আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
87 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (67 points)
edited by

১. নামাজে আমার প্রায়ই একটা সমস্যা হয় হঠাৎ মাথায় আসে অমুক রাকাতে কয়টা সিজদা দিলাম? স্বাভাবিক ভাবে তো দুইটাই দেওয়ার কথা, মন বলে স্বাভাবিক হিসাবে তো দুইটাই দিয়েছি। কিন্তু তাও ওই মুহূর্ত মনে করতে না পারায় মনে শুধু সন্দেহ হয়। ওযুতে ও সেম করার পরে মনে হয় মাথা মাসেহ করলাম কি না, কিন্তু মাথা ভিজা থাকে তাও সেই মাথা মাসেহপর মুহুর্ত স্মরনে না থাকায় শুধু টেনশন হয়। যেমন আপনি যদি আজ এশার দ্বিতীয় রাকাতের রুকুর কথা স্মরণ করার চেষ্টা করেন, না ও মনে পরতে পারে সেই মুহুর্ত এর মানে তো এনন না যে রুকু করেন নি, কিন্তু আমার এই থেকে সন্দেুদানা বেধে নামাজ দোহরাতে হয় ওযুর পরে আবার মাথা মাসেহ করতে হয়, ফাতিহা পরলাম কি না, সুরা মিলালাম কি না এসব ওয়াজিব ছুটার সন্দেহে সাহু সিজদা দিতে হয়। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবে এগুলো তো করার ই কথা, কিন্তু সেই মুহুর্তটা মনে করতে নাপারায় বিপত্তি বাধে।

এখন আমার নামাজ গুলো কি আদায় হয়?আর আমার এসব সন্দেহের জন্য কি করনীয়?

২ একটা গানের লাইন ছিলো  "আমি রাধার প্রেমে  মাতোয়ারা" এই লাইন কেও গাইলে কি কুফর হবে?

৩ . কোনো মেয়ে যদি গরমের কারণে  বলে  "তোমরা ছেলেদের তো ঝামেলা নাই আমাদের কতো যন্ত্রণা বাইরে গেলে হিজাব পইরা যাওয়া লাগে " এতে কি কুফর হবে?

৪.কোনো স্বামী যদি তার বউকে বলে অমুক জায়গায় যাওয়ার পরে/ অমুক জায়গায় গেলে / এই কাজের পরে, আমরা পৃথক হয়ে যাবো।  এটা কি শর্ত হয়ে যাবে না কি, তালাকের ওয়াদা হবে? এটা কি ওর নিয়তের উপর নির্ভর করবে? যে তালাকের ওয়াদা করলো না কি শর্ত দিলো।

৫. স্বামী যদি তার বউকে বলে স্ট্যান্ডে গেলেই আমরা আলাদা হয়ে যাবো,(দুইজন দুই বাসায় চলে যাবে এটা বুঝানোর জন্য) বলে এতে কি তালা* হবে?

৬. প্রায় সময় দেখা যায় যে কিছু মানুষ সুন্দর ও মেধাবী ও, আবার কেও মেধাও নাই সুন্দর ও না এটা নিয়ে কেও যদি মন্তব্য করে " প্রকৃতি এইক্ষেত্রে বরাবরই পক্ষপাত করে। সৌন্দর্য ও মেধা উভয়ই অত্যন্ত বেহিসাবে মানুষের মধ্যে বিতরন করে প্রকৃতি।" এতে কি কুফর হবে? অনেকে বিভিন্ন সময় বলে "প্রকৃতি খুবই নিষ্ঠুর" এতে কি কুফর হবে?

৭.

৮.মাসবুক থাকা দশায়, নামাজে ইমাম ১ম সালাম ফিরানোর পরে, যদি আমি দাড়িয়ে যাই এবং ২য় সালাম ফিরাচ্ছেন এমন অবস্থায় আমি আমার কিরাত শুরু করি তাহলে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (681,640 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
এক্ষেত্রে আপনি প্রবল ধারণার উপর আমল করবেন।

(২.৩)
প্রশ্নের বিবরন মতে কুফর হবেনা।

(০৪)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা। 
এখানে তালাকের কোনো কথা বলা হয়নি।

(০৫)
এতে তালাক হবেনা। 

(০৬)
প্রশ্নের বিবরন মতে এতে কুফর হবেনা।

(০৭)
নিকটতম অফলাইন কোনো ফতোয়া বিভাগে যোগাযোগ করার পরামর্শ রইল। 

আরো জানুনঃ- 

(০৮)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

وَعَنِ الْمُغِيْرَةِ بْنِ شُعْبَةَ اَنَّه غَزَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ غَزْوَةَ تَبُوْكَ قَالَ الْمُغِيْرَةُ فَتَبَرَّزَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ قِبَلَ الْغَائِطِ فَحَمَلْتُ مَعَه اِدَوَاةً قَبْلَ الْفَجْرِ فَلَمَّا رَجَعَ اَخَذْتُ اُهْرِيْقُ عَلى يَدَيْهِ مِنَ الاِدَاوَةِ فَغَسَلَ يَدَيْهِ وَوَجْهَه وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ مِّنْ صُوْفٍ ذَهَبَ يَحْسِرُ عَنْ ذِرَاعَيْهِ فَضَاقَ كُمُّ الْجُبَّةِ فَاَخْرَجَ يَدَيْهِ مِنْ تَحْتِ الْجُبَّةِ وَاَلْقَى الْجُبَّةَ عَلى مَنْكِبَيْهِ فَغَسَلَ ذِرَاعَيْهِ ثُمَّ مَسَحَ بِنَاصِيَتِه وَعَلَى الْعِمَامَةِ ثُمَّ اَهْوَيْتُ لَانْزِعَ خُفَّيْهِ فَقَالَ دَعْهُمَا فَاِنِّىْ اَدْخَلْتُهُمَا طَاهِرَتَيْنِ فَمَسَحَ عَلَيْهِمَا ثُمَّ رَكِبَ وَرَكَبْتُ فَانْتَهَيْنَا اِلَى الْقَوْمِ وَقَدْ قَامُوْا اِلَى الصَّلَاةِ وَيُصَلِّىْ بِهِمْ عَبْدُ الرَّحْمنِ بْنِ عَوْفٍ وَّقَدْ رَكَعَ بِهِمْ رَكْعَةً فَلَمَّا اَحَسَّ بالنَّبِىِّ ﷺ ذَهَبَ يَتَاَخَّرُ فَاَوْمَا إِلَيْهِ فََاَدْرَكَ النَّبِىُّ ﷺ اِحْدَىِ الرَّكْعَتَيْنِ مَعَه فَلَمَّا سَلَّمَ قَامَ النَّبِىُّ ﷺ وَقُمْتُ مَعَه فَرَكَعْنَا الرَّكْعَةَ الَّتِىْ سَبَقَتْنَا. رَوَاهُ مُسْلِمٌ 

মুগীরাহ্ ইবনু শু‘বাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে তাবূক যুদ্ধে শরীক হয়েছিলেন। মুগীরাহ্ বলেন, একদিন ফজরের (ফজরের) সলাতের আগে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়খানার উদ্দেশে বের হলেন। আর আমি তাঁর পেছনে একটি পানির পাত্র বহন করে গেলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বেরিয়ে আসার পর আমি তাঁর দুই হাতের কব্জির উপর পানি ঢালতে লাগলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর দুই হাত ও চেহারা ধুলেন। তখন তাঁর গায়ে একটি পশমের জুববাহ্ ছিল। তিনি তাঁর (জুববার আস্তিন গুটিয়ে) হাত দু’টি খুলতে চাইলেন। কিন্তু জুববার আস্তিন খুব চিকন ছিল। তাই জুববার ভেতর দিক দিয়েই তাঁর হাত দু’টি বের করে নিজের দুই কাঁধের উপর রেখে দিলেন এবং হাত দু’টি (কনুই পর্যন্ত) ধুলেন। অতঃপর মাথার সামনের দিক (কপাল) ও পাগড়ীর উপর মাসাহ করলেন। তারপর আমি তাঁর মোজাগুলো খুলতে চাইলাম। তিনি বললেন, এগুলো এভাবে থাকতে দাও, আমি এগুলো পবিত্রাবস্থায় (অর্থাৎ- উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করে) পরেছি। তিনি এগুলোর উপর মাসাহ করলেন। অতঃপর তিনি সওয়ারীর উপর আরোহণ করলেন, আমিও আরোহণ করলাম এবং আমরা একটা দলের কাছে পৌঁছে গেলাম। তখন তারা সলাতে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন, আর ‘আবদুর রহমান ইবন ‘আওফ (রাঃ) তাদের সলাতের ইমামাত করছিলেন এবং তাদের নিয়ে এক রাক্‘আত সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়ও করে ফেলেছিলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আগমন বুঝতে পেরে তিনি পেছনে সরে আসতে চাইলেন। কিন্তু নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তার স্থানে (স্থির থাকতে) ইশারা করলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথে দুই রাক্‘আতের মধ্যে এক রাক্‘আত সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) পেলেন। তিনি সালাম ফিরালে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে গেলেন এবং আমিও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে গেলাম। আর এক রাক্‘আত ছুটে যাওয়া সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) আমরা আদায় করলাম।
(মুসলিম ২৭৪, নাসায়ী ১০৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫১৪৩, ইবনু মাজাহ্ ১২৩৬।)

★ইমাম সাহেবের উভয় দিকে সালাম ফিরানোর পর মাসবুক তার অবশিষ্ট নামায আদায়ের জন্য দাঁড়াবে। ইমামের প্রথম সালামের পরই দাঁড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। কারণ ইমাম সাহু সিজদা দিলে মাসবুকেরও ইমামের সাথে সিজদা করা আবশ্যক। আর ইমামের সাহু সিজদা নেই এটা প্রায় নিশ্চিত হবে দ্বিতীয় সালামের পর। তাই দ্বিতীয় সালামের পরই মাসবুক দাঁড়াবে।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৯১; আদ্দুররুল মুখতার ১/৫৯৭)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও আপনার নামাজ হয়ে যাবে।
তবে এটি নিয়ম নয়,নিয়ম হলো ২য় সালাম ফিরানোর পর দাঁড়ানো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...