আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
250 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
আসসালামু'আলাইকুম!

শায়খ, আমার স্বামী দাবি করে থাকেন যে আমি স্ত্রী হিসাবে মোটামুটি ভালো হলেও স্বামীকে যেকোন বিষয়ে অগ্রাধিকার বা Priority দিতে ব্যর্থ।
বরং আমি সব কিছুতে আমার পরিবার, বিশেষ করে আমার মায়ের কথার গুরুত্ব দেই।
এই ব্যাপারে তার সাথে পুংখানুপুখ আলোচনা করা হলেও, আমি হাজার চেষ্টা করলেও দিন শেষে যেমনি কখনোই তার মনপুত হতে পারি না তেমনি সে ও আমার প্রতি অসন্তুষ্টির সাগরে ভাসে।
এক পর্যায়ে তিনি আমাকে কিয়ামাতের দিন হয়ত সব বিষয়ে মাফ করে দিতে পারলেও এই priority  এর ব্যাপারে ছাড় দেবে না বলে জানিয়েছে।
আমি তার কাছে সর্বদা আমার অপারগতা আর ত্রুটির স্বীকার করি, ভুল বুঝতে পারলে মাফ চাই এবং বোঝানোর চেষ্টা করি। যেহেতু দুজনের পরিবার, পারিবারিক শিক্ষা, কৃষ্টি কিংবা তরবিয়তে পার্থক্য আছে তাই অনেক সময়ই অনেক কিছু মেলে না। তবু আমি চেষ্টা করি আমার দ্বারা সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে চলার এবং আসা করি তিনি ও যথা সম্ভব আমার ত্রুটি বিচ্যুতির ব্যাপারে হতাশ হবেন না। মানিয়ে নেবেন।
কিন্তু কোন ভাবেই যেন আমি তার এরকম কিছু বিষয়ে যোগ্য বা সন্তুষ্টির পর্যায়ে পৌছতে পারছি না।
আমার প্রশ্ন হলো-
(১) স্বামীর কি কি হক্ব আদায়ের চেষ্টা করতে থাকলে অন্তত আমি দায়মুক্ত থাকতে পারবো?
(২) এই অগ্রাধিকার বা priority ব্যাপারটার স্বামীর উপর শরীয়ত সম্মত প্রয়োজনীয়তা, সঠিকভাবে প্রয়োগ ও মাত্রা সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন?
(৩) স্বামীর হক্ব সম্পর্কে detail এ আলোচনা করা আছে এমন কোন কিতাবের সন্ধান কি আছে?
(৪) স্বামীর কথার অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে যদি আমার পরিবারের সাথে এমন কোন আচরন করতে বাধ্য হই যাতে করে তারা কষ্ট পাবে, সেক্ষেত্রে করনীয় কি? কঠোর হয়ে কষ্ট দেব নাকি অন্যায় দাবি মানবো না??

(যেমন- আমার সন্তান জন্ম নিলে আমার পরিবার বা বাবা-মা কে হাসপাতালে বা জন্মস্থানে প্রসবকালে আসতে না দেয়া, যেখানে স্বাভাবিক আবেগের তাড়নায় আমার পিতা মাতা আসবেন, পাশ থাকতে চাইবেন, নাতি-পুতি দেখতে চাইবেন। কিন্তু স্বামী মনে করেন তারা ফিতনা ছড়াবে, পরিস্থিতি কঠিন করে দেবে তাদের পরামর্শ বা সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তাই আমাকে চাপ দেবে যেন তাদেরকে আসতে মানা করি, এমনকি বুঝতেও না দি যে তাদের জামাতা এটা চায় না যে তারা আসুক, এমন কাজ করতে পারলে আমি তার কথায় অগ্রাধিকার দিব বলে সে ধরে নেবে)

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আপনার প্রশ্নের জবাব প্রস্তুত হচ্ছে।ইনশাআল্লাহ অচিরেই জবাব পেয়ে যাবেন। ধর্য সহকারে অপেক্ষার জন্য আন্তরিক অভিবাদন। জাযাকুমুল্লাহ।

প্রথমে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে একটু মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন-
ফতোয়া আরবী শব্দ এবং কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শরীয়তের একটি মর্যাদাপূর্ণ পরিভাষা। বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে ‘ফতোয়া’ সংক্রান্ত আরো কিছু শব্দের অর্থ জেনে নেওয়া আবশ্যক। যথা : ইস্তিফতা, মুসতাফতী, মুফতী, ইফতা ও দারুল ইফতা। কুরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনী ইলমের মাহির আলিমের নিকট কোনো দ্বীনী বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জিজ্ঞাসা করাকে ‘ইস্তিফতা’ বলে। প্রশ্নকারীকে ‘মুস্তাফতী’ বা ‘সাইল’ বলে। বিশেষজ্ঞ আলিম শরীয়তের দলীলের আলোকে যে বিধান বর্ণনা করেন তাকে ‘ফতোয়া’ বলে। বিধান বর্ণনাকারী আলিমকে মুফতী এবং তার এই কাজ অর্থাৎ প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা করাকে ‘ইফতা’ বলে। যে প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করে তাকে ‘দারুল ইফতা’ বলে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 142 views
...