আসসালামু'আলাইকুম!
শায়খ, আমার স্বামী দাবি করে থাকেন যে আমি স্ত্রী হিসাবে মোটামুটি ভালো হলেও স্বামীকে যেকোন বিষয়ে অগ্রাধিকার বা Priority দিতে ব্যর্থ।
বরং আমি সব কিছুতে আমার পরিবার, বিশেষ করে আমার মায়ের কথার গুরুত্ব দেই।
এই ব্যাপারে তার সাথে পুংখানুপুখ আলোচনা করা হলেও, আমি হাজার চেষ্টা করলেও দিন শেষে যেমনি কখনোই তার মনপুত হতে পারি না তেমনি সে ও আমার প্রতি অসন্তুষ্টির সাগরে ভাসে।
এক পর্যায়ে তিনি আমাকে কিয়ামাতের দিন হয়ত সব বিষয়ে মাফ করে দিতে পারলেও এই priority এর ব্যাপারে ছাড় দেবে না বলে জানিয়েছে।
আমি তার কাছে সর্বদা আমার অপারগতা আর ত্রুটির স্বীকার করি, ভুল বুঝতে পারলে মাফ চাই এবং বোঝানোর চেষ্টা করি। যেহেতু দুজনের পরিবার, পারিবারিক শিক্ষা, কৃষ্টি কিংবা তরবিয়তে পার্থক্য আছে তাই অনেক সময়ই অনেক কিছু মেলে না। তবু আমি চেষ্টা করি আমার দ্বারা সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে চলার এবং আসা করি তিনি ও যথা সম্ভব আমার ত্রুটি বিচ্যুতির ব্যাপারে হতাশ হবেন না। মানিয়ে নেবেন।
কিন্তু কোন ভাবেই যেন আমি তার এরকম কিছু বিষয়ে যোগ্য বা সন্তুষ্টির পর্যায়ে পৌছতে পারছি না।
আমার প্রশ্ন হলো-
(১) স্বামীর কি কি হক্ব আদায়ের চেষ্টা করতে থাকলে অন্তত আমি দায়মুক্ত থাকতে পারবো?
(২) এই অগ্রাধিকার বা priority ব্যাপারটার স্বামীর উপর শরীয়ত সম্মত প্রয়োজনীয়তা, সঠিকভাবে প্রয়োগ ও মাত্রা সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন?
(৩) স্বামীর হক্ব সম্পর্কে detail এ আলোচনা করা আছে এমন কোন কিতাবের সন্ধান কি আছে?
(৪) স্বামীর কথার অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে যদি আমার পরিবারের সাথে এমন কোন আচরন করতে বাধ্য হই যাতে করে তারা কষ্ট পাবে, সেক্ষেত্রে করনীয় কি? কঠোর হয়ে কষ্ট দেব নাকি অন্যায় দাবি মানবো না??
(যেমন- আমার সন্তান জন্ম নিলে আমার পরিবার বা বাবা-মা কে হাসপাতালে বা জন্মস্থানে প্রসবকালে আসতে না দেয়া, যেখানে স্বাভাবিক আবেগের তাড়নায় আমার পিতা মাতা আসবেন, পাশ থাকতে চাইবেন, নাতি-পুতি দেখতে চাইবেন। কিন্তু স্বামী মনে করেন তারা ফিতনা ছড়াবে, পরিস্থিতি কঠিন করে দেবে তাদের পরামর্শ বা সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তাই আমাকে চাপ দেবে যেন তাদেরকে আসতে মানা করি, এমনকি বুঝতেও না দি যে তাদের জামাতা এটা চায় না যে তারা আসুক, এমন কাজ করতে পারলে আমি তার কথায় অগ্রাধিকার দিব বলে সে ধরে নেবে)