আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
147 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (40 points)
reshown by
ক)  ধরুন আমি কোন ভাবে শিরক করেছি।

এখন তাওবা করব।

১)আমি সেই শিরকের কথা আল্লাহর কাছে স্বীকার করলাম। ভুল হয়ে গেছে স্বীকার করলাম।


২)সেই শিরকি মনভাব পরিবর্তন করলাম।আর কোন দিন করব না প্রতিজ্ঞা করলাম আল্লাহর কাছে।
৩)এরপর ক্ষমা চাইলাম।


কিন্তু অনুতাপ বা আফসোস আমার মনে আসছে না।কেননা ওই গুনাহ করার উসিলায় একটা দুনিয়াবি ফায়দা লাভ হইছিল।

কেন এই শিরক করলাম,না করলে ভালো হত এরকম আফসোস আমার মনে আসছে না।
তবে আমি বুঝছি যে আমি অনেক বড় একটা অন্যায় করে ফেলছি।


আফসোস ছাড়া আমার তাওবা কবুল হবে বলে আশা করা যায়??


খ)আল্লাহ কখনোই মিথ্যা বলেন না।


আবার নবি (সা) ও মিথ্যা বলেন না।
এই বিষয় টা শিরক হয়ে যাচ্ছেনা?/?


যদি আমি মনে করি আল্লাহ যেরকম সত্যবাদী, নবি সা সেরকম সত্যবাদী না।

আল্লাহ অন্যরকম সত্যবাদী।
তবে কি আকিদা আল্লাহ কখনোই মিথ্যা বলেন না।


আবার নবি (সা) ও মিথ্যা বলেন না।
এই বিষয় টা শিরক হয়ে যাচ্ছেনা?/?


যদি আমি মনে করি আল্লাহ যেরকম সত্যবাদী, নবি সা সেরকম সত্যবাদী না।

আল্লাহ অন্যরকম সত্যবাদী।
তবে কি আকিদা ঠিক আছে??ঠিক আছে??


গ)কেউ কাউকে যাহাপনা,মহাশয় বলে ডাকলে কি শিরক হবে??


ঘ)ধরুন কেউ তার গার্লফ্রেন্ড কে জ্বালানোর জন্য বানিয়ে বানিয়ে বল্ল,"আজ স্বপ্নে আমি দেখেছি যে আমি তোমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করছি।"
এরপর সে তার গার্লফ্রেন্ড কে জিজ্ঞেস করল যে সে রাগ করেছে কি না?

গার্লফ্রেন্ড বলল,"আসলে রাগ করার কিছু নাই।মানুষকে এভাবেই বানানো হইছে।"


এতে কি কারও কোন শিরক হবে??


ঙ)সেদিন আমি ভালো রেজাল্ট এর জন্য আল্লাহর কাছে দুয়া করলাম।

এরপর ভাব্লাম যদি আল্লাহ তাকদির এ রাখেন তবে এমনিতেই ভালো রেজাল্ট হবে। আমি নিজে পরিশ্রম করলে সেটা তাওয়াক্কুল এর পরিপন্থী হবে।
তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম,আমি

 পরাশুনা করব না।আল্লাহ ই ভালো রেজাল্ট করিয়ে দিবেন।
কিন্তু এরপর আমি মনে শান্তি পাচ্ছিলাম না।


এরপর আমি ইউটিউবে ভিডিও দেখে জানতে পারলাম যে পরিশ্রম করা তাওয়াক্কুলের পরিপন্থী নয়।

তখন আমি ভাব্লাম যে তাইলে এখন আমি পরিশ্রম করতে পারব। এটা ভাবার পর থেকেই ভালো লাগছে
মনে শান্তি লাগছে।মনে হচ্ছে যে এবার ভালো ফলাফল হবে।


এতে কি শিরক হবে??


চ)ধরুন আমি কোন শিরক করলাম
এরপর তাওবা করব।

কিন্তু তখন আম্মু আমাকে বল্ল তাড়াতাড়ি বাজারে যাইতে।আমি এখন বাজারে না গেলে আম্মু বকা দিবে বলে আশংকা করলাম।তাই ভাব্লাম আগে বাজার করে এসে তাওবা করব।
তাই তাওবা না করে বাজারে চলে গেলাম।
এতে কি শিরক হবে?
ছ) আমার ক্লাসমেট মেডিকেলে চান্স পাওয়ার পর সবাই তাকে খুব পাত্তা দেয় ।
আমারও ইচ্ছে হইল আমিও মেডিকেলে চান্স পেতে চাই।তবে তার প্রতি কোন রাগ নাই আমার। আমি চাই যাতে ওই উসিলায় আমাকে সবাই পাত্তা দেয়।
এটা কি জায়েজ,?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)
মনের মধ্যে অনুতাপ সৃষ্টি না হলে, তাওবাহ কবুল হবে না।

(খ)
প্রশ্নটি অস্পষ্ট, দয়াকরে স্পষ্ট করে লিখুন।লিখে কমেন্টে জানাবেন। অথবা ফোনে কথা বলবেন।

(গ)
না শিরক হবে না।

(ঘ)
শিরক তো হয়নি, তবে গোনাহের দিকে ডাকার জন্য ঐ ব্যক্তির মারাত্বক গোনাহ হবে।

(ঙ)
না, শিরক হবে না।

لَهُ مُعَقِّبَاتٌ مِّن بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُوا مَا بِأَنفُسِهِمْ ۗ وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلَا مَرَدَّ لَهُ ۚ وَمَا لَهُم مِّن دُونِهِ مِن وَالٍ
তাঁর পক্ষ থেকে অনুসরণকারী রয়েছে তাদের অগ্রে এবং পশ্চাতে, আল্লাহর নির্দেশে তারা ওদের হেফাযত করে। আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ চান, তখন তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।(সূরা রাদ-১১)

(চ)
না, এটাও শিরক হবে না।

(ছ)
জ্বী, জায়েয।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...