ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
প্রত্যেক আয়াত ও সূরাকে রাসূলুল্লাহ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।তবে সূরায়ে তাওবাহ নামে যে কয়েকটি আয়াত লোকমুখে প্রচলিত ছিল, বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাঃ পৃথক করে কিছু বলে যাননি। এই আয়াত গুলি কি পৃথক কোনো সূরা না সূরায়ে আনফালের অংশ।
সূরা তাওবাহতে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা রয়েছে,তার পূর্ববর্তী সূরা সূরায়ে আনফালেও হুবহু সেই বিষয়বস্তুর আলোচনা রয়েছে।তাই সূরায়ে তাওবাহ কি সূরায়ে আনফালের অংশ সেটা নিয়ে সাহাবাগণ সংশয়ে ছিণেন।এজন্য উসমান রাযি কর্তৃক সংকলিত সংস্করণে তাওকাহর পূর্বে বিসমিল্লাহ লিখা হয় নি।
সুতরাং সূরায়ে তাওবাহর পূর্ব থেকে তিলাওয়াত করে আসলে, সূরায়ে তাওবাহতে নতুনকরে আউযু বিল্লাহ বিসমিল্লাহ পড়তে হয় না।তবে যদি সূরায়ে তাওবাহ থেকে নতুনকরে তিলাওয়াত শুরু করা হয়, তাহলে তখন আউযু বিল্লাহ বিসমিল্লাহ পড়তে হবে।
ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ- ফাতাওয়া নং-
144103200108
(২)
দুধভাত খাবার সময় দুধ যে হাড়িতে জ্বালানো হয়, সেই হাঁড়িতে ভাত খাওয়াতে কোনো অসুবিধা নাই।
(৩)
সাদাস্রাব হলে পাজামা ধুয়ে সেই ভিজা পায়জামা দিয়ে সালাত আদায় করলে সালাত আদায় হবে।
স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করলে সেটা পরিধেয় অবস্থায় সালাত আদায় করা যাবে না। কেননা এক দিরহামের অতিরিক্ত নাজাসত নিয়ে নামায পড়া যায় না।
(৪)
৭৭ কিলোর অধিক জায়গা সফর করার নিয়তে সফরে বের হলে কসর করতে হবে।তবে যদি কেউ ৭৭ কিলোর কম জায়গা সফর করার নিয়তে ঘর থেকে বের হয়, তারপর পরের দিন আরো কিছু জায়গা সফর করার নিয়ত করে, তারপর আরো কিছু সফর করার নিয়ত করে, এবং সবকিছু মিলিয়ে ৭৭ কিলোর অধিক হয়, তাহলে তখন সে মুসাফির হবে না। যেমন আসামী বা চোর ধরার নিয়তে কেউ ঘর থেকে বের হলে, এভাবে সারা দুনিয়া সফর করলেও সে মুসাফির হবে না।