ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জোহরের নামায জোহরের ওয়াক্তে শুরু করার পর শেষ করতে করতে আসরের নামাযের ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেলে নামায হয়ে যাবে। কেননা আসরের ওয়াক্ত হারাম ওয়াক্ত নয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/471
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ صَلَّى أَرْبَعًا وَقَعَدَ فِي الثَّانِيَةِ قَدْرَ التَّشَهُّدِ أَجْزَأَتْهُ وَالْأُخْرَيَانِ نَافِلَةٌ وَيَصِيرُ مُسِيئًا لِتَأْخِيرِ السَّلَامِ وَإِنْ لَمْ يَقْعُدْ فِي الثَّانِيَةِ قَدْرَهَا بَطَلَتْ، كَذَا فِي الْهِدَايَةِ.
যদি মুসাফির চার রা'কাত নামায পড়ে নেয়, এবং প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ পরিমাণ সময় বসে, তাহলে মুসাফিরের প্রথম দু'রাকাত নামায ফরয হিসেবে গণ্য হবে।এবং পরবর্তী দু'রাকাত নফল হিসেবে বিবেচিত হবে। হ্যা, সালাম দেড়ীতে ফিরানোর জন্য সে ব্যক্তি গোনাহগার হবে।আর যদি সে ব্যক্তি প্রথম বৈঠকে না বসে, তাহলে তার নামাযই হবে না।(হেদায়া)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৯) (সালাম দেড়ীতে হওয়ার কারণে সাহ সিজদা দিতে হবে।)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সফরের হালতে দু রা'কাত নামাযের স্থলে চার রাকাত নামায পড়ে নিলে, নামায হয়ে যাবে।যদি সাহু সিজদা দেয়া না হয়, তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়িয়ে নেয়াই উত্তম বলে বিবেচিত হবে।
অনুমান করে নামাযকে দোহড়িয়ে নিবেন।