আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
1.  নামজে কোন ভুল হলে সাহু সিজদা কি  হাদিস এ আসা দুইটা নিয়মের জেকনো একটা নিয়মএ করলেই হবে? নাকি দুইটা নিয়ম ভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়গ করতে হবে?

২. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ বেবহারিক লেখার সময় আমরা অনেক কিছু বানিয়া জোগ করে  লেখি,জা আশলে আমি  বেবহারিক এ করি নাই,এতা কি মিথ্যা শাক্ষি দেয়া হল?

৩. বাম হাতে কাজ করা কি গুনাহ?
৪. অপ্রয়োজনীয় কাজ করা কি গুনাহ?
৫.

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
যেকোনো একটি নিয়ম আদায় করলেই হবে।


সাহু সেজদা দেবার সহীহ পদ্ধতি হল, শেষ বৈঠকে সালাম ফিরানোর পর দু’টি সেজদা দিবে। তারপর তাশাহুদ, দুআয়ে মাসুরা পড়ে বাকি নামায যথারীতি পূর্ণ করে সালাম ফিরাবে।

قَالَ عَبْدُ اللَّهِ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ إِبْرَاهِيمُ لاَ أَدْرِي زَادَ أَوْ نَقَصَ ـ فَلَمَّا سَلَّمَ قِيلَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَحَدَثَ فِي الصَّلاَةِ شَىْءٌ قَالَ ” وَمَا ذَاكَ ”. قَالُوا صَلَّيْتَ كَذَا وَكَذَا. فَثَنَى رِجْلَيْهِ وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ، وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ، فَلَمَّا أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ قَالَ ” إِنَّهُ لَوْ حَدَثَ فِي الصَّلاَةِ شَىْءٌ لَنَبَّأْتُكُمْ بِهِ، وَلَكِنْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ، أَنْسَى كَمَا تَنْسَوْنَ، فَإِذَا نَسِيتُ فَذَكِّرُونِي، وَإِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَلْيَتَحَرَّى الصَّوَابَ، فَلْيُتِمَّ عَلَيْهِ ثُمَّ يُسَلِّمْ، ثُمَّ يَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ ”.( رَوَاه الْبُخَارِىُّ فِىْ بَابِ التَّوَجُّهِ نَحْوَ القِبْلَةِ حَيْثُ كَانَ)

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা. বলেন: রসূলুল্লাহ স. নামায পড়লেন। রাবী ইবরাহীম রহ. বলেন: আমার জানা নেই, তিনি বেশী করেছেন বা কম করেছেন। সালাম ফেরানোর পরে বলা হলো: ইয়া রসূলাল্লাহ! নামাযের মধ্যে কি নতুন কিছু হয়েছে? তিনি বললেন: তা কী? তাঁরা বললেন: আপনি তো এরূপ এরূপ নামায আদায় করেছেন। রসূলুল্লাহ স. তখন দু’পা ঘুরিয়ে কিবলামুখী হলেন এবং আরও দু’টি সিজদা করলেন। এরপর সালাম ফিরালেন। অতঃপর তিনি আমাদের দিকে ফিরে বললেন: যদি নামায সম্পর্কে নতুন কিছু  হতো, তাহলে অবশ্যই আমি তোমাদেরকে জানিয়ে দিতাম। কিন্তু আমি তো মানুষ; তোমরা যেমন ভুল করে থাক, আমিও ভুল করি। সুতরাং আমি কখনও ভুল করলে তোমরা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিবে। আর তোমাদের কেউ নামাযে সন্দেহে পড়লে সে যেন নিঃসন্দেহ হওয়ার চেষ্টা করে এবং সে অনুযায়ী নামায পুরো করে। অতঃপর সালাম ফিরিয়ে দু’টি সিজদা আদায় করে। (বুখারী: ৩৯২)

عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الْعَصْرَ فَسَلَّمَ فِى ثَلاَثِ رَكَعَاتٍ ثُمَّ دَخَلَ مَنْزِلَهُ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ الْخِرْبَاقُ وَكَانَ فِى يَدَيْهِ طُولٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَذَكَرَ لَهُ صَنِيعَهُ. وَخَرَجَ غَضْبَانَ يَجُرُّ رِدَاءَهُ حَتَّى انْتَهَى إِلَى النَّاسِ فَقَالَ « أَصَدَقَ هَذَا ». قَالُوا نَعَمْ. فَصَلَّى رَكْعَةً ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ.(رَوَاه مُسْلِمٌ فِىْ بَابِ السَّهْوِ فِي الصَّلَاةِ وَالسُّجُودِ لَهُ)

হযরত ইমরান বিন হুছইন রা. থেকে বর্ণিত: রসূলুল্লাহ স. আছরের নামায পড়ালেন এবং তৃতীয় রাকাতে সালাম ফিরিয়ে ঘরে চলে গেলেন। অতঃপর খিরবাক নামীয় লম্বা হাত বিশিষ্ট একজন সাহাবী রসূলুল্লাহ স.-এর নিকটে গেলেন এবং ‘ইয়া রসূলাল্লাহ’ বলে ডাক দিয়ে রসূলুল্লাহ স. যা করেছেন তা উল্লেখ করলেন। রসূলুল্লাহ স. রাগান্বিত অবস্থায় চাদর টানতে টানতে বের হলেন এবং লোকদের কাছে এসে বললেন: এ লোকটি কি ঠিক বলেছে? সাহাবায়ে কিরাম বললেন: হ্যাঁ। অতঃপর রসূলুল্লাহ স. এক রাকাত নামায পড়ালেন। অতপর (সাহু সিজদার) সালাম ফেরালেন তরপর দুটি সিজদা করলেন এবং পুনরায় সালাম ফেরালেন। (মুসলিম: ১১৭১)

আরো জানুনঃ- 

★সেজদায়ে সাহু আদায়ের অন্য পদ্ধতি যেটা পাওয়া যায়,সেটি শাফেয়ী রহঃ এর মাযহাব সহ অন্যান্য কিছু ইসলামী স্কলারদের মত।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।

(০২)
এতে মিথ্যা লেখার গুনাহ হবে।

(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ بِشْرٍ عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ عَنْ الْأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحِبُّ التَّيَامُنَ يَأْخُذُ بِيَمِينِهِ وَيُعْطِي بِيَمِينِهِ وَيُحِبُّ التَّيَمُّنَ فِي جَمِيعِ أُمُورِهِ

মুহাম্মাদ ইবন মা'মার (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ডানদিক হতে আরম্ভ করাকে পছন্দ করতেন। তিনি ডান হাতে গ্রহণ করতেন, ডান হাতে দান করতেন, প্রত্যেক অবস্থায় তিনি ডানদিক হতে আরম্ভ করা পছন্দ করতেন।
(ইবনে মাজাহ ৪০১,নাসায়ী ৫০৫৮।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বাম হাতে কাজ করা গুনাহ নয়।
তবে বিনা কারনে এমনটি করলে এতে সুন্নাতের খেলাফ হবে।

(০৪)
গুনাহের কাজ হলে গুনাহ হবে।
,
এমনিতেই গুনাহ নয়,এমন অপ্রয়োজনীয় কাজ গুনাহ নয়।
তবে প্রত্যেক মুমিনের জন্য অপ্রয়োজনীয় কাজ হতে বিরত থাকা কাম্য।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...