১. কেও কোনো ভুল সোর্স থেকে তথ্য পেয়ে ইসলাম বিরোধী কোনো কথায় বিশ্বাস করলো, পরে সত্যটা জেনে তওবা করে ফিরে এলো, এতে কি সে কাফের হবে?তার বিবাহ দুহরাতে হবে?
২. আমি কোথায় জেনে পড়েছিলাম যে ইমাম আহমদ যারা কোরআন কে মাখলুক বলে তাদের কাফের মনে করতেন না। এই টা পড়ার পর আমারো হয়তো ক্ষনিকের জন্য বিশ্বাস হয়েছিলো যে এরা কাফের না আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত থেকে খারিজ। আজকে আবার এই সংশয় দূর করার জন্য,খোজ করে সঠিক তথ্য পেলাম দেখলাম যে এরা কাফেরই।তখন তওবা করলাম। ভূল তথ্য থেকে ক্ষনিকের বিশ্বাস বা একটা মত যে তৈরি হলো এর জন্য কি কাফের হয়ে যাবো??(যদিও বিশ্বাস শক্ত নয় বা সংসয় ভিতরে আছে বলেই আবার খোজ করেছি)
৩. কোরআানের নামে কসম করলে কাফফারা লাগবে কি লাগবে না এটা নিয়ে দুরকম আলেম দু'রকম বক্তব্য দিলে একদলকে কি কাফের বলা যায়?এটা কি দ্বিনের অকাট্য কিছু?
(কেও বললো গায়রুল্লাহর নামে শপথ করলে হয় না তাই কোরআনের নামে শপথ করলেও হবে না,অন্য জন বললো ুটা যেহেতু আল্লাহর কালাম তো কাফফারা লাগবে)
৪. আমি আগে ভাবতাম যে কোরআন ছুয়ে (শপথ করলে /ছুয়ে বললে) শপথ হবে না,যেহেতু গায়রুল্লাহ। আজকে জানলাম এটা আল্লাহর কালাম তাই আল্লাহর কালামের সিফত হিসাবে কোরআন এর নামে শপথের ও কাফফারা আসবে। এটা জেনে তওবা করি, পরে আবার আপনাদের সাইটে দেখি যে ছুয়ে শপথ না করে এমনি বললে কাফফারা আসবে না,আর শপত করলে আসবে।। পরে আগের সব কিছু বাদ দিয়ে এই মত ই গ্রহন করি। এই মতবাদ বদলের কারণে কি কুফরি হবে?
৫.দ্বীনের অকাট্য বিষয় বলতো কোনগুলো বুঝবো?যা অস্বীকার করলে বা ঠাট্রা করলে ইমান চলে যাবে, অকাট্য আর অকাট্য ছাড়া বিষয় কি আমরা সাধারণ মানুষ নির্ধারন করতে পারবো?
৬. ইউটিউবে দেখলাম একজন শায়েখ বিভিন্ন ব্যতিক্রমি মাসআলা উল্লেখ করে হেসেহেসে ," এই হলো আমাদের ফেকহার কিতাবের অবস্থা " এই কথা দ্বারা কি ফিকাহ নিয়ে হাসাহাসি বুঝায় এটা কি কুফর ?
৭.উনার এই বক্তব্য শোনার পর, আমিয়ো একবার এই কথাটি বলে ফেলি। বলার পর খেয়াল হলো এটা কি কুফরি কি না, যার জন্য জিগ্যাসা ( তবে বলার সময় আমার মনে ফেকহার প্রতি অসম্মান বা কিছু ছিলো না)এর দ্বারা কি কুফর হবে?
৮."আল্লাহর প্রিয় মানুষরেই আল্লাহ শান্তি দেন" এই ধরনের কথা কি বলা যায়? শরিয়ত সমর্থিত?
৯.কোরআন তিলাওয়াত কি নফল এবাদত না ফরজ?
১০. সুদের /হারাম টাকা কেও যদি সওয়াবের আশায় সদকা করলে সে কি কাফের হয়ে যায়?
১১. নামাজ খাওয়া দাওয়া করে যদি কেও বলে,কাজ কাম আটাইলাম, নাইলে বোঝা লাগে। এতে কি কাফের হবে? এতে সে নামাজ সহ অন্য কাজকে বোঝা ভাবলো এইটা বলা যায়?