আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
535 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।

১। সাবালক দুইজন পুরুষের সামনে যদি,,, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী পুরুষ একে অপরকে স্বামী স্ত্রী/ বর বউ,,,  সম্মোধন করে,,, তাহলে কি তাদের ইজাব কবুল হয়ে যায়?? মানে একজন যদি বলে তুমি না আমার জামাই,,,এই কাজটা করো না দয়া করে,,, ছেলেটাও যদি বলে হ্যাঁ/ আমি তোমার জামাই। বা যদি বলে তুমি আমার বউ।  তাহলে কি তাদের বিয়ে হয়ে যায়??

২। ১ নাম্বার প্রশ্নে যে ঘটনা টি ঘটেছে সেটা যদি এমন কোন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঘটে যাদের মধ্যে ১ তালা* বায়ে* হয়েছে,,,, তাহলে কি তাদের ইজাব কবুল হবে??

৩।যদি এরকম ঘটনা যাদের সামনে ঘটেছিল সেই দুইজন সাবালক ছেলে যদি সঠিক মনে না করতে পারে,, বা যে দুইজনের মধ্যে ঘটেছিল তারা সঠিক মনে না করতে পারে যে দুইজনই বর /বউ ডেকেছিল নাকি শুধু একজন ডেকেছিল। তাহলে হুকুম কি?? যেকোনো একজন সম্মোধন করেছিল বলে মনে আছে কিন্তু সেই কথার উত্তরে কি হ্যাঁ বোধক বা সম্মতিসূচক  কিছু বলেছিল কিনা মনে না থাকলে হুকুম কি??

৪। যদি এই ঘটনা স্পষ্ট মনে না থাকে তাহলে কি তারা ধরে নিবে যে ইজাব কবুল হয়নি??,,আর তারা যদি অবিবাহিত হয়ে থাকে তাহলে ,, এরকম  সন্দেহ থাকার কারণে  ইজাব কবুল হয়নি ধরে নিলে কি আল্লাহ মাফ করবেন?? বা তারা কি পাপী হবে অন্য কাউকে বিয়ে করলে??

৫। যদি এমন হয় যে সত্যি সত্যি ইজাব কবুলের মত ঘটনা ঘটেছিল কিন্তু তারা সন্দেহ থাকার কারণে ধরে নেয় ইজাব কবুল হয়নি,,, তাহলে কি আল্লাহ মাফ করবেন??

৬। ifatwar একটা ফতোয়া তে দেখেছিলাম যে মুফতি ইমদাদুল হক হুজুর বলেছিলেন জামাই / বউ বলে ডাকলে বিয়ে হয়ে যায় যদি সামনে সাক্ষি থাকে দুইজন। তাহলে দেনমোহর বলা ছাড়া শুধু দুষ্টামী করে জামাই/ বউ বলে ডাকলেও বিয়ে হয়ে যাবে যদি দুইজন সাক্ষি থাকে এই ঘটনার??

৭।কোন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে একটি বিষয় নিয়ে কথা হয়, ছোট বেলার টিকা/ ইঞ্জেকশন নিয়ে। স্বামীর শরীরে টিকার দাগ না থাকায় স্ত্রী মজা করে বলে তোমার মা মনে হয় তোমাকে টিকা দেন নি৷  এইভাবে কথা হতে হতে স্বামী রেগে যান আর বলেন,"" তুমি আমাকে জন্ম দিয়েছো তো, তাই তুমি বেশি জানো। তাই না?।"""

এই কথা সে রেগে গিয়ে বলে ফেলেছে,, স্বামী খুবই রাগী তাকে নিয়ত জিজ্ঞেস করলে হিতে বিপরীত হবে৷ এখন ওই স্ত্রী কি করবে?? তাদের সম্পর্কে কি কোন সমস্যা হবে??

এতে কি যিহার হবে??বা কাফফারা আদায় করতে হবে? তাদের সহবাস কি হালাল হবে নাকি হারা*??

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
বিবাহের ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)

অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল  বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}

★বিবাহের ক্ষেত্রে পাত্রও যেমন বিবাহের প্রস্তাব পেশ করতে পারে,পাত্রীও প্রস্তাব পেশ করতে পারে।

সাবিত আল বুনানী (রহ.) হতে বর্ণিত।

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مِهْرَانَ قَالَ سَمِعْتُ ثَابِتًا الْبُنَانِيَّ قَالَ كُنْتُ عِنْدَ أَنَسٍ وَعِنْدَه“ ابْنَةٌ لَه“ قَالَ أَنَسٌ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَعْرِضُ عَلَيْهِ نَفْسَهَا قَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَلَكَ بِي حَاجَةٌ فَقَالَتْ بِنْتُ أَنَسٍ مَا أَقَلَّ حَيَاءَهَا وَا سَوْأَتَاهْ وَا سَوْأَتَاهْ قَالَ هِيَ خَيْرٌ مِنْكِ رَغِبَتْ فِي النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَعَرَضَتْ عَلَيْهِ نَفْسَهَا.

তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-এর কাছে ছিলাম। তখন তাঁর কাছে তাঁর কন্যাও ছিলেন। আনাস (রাঃ) বললেন, একজন মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কি আমার প্রয়োজন আছে? এ কথা শুনে আনাস (রাঃ)-এর কন্যা বললেন, সেই মহিলা কতই না নির্লজ্জ, ছিঃ লজ্জার কথা। আনাস (রাঃ) বললেন, সে মহিলা তোমার চেয়ে উত্তম, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচর্য পেতে অনুরাগী হয়েছিল। এ কারণেই সে নিজেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পেশ করেছে। ( সহীহ বুখারী-৫১২০)

قال في "كشاف القناع" (5/ 37) : "ولا ينعقد النكاح إلا بالإيجاب والقبول ، والإيجاب هو اللفظ الصادر من قِبَل الولي أو من يقوم مقامه كوكيل.

সারমর্মঃ
ইজাব কবুল ব্যাতিত বিবাহ হবেনা।
ইজাব হলো যে শব্দটি অভিভাবক অথবা তার স্থলাভিষিক্ত এর থেকে বের হয়,যেমন উকিল।    

এমন সব শব্দে বিবাহ সংঘটিত হবে। যেমন বলা, (زوجت أو نكحت) আমি বিবাহ করলাম বা বিয়ে দিলাম। অথবা বলা, (قبلت هذا النكاح) আমি এ বিয়ে কবুল করলাম। অথবা (تزوجتها) আমি তাকে বিয়ে করলাম, বা (تزوجت) আমি বিয়ে করলাম, অথবা (رضيت) এ বিয়ে আমি রাজি আছি।

প্রস্তাব (الإيجاب): অলী তথা অভিভাবক অথবা যিনি তার স্থলাভিষিক্ত হবেন তার পক্ষ থেকে বিয়ে করার বা বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া। 

★ কবুল (القبول): স্বামী বা তার স্থলাভিষিক্ত থেকে বিয়ে কবুল করার শব্দ। যেমন বলা, (قبلت) আমি বিয়ে কবুল করলাম বা (رضيت هذا النكاح) এ বিয়ে আমি রাজি আছি বা শুধু কবুল করেছি বলা।

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাদের ইজাব কবুল হবেনা।
সুতরাং তাদের এই ভাবে বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।

বাহরুর রায়েক গ্রন্থে আছেঃ-

وَتَمَامُهُ فِي الْفَصْلِ السَّابِعَ عَشَرَ فِي النِّكَاحِ بِالْكِتَابَةِ مِنْ الْخُلَاصَةِ، وَقَيَّدَ بِالْإِيجَابِ وَالْقَبُولِ؛ لِأَنَّهُ لَا يَنْعَقِدُ بِالْإِقْرَارِ فَلَوْ قَالَ بِحَضْرَةِ الشُّهُودِ: هِيَ امْرَأَتِي، وَأَنَا زَوْجُهَا، وَقَالَتْ: هُوَ زَوْجِي، وَأَنَا امْرَأَتُهُ لَمْ يَنْعَقِدْ النِّكَاحُ؛ لِأَنَّ الْإِقْرَارَ إظْهَارٌ لِمَا هُوَ ثَابِتٌ، وَلَيْسَ بِإِنْشَاءٍ 
সারমর্মঃ
ইজাব কবুলের সাথে বিবাহকে মুকায়্যাদ করা হয়েছে।কেননা ইজাব কবুল ব্যাতিত বিবাহ শুদ্ধ হয়না।
সুতরাং কেহ যদি সাক্ষীদের সামনে বলে যে সে আমার স্ত্রী আর আমি তার স্বামী,আর মহিলাটিও বলে যে সে আমার স্বামী আর আমি তার স্ত্রী,তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।
কেননা স্বীকারোক্তি বলা হয় যাহা আগে থেকে প্রমানিত, সেটি প্রকাশ করা,নতুন ভাবে কোনো কিছু হওয়া নয়।
(বাহরুর রায়েক-৩/৯০)

وَإِنْ أَقَرَّ الرَّجُلُ أَنَّهُ زَوْجُهَا وَهِيَ أَنَّهَا زَوْجَتُهُ يَكُونُ إنْكَاحًا وَيَتَضَمَّنُ إقْرَارُهُمَا الْإِنْشَاءَ بِخِلَافِ إقْرَارِهِمَا بِمَاضٍ لِأَنَّهُ كَذِبٌ، وَهُوَ كَمَا قَالَ أَبُو حَنِيفَةَ

যদি কোনো পুরুষ স্বীকারোক্তি দেয় যে, সে এই মহিলার স্বামী,এই অবস্থায় যে এই মহিলা তারই স্ত্রী।তাহলে এটা দ্বারা নতুন বিয়ে বুঝা যাবে। তবে কেউ যদি বলে একে আমি অতীতে বিয়ে করেছি, তাহলে উক্ত বাক্য মিথ্যা বলে প্রমাণিত হবে।যদ্দরুণ বিয়ে হবে না।
(ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/১৩)

হেদায়া গ্রন্থে আছেঃ

النكاح ينعقد بالإيجاب والقبول بلفظين يعبر بهما عن الماضي لأن الصيغة وإن كانت للإخبار وضعا فقد جعلت للإنشاء شرعا دفعا للحاجة وينعقد بلفظين يعبر بأحدهما عن الماضي وبالآخر عن المستقبل مثل أن يقول زوجني فيقول زوجتك لأن هذا توكيل بالنكاح والواحد يتولى طرفي النكاح الھدایۃ، ج:1، ص:185، ط:دار احياء التراث العربي - بيروت - لبنان
সারমর্মঃ
বিবাহ ইজাব কবুল দ্বারা সম্পন্ন হয়,দুটির একটি অতিতকাকাল সূচক বাক্য হবে,আরেকটি বর্তমান কাল বুঝায় এমন বাক্য হতে হবে।

হেদায়া গ্রন্থে আছেঃ 
وینعقد بلفظ النکاح والتزویج والہبة والتملیک والصدقة )
সারমর্মঃ  
বিবাহ,তাযয়িজ,হিবা,তামলিক,সদকাহ এই জাতীয় বাক্য গুলি দ্বারা বিবাহ সম্পন্ন হয়।

(০২)
তাদের ইজাব কবুল হবেনা।

আরো জানুনঃ
  
(০৩)
এগুলোতে কিছু যায় আসেনা।
উল্লেখিত ছুরতে ইজাব কবুল না হওয়ায় বিবাহই হবেনা।

(০৪)
যেহেতু ইজাব কবুল হয়নি,তাই এই ছুরতে অন্য কাউকে বিবাহ করলে পাপী হবেনা।

(০৫)
এতে মহিলা সেই স্বামী থেকে তালাক না নিয়ে অন্যত্রে বিবাহ বসলে গুনাহগার হবে।

(০৬)
উক্ত ফতোয়ার লিংক দিলে ভালো হতো।

(০৭)
 তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবেনা।

এতে  যিহার হবেনা।
কাফফারা আদায় করতে হবেনা।
তাদের সহবাস হালাল হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
https://ifatwa.info/36720/ 
হুজুর, ৬ নং প্রশ্নের লিংক টা দিলাম। দয়া করে সমাধান জানাবেন।
by (682,440 points)

وَإِنْ أَقَرَّ الرَّجُلُ أَنَّهُ زَوْجُهَا وَهِيَ أَنَّهَا زَوْجَتُهُ يَكُونُ إنْكَاحًا وَيَتَضَمَّنُ إقْرَارُهُمَا الْإِنْشَاءَ بِخِلَافِ إقْرَارِهِمَا بِمَاضٍ لِأَنَّهُ كَذِبٌ، وَهُوَ كَمَا قَالَ أَبُو حَنِيفَةَ

যদি কোনো পুরুষ স্বীকারোক্তি দেয় যে, সে এই মহিলার স্বামী,এই অবস্থায় যে এই মহিলা তারই স্ত্রী।তাহলে এটা দ্বারা নতুন বিয়ে বুঝা যাবে। তবে কেউ যদি বলে একে আমি অতীতে বিয়ে করেছি, তাহলে উক্ত বাক্য মিথ্যা বলে প্রমাণিত হবে।যদ্দরুণ বিয়ে হবে না।
(ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/১৩)

ثُمَّ اعْلَمْ أَنَّ الشَّرْطَ سَمَاعُ الشُّهُودِ قِرَاءَةَ الْكِتَابِ مَعَ قَبُولِهَا أَوْ حِكَايَتِهَا مَا فِي الْكِتَابِ لَهُمْ فَلَوْ قَالَتْ: إنَّ فُلَانًا كَتَبَ إلَيَّ يَخْطُبُنِي فَاشْهَدُوا أَنِّي قَدْ زَوَّجْت نَفْسِي مِنْهُ صَحَّ النِّكَاحُ وَتَمَامُهُ فِي الْفَصْلِ السَّابِعَ عَشَرَ فِي النِّكَاحِ بِالْكِتَابَةِ مِنْ الْخُلَاصَةِ، وَقَيَّدَ بِالْإِيجَابِ وَالْقَبُولِ؛ لِأَنَّهُ لَا يَنْعَقِدُ بِالْإِقْرَارِ فَلَوْ قَالَ بِحَضْرَةِ الشُّهُودِ: هِيَ امْرَأَتِي، وَأَنَا زَوْجُهَا، وَقَالَتْ: هُوَ زَوْجِي، وَأَنَا امْرَأَتُهُ لَمْ يَنْعَقِدْ النِّكَاحُ؛ لِأَنَّ الْإِقْرَارَ إظْهَارٌ لِمَا هُوَ ثَابِتٌ، وَلَيْسَ بِإِنْشَاءٍ وَنَقَلَ قَاضِي خَانْ عَنْ ابْنِ الْفَضْلِ انْعِقَادَهُ بِهِ مُقْتَصِرًا عَلَيْهِ وَالْمُخْتَارُ الْأَوَّلُ كَمَا فِي الْوَاقِعَاتِ وَالْخُلَاصَةِ. 

(বাহরুর রায়েক-৩/৯০)



فلو قال بحضرة الشهود هى امرأتى وأنا زوجها وقالت: هو زوجى وأنا امرأته لم ينعقد النكاح لأن الإقرار إظهار لم هو ثابت وليس بإنشاء الخ (البحر الرائق، زكريا-3\149، كويته-3\84)

إذا قال لامرأة هذه امرأتى وقالت المرأة: هذا زوجى وكان ذلك بمحضر من الشهود لا يكون نكاحا وكذا لو قال بالفارسية زن وشوشيم لا يكون ذلك نكاحا، (المحيط البرهانى-4\10، الفتاوى التاتارخانية-4\14، رقم-5383)

رجل وامرأة أقر بالنكاح بحضرة الشهود قال: هى امرأتى وأنا زوجها وقالت: هو زوجى وأنا امرأته وقال الآخر نعم لا ينعقد النكاح بينهما لأن الإقرار إظهار لما هو ثابت فهو فرع سبق الثبوت الخ (فتح القدير، زكريا واشرفية-3\185، كويته-3\104)

وفى الفتاوى رجل وامرأة أقر بالنكاح بين يدى الشهود وقالا بالفارسية مأزن وشوئيم لا ينعقد النكاح بينهما هو المختار، ولو قال: اين زن من است بمحضر من الشهود فقالت المرأة إين شوى من است ولم يكن بينهما نكاح اختلف المشائخ فيه والصحيح أنه لا ينعقد النكاح (خلاثة الفتاوى، اشرفية-2\4)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...