আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
204 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (129 points)
১,তোর মত বউ আমার লাগবেনা,এটা তালাকের নিয়তে বললে তালাক হবে?

২,সালাফী 'আলিম রা বলেন তালাকের ক্ষেত্রে রাগের ৩টা স্তর,তার মাঝে একটি হল রাগে হুশজ্ঞান হারিয়ে ফেলা।আরেকটি হল হুশজ্ঞান না হারানো তবে তালাকের কথাটি অতিরিক্ত রাগে বলে ফেলা কিন্তু তার আগে বা পরে তালাকের নিয়ত না থাকা , উভয় ক্ষেত্রেই তালাক হবেনা,কথাটি কি সত্য?

৩,আমার যেটি হয় নরম্যাল কোনো কথা যেটা কিনা কেনায়া তালাক ও হতে পারে এসব বলার সময় কেউ অটোমেটিক যেন তালাকের কথা মনে করাই দেয়।ওয়াসোয়াসা টাইপ।ত আমি যখন বলি,যেখানে খুশি চলে যাও।তখন তালাকের চিন্তা আসে।অনেক সময় চিন্তা এসে গেলে আমি চুপ হয়ে চিন্তাটা ফেলে দিয়ে সেই কথা বলি।অনেক সময় এত রাগ লাগে যে চিন্তা ফেলতে পারিনা বা ভাবি যা/তালাক হলে হয় হোক তবু
বলব কথাটা।তারপর উক্ত কথা বলি। এখানে তালাকের চিন্তা আসে,কিন্তু তালাক দেয়ার নিয়ত থাকে কিনা নিশ্চিত না,সম্ভবত থাকেনা

৪,নামাজে দুই সিজদার মাঝ খানে বসা অবস্থায় কতটুক বিরতি দেয়া ওয়াজিব।আমি সাধারণত সিজদা থেকে উঠে সোজা হয়ে বসেই আবার সিজদাহ তে চলে যায়,রানিং অবস্থার মত।মিলি সেকেন্ড ও স্থির থাকিনা।

৫,অনেক সময় তাড়াহুড়োর ক্ষেত্রে দেখা যায় সালাম ডান পাশে ফিরিয়ে বাম পাশে যখন ফিরছি,পুরো সালাম দেয়ার আগেই বসা থেকে উঠা শুরু করি।বাম পাশের সালাম যখন শেষ হয়বতখন প্রায় আধ বসা অবস্থা।তাহলে কি সালাত শুদ্ধ হবে?

৬,তালাকের নিয়তে স্ত্রীকে মেসেজ ব্লক দিলে কি তালাক হবে? উল্লেখ্য মুখে কিছু বলা হয়নাই

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
"তোর মত বউ লাগবে না" এ রকম কথা তালাকের নিয়তে বললেও তালাক হবে না।

(২)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/182

(৩)
আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।

যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বর্ণিত বিবরণ অনুযায়ী, তথা নরমাল কথা বলার সময়ে তালাকের নিয়ত নেই, তবে অটোমেকিক তালাকের কথা মনে হয়ে যায়, এদ্বারা তালাক হবে না।আপনি উপরের লিংকের লিখাটাকে ভালোভাবে পড়বেন।জাযাকাল্লাহ।

(৪)
সিজদা থেকে উঠে সোজা হয়ে মাথা এবং পিঠ কে সমান করা ওয়াজিব। এবং আল্লাহুম্মাগফির-লি পড়া মুস্তাহাব। সুতরাং দু'আ পড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে তারপর দ্বিতীয় সিজদাতে যাবেন।হ্যা, কোনো কোনো হাদীসে এর চেয়েও লম্বা দু'আর কথা বর্ণিত রয়েছে।

(৫)
সালাত তো হয়ে যাবে।তবে ধীরসুস্থে নামায পড়াই কাম্য। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7490


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 102 views
...