করব না কাজ ওইগুলা,মুক্তি দেব,  আমাকে ভাল না লাগলে থাকিও না চলে যাও কস্ট করে থাকিও না।কোন নিয়তে বলত স্বামীও জানে না।ওনি বলতেছে কোনদিন তালাকের নিয়তে এসব কথা বলে নি।আর বলেছে কোনদিন বলে নি তালাকের নিয়তে কোন কথা।তালাকের মজলিস ছিল কিনাও জানি না।ওনি নিজ থেকে কোনদিন আমাকে চলে যেতে বলে নি আমার যদ্দূর মনে আছে। আমাদের কি তালাক হবে এসব কথা,দ্বারা?...........হুজুর আরেকটা কথা আমার স্বামীর সাথে আমার বিয়ের আগে থেকে পরিচয়।আমাদের ঝগড়া হলে গালি গালাজ হত।একবার বলেছিল"তোর মারে চু*দি"।কিছু  মনে করিয়েন না হুজুর দুঃখিত।কথাটা বিয়ের আগে বলেছিল।বিয়ে হয়েছে একবছর হচ্ছে। বিয়ের পর আর বলেছে কিনা জানি না,মনে নেই।এসএমএসে কথা বলি তহ,বিয়ের পরে বলেছে কিনা মনে নেই। ওটা হচ্ছে একটা গালি।কোন সত্যি সত্যি ওইরকম করে নি।স্বামী বলতেছে ও বললেও কোন তালাকের উদ্দেশ্যে বলে নি।আর ওটা কখন বলেছে সেটাও ওনার মনে নেই  মনে হয়।ওনাকে জিগ্যেস করেছি কিন্তু ু ওনি জিগ্যেস করতে বারণ  করেছে আর বলতেছে আমার কোন উদ্দেশ্যে ছিল না।রেগে গালি মুখ দিয়ে বের হয় গেছে।আর কিছু বলেনি  ওনি।সম্পর্ক শেষ করার জন্য বলেনি হুজুর কথাটা।এমনিতে গালি।বিয়ের পর বললে কি তালাক হবে?।আবার বিয়ের পর কয়েকবার গালি গালাজ করেছে,৩-৪ বার মা ধরে কিন্তুু ওটা বলেছে কিনা মনে নেই,আমার দোষেই করেছিল গালি গালাজ।হুজুর উপরোক্ত দুইটা ঘটনা ও বিয়ের পর মাকে ধরে গালিগালাজ করার দ্বারা কি তালাক  হবে?ছেড়ে দেওয়ার কথা কোনদিন বলে নি।বিয়ের পর রাগ ওঠলে গালি দিত।যেমনঃতুর মাকে নিয়ে টানা টানি করছি নাকি আমি,তুর মার জামাই পাইছস নাকি আমাকে ইত্যাদি।আরো কত গালি।রাগ উঠলে গালি দিত ।পরে সব ঠিক হয়ে যাইত।ক্ষমা ও চাইত মাঝে মাঝে।গালির উদ্দেশ্যে বলত।তালাকের উদ্দেশ্যে নই।এখন আর গালি দেই না হুজুর।আমাদের সম্পর্কের কিছু হবে?আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক কি বৈধ আছে হুজুর?আমার হুজুর সবসময় ভয় হয় আমার বৈবাহিক সম্পর্ক বৈধ আছে কিনা ভেবে।কি করব হুজুর এখন?

1 Answer

0 votes
by (711,880 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1049 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।
তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।
যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী))(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

'গার্জিয়ানকে ডাকো, তোর আর সাথে সংসার করবো না'
এরকম কথাবার্তা কেনায়া তালাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরা এমন কথা স্বামী তালাকের নিয়তে বললে তালাকে বায়েন বায়েন পতিত হবে।এক তালাকের নিয়ত থাকলে এক তালাক,আর তিন তালাকের নিয়ত থাকলে তিন তালাক পতিত হবে।আর ভয়প্রদর্শনের নিয়তে বললে অবশ্যই তালাক পতিত হবে না(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৯/৪৫১)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করছে , তাই তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (711,880 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...