ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
وَالرِّيحُ الْخَارِجَةُ مِنْ الذَّكَرِ وَفَرْجِ الْمَرْأَةِ لَا تَنْقُضُ الْوُضُوءَ عَلَى الصَّحِيحِ إلَّا أَنْ تَكُونَ الْمَرْأَةُ مُفْضَاةً فَإِنَّهُ يُسْتَحَبُّ لَهَا الْوُضُوءُ. كَذَا فِي الْجَوْهَرَةِ النَّيِّرَةِ.
পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তা বা মহিলাদের প্রস্রাবের রাস্তা যদি বায়ূ বের হয়, তাহলে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী অজু ভঙ্গ হবে না। তবে যদি মহিলার প্রস্রাবের রাস্তা এবং পায়খানার রাস্তার মধ্যে সংযোগ থাকে,তাহলে তখন অজু করে নেওয়া মুস্তাহাব।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৯) আরো বর্ণিত রয়েছে,(আল জাওহারাতুন নাইয়্যিরাহ-১/৮,রদ্দুল মুহতার-১/১২)
(২)
আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে,
عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّهَا كَانَتْ تَأْمُرُ بِالتَّلْبِينِ لِلْمَرِيضِ وَلِلْمَحْزُونِ عَلَى الْهَالِكِ، وَكَانَتْ تَقُولُ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ التَّلْبِينَةَ تُجِمُّ فُؤَادَ الْمَرِيضِ، وَتَذْهَبُ بِبَعْضِ الْحُزْنِ ".
তিনি রোগীকে এবং কারো মৃত্যুজনিত শোকাহত ব্যক্তিকে তরল জাতীয় খাদ্য খাওয়ানোর আদেশ করতেন। তিনি বলতেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, ’তালবীনা’ রোগীর কলিজা মযবূত করে এবং নানাবিধ দুশ্চিন্তা দূর করে। [সহীহ বোখারী-৫৬৮৯]
যব পিষে, দুধে পাকিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে এটা তৈরি করা হয়। তালবিনা আরবি ‘লাবান’ (টকদই) শব্দ থেকে এসেছে যেহেতু রান্নার পরে এটি -দইয়ের মতো ঘনত্বের হয়, এমনকি দেখতে দইয়ের মতো সাদা। সেজন্য সাদৃশ্য বোঝাতে তালবিনা নামটি এসেছে।(ইউকিপেডিয়া)
(৩)
না, সহীহ হাদীসে এমন কোনো দু'আ আসেনি। তবে দু'আ গুলোর অর্থ ভালো। সুতরাং এই দু'আ গুলি পড়া যেতে পারে।
(৪)
বদর যুদ্ধের কারণ হল, আল্লাহর দ্বীনকে উচু করতে কাফিরদের সাথে যুদ্ধ করার একটি ভুমিকা। ইসলামের কোনো যুদ্ধেই মাল অর্জন ছিলনা।হ্যা, যুদ্ধের নিয়ম হিসেবে যেহেতু বিজেতার অধিনস্ত সবকিছুই হয়ে যায়, তাই সাহাবাগণ বদর যুদ্ধে মাল সংগ্রহ করেছেন। বদর যুদ্ধ মালের জন্য হয়নাই বরং কাফিরদেরকে আর্থিকভাবে দুর্বল করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে একটি পদক্ষেপ ছিল।
(৫)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/985
(৬)
মোরগের নাড়ীভুঁড়ি বের না করে গরম পানিতে ছেড়ে দিয়ে ড্রেসিং করা মোরগ ভক্ষণ করা কখনো জায়েয হবে না।
(৭)
দুনিয়াবী কিছু লাভ হলেও আখেরাতে শুধুমাত্র তাকওয়া ও খোদাভীরুতাই ফায়দাদায়ক হবে।
(৮)
কুমির,ব্যঙ,সাপ, এবং বিষাক্ত প্রাণী ব্যতিত সাগরের অন্যান্য প্রাণী হালাল।এটা শাফেয়ী এবং হাম্বলী মাযহাবের সিদ্ধান্ত। সুতরাং তাদের মাযহাব মতে কাঁকড়া / ঝিনুক / অক্টোপাস খাওয়া নিষিদ্ধ নয়।
فى الموسوعة الفقهية الكويتية- ج٨،ص-١٥
ذَهَبَ جُمْهُورُ الْفُقَهَاءِ إِلَى إِبَاحَةِ صَيْدِ جَمِيعِ حَيَوَانَاتِ الْبَحْرِ، سَوَاءٌ كَانَتْ سَمَكًا أَوْ غَيْرَهُ. لِقَوْل اللَّهِ تَعَالَى: {أُحِل لَكُمْ صَيْدُ الْبَحْرِ وَطَعَامُهُ} أَيْ مَصِيدُهُ وَمَطْعُومُهُ. وَقَوْل النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا سُئِل عَنْ مَاءِ الْبَحْرِ: هُوَ الطَّهُورُ مَاؤُهُ الْحِل مَيْتَتُهُ.
وَاسْتَثْنَى الشَّافِعِيَّةُ وَالْحَنَابِلَةُ: التِّمْسَاحَ وَالضِّفْدِعَ، لِلنَّهْيِ عَنْ قَتْل الضِّفْدَعِ، فَقَدْ ثَبَتَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ قَتْلِهِ
وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عَمْرٍو أَنَّهُ قَال: لاَ تَقْتُلُوا الضَّفَادِعَ، فَإِنَّ نَقِيقَهَا تَسْبِيحٌ . وَلِلاِسْتِخْبَاثِ فِي التِّمْسَاحِ؛ وَلأَِنَّهُ يَتَقَوَّى بِنَابِهِ وَيَأْكُل النَّاسَ.
وَزَادَ الْحَنَابِلَةُ: الْحَيَّةَ، وَصَرَّحَ الْمَاوَرْدِيُّ مِنَ الشَّافِعِيَّةِ بِتَحْرِيمِهَا وَغَيْرِهَا مِنْ ذَوَاتِ السُّمُومِ الْبَحْرِيَّةِ، وَقَصَرَ الشَّافِعِيَّةُ التَّحْرِيمَ عَلَى الْحَيَّةِ الَّتِي تَعِيشُ فِي الْبَحْرِ وَالْبَرِّ، وَأَمَّا الْحَيَّةُ الَّتِي لاَ تَعِيشُ إِلاَّ فِي الْمَاءِ فَحَلاَلٌ.
وَذَهَبَ الْحَنَفِيَّةُ إِلَى إِبَاحَةِ السَّمَكِ مِنْ صَيْدِ الْبَحْرِ فَقَطْ دُونَ غَيْرِهِ مِنَ الْحَيَوَانَاتِ الْبَحْرِيَّةِ.
(৯)
নাজায়েয নয়, তবে অনুত্তম।
(১০)
ক্যালিগ্রাফিতে যদি কুরআনের বিধান সম্ভলিত আয়াত না হয়, তাহলে তো রুখসত রয়েছে। শিখানোর সময় তো বলে দেয়া হচ্ছে যে, কুরআনের বিধান সম্ভলিত আয়াতের যাতে ক্যালিগ্রাফি করা না হয়।
(১১)
সে নামায পড়ছে কি না? পাত্রী পর্দা করছে কি না? পাত্র পাত্রীর বন্ধু/বান্ধব কে বা কারা? এসব দেখেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে যে, পাত্র/পাত্রী তাকওয়াবান।
(১২)
তার উচিৎ ছিল, চিল্লায় যাওয়ার পূর্বে বিয়ের বিষয়টাকে সমাধান করে যাওয়া। এখন যেহেতু চিল্লায় চলে গেছে, তাই চিল্লা শেষ করে আসুক, তারপর বিয়ে হবে, ইনশা'আল্লাহ।