আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
188 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (91 points)
edited by
১. কেও কোনো ভুল সোর্স থেকে তথ্য পেয়ে ইসলাম বিরোধী কোনো কথায় বিশ্বাস করলো,  পরে সত্যটা জেনে তওবা করে ফিরে এলো, এতে কি সে কাফের হবে?তার বিবাহ দুহরাতে হবে?

২. আমি কোথায় জেনে পড়েছিলাম যে ইমাম আহমদ যারা কোরআন কে মাখলুক বলে তাদের কাফের মনে করতেন না। এই টা পড়ার পর আমারো হয়তো ক্ষনিকের জন্য বিশ্বাস হয়েছিলো যে এরা কাফের না আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত থেকে খারিজ। আজকে আবার এই সংশয় দূর করার জন্য,খোজ করে  সঠিক তথ্য পেলাম দেখলাম যে এরা কাফেরই।তখন তওবা করলাম। ভূল তথ্য থেকে ক্ষনিকের বিশ্বাস বা একটা মত যে তৈরি হলো এর জন্য কি কাফের হয়ে যাবো??(যদিও বিশ্বাস শক্ত নয় বা সংসয় ভিতরে আছে বলেই আবার খোজ করেছি)

৩. কোরআানের নামে কসম করলে কাফফারা লাগবে কি লাগবে না এটা নিয়ে দুরকম আলেম দু'রকম বক্তব্য দিলে একদলকে কি কাফের বলা যায়?এটা কি দ্বিনের অকাট্য কিছু?

(কেও বললো গায়রুল্লাহর নামে শপথ করলে হয় না তাই কোরআনের নামে শপথ করলেও হবে না,অন্য জন বললো ুটা যেহেতু  আল্লাহর কালাম তো কাফফারা লাগবে)

৪. আমি আগে ভাবতাম যে কোরআন ছুয়ে (শপথ করলে /ছুয়ে বললে) শপথ হবে না,যেহেতু গায়রুল্লাহ। আজকে জানলাম এটা আল্লাহর কালাম তাই আল্লাহর কালামের সিফত হিসাবে কোরআন এর নামে শপথের ও কাফফারা আসবে। এটা জেনে তওবা করি, পরে আবার  আপনাদের সাইটে  দেখি যে ছুয়ে শপথ না করে এমনি বললে কাফফারা আসবে না,আর শপত করলে আসবে।। পরে আগের সব কিছু বাদ দিয়ে এই মত ই গ্রহন করি।  এই মতবাদ বদলের কারণে কি কুফরি হবে?

৫.দ্বীনের অকাট্য বিষয় বলতো কোনগুলো বুঝবো?যা অস্বীকার করলে বা ঠাট্রা করলে ইমান চলে যাবে, অকাট্য আর অকাট্য ছাড়া বিষয় কি আমরা সাধারণ মানুষ নির্ধারন করতে পারবো?

৬. ইউটিউবে দেখলাম একজন শায়েখ বিভিন্ন ব্যতিক্রমি মাসআলা  উল্লেখ করে হেসেহেসে ," এই হলো আমাদের ফেকহার কিতাবের অবস্থা " এই কথা দ্বারা কি ফিকাহ নিয়ে হাসাহাসি বুঝায় এটা কি কুফর ?

৭.উনার এই বক্তব্য শোনার পর, আমিয়ো একবার এই কথাটি বলে ফেলি। বলার পর খেয়াল হলো এটা কি কুফরি কি না, যার জন্য জিগ্যাসা ( তবে বলার সময় আমার মনে ফেকহার প্রতি অসম্মান বা কিছু ছিলো না)এর দ্বারা কি কুফর হবে?

৮."আল্লাহর প্রিয় মানুষরেই আল্লাহ শান্তি দেন" এই ধরনের কথা কি বলা যায়? শরিয়ত সমর্থিত?

৯.কোরআন তিলাওয়াত কি নফল এবাদত না ফরজ?

১০. সুদের /হারাম টাকা কেও যদি সওয়াবের আশায় সদকা করলে সে কি কাফের হয়ে যায়?

১১. নামাজ খাওয়া দাওয়া করে যদি কেও বলে,কাজ কাম আটাইলাম, নাইলে বোঝা লাগে। এতে কি কাফের হবে? এতে সে নামাজ সহ অন্য কাজকে বোঝা ভাবলো এইটা বলা যায়?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত।

عن أنس بن مالك قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم:  لَلَّهُ أَشَدُّ فَرَحًا بِتَوْبَةِ عَبْدِهِ حِينَ يَتُوبُ إِلَيْهِ مِنْ أَحَدِكُمْ كَانَ عَلَى رَاحِلَتِهِ بِأَرْضِ فَلَاةٍ فَانْفَلَتَتْ مِنْهُ وَعَلَيْهَا طَعَامُهُ وَشَرَابُهُ فَأَيِسَ مِنْهَا فَأَتَى شَجَرَةً فَاضْطَجَعَ فِي ظِلِّهَا قَدْ أَيِسَ مِنْ رَاحِلَتِهِ فَبَيْنَا هُوَ كَذَلِكَ إِذَا هُوَ بِهَا قَائِمَةً عِنْدَهُ فَأَخَذَ بِخِطَامِهَا ثُمَّ قَالَ مِنْ شِدَّةِ الْفَرَحِ اللَّهُمَّ أَنْتَ عَبْدِي وَأَنَا رَبُّكَ أَخْطَأَ مِنْ شِدَّةِ الْفَرَحِ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা তার বান্দার তওবা্ করায় অত্যন্ত আনন্দিত হন যখন সে তাঁর কাছে তওবা্ করে। তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তির খুশীর চেয়ে অধিক খুশী হন, যে ব্যক্তির আরোহণের বাহন মরুভূমিতে তার কাছ থেকে ছুটে পালায়, আর এ বাহনের উপর আছে তার খাবার ও পানীয়। এ কারণে সে হতাশ-নিরাশ হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় আরোহণের বাহন সম্পর্কে একেবারেই নিরাশ হয়ে একটি গাছের কাছে এসে সে এর ছায়ায় শুয়ে পড়ে। এমন সময় সে হঠাৎ দেখে, বাহন তার কাছে এসে দাঁড়ানো। সে বাহনের লাগাম ধরে আর আনন্দে আবেগআপ্লুত হয়ে বলে উঠে, হে আল্লাহ! তুমি আমার বান্দা আর আমি তোমার প্রভু। সে আনন্দের আতিশয্যে এ ভুল করে(মিশকাত-২৩৩২)
(সহীহ : মুসলিম ২৭৪৭, সহীহ আত্ তারগীব ৩১৪৩, সহীহ আল জামি‘ ৫০৩০)

আরো জানুনঃ- 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ব্যাক্তি কাফের হবেনা।
তার বিবাহ দোহরাতে হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি কাফের হয়ে যাবেননা।

(০৩)
উক্ত দুই দলের কাউকে কাফের বলা যাবেনা।

(০৪)
না,এতে কুফরি হবেনা।

(০৫)
অকাট্য ভাবে প্রমানিত বলতে যাহা কুরআন দ্বারা প্রমানিত,এমন কোনো বিষয় । 

তবে এখানে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কোনো হাদীস,সুন্নাহ ইসলামের শিয়ার নিয়ে ঠাট্রা করলেও ঈমান চলে যাবে।

(০৬)
এতে তার ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৭)
এর দ্বারা কুফর হবেনা।

(০৮)
এ ধরনের কথা বলা যাবে।
তবে দুনিয়াতে সব ক্ষেত্রে উক্ত কথা সঠিক নয়।
কেননা এখানে কাফের মুশরিকরাও অনেক শান্তিতে থাকে।

রাসুলুল্লাহ সাঃ তো কাফেরদের জন্যই দুনিয়াকে জান্নাত বলেছেন।
আর মুমিনদের জন্য জেলখানা বলেছেন।

(০৯)
কুরআন তিলাওয়াত নফল ইবাদত।

(১০)
এতে সে কাফের হবেনা।
তবে ছওয়াবের আশা করলেও সে ছওয়াব পাবেনা।

(১১)
না,এতে সে কাফের হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...