আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

১।ফোনে বিবাহিত মহিলাকে কলের মধ্যে ননমাহরাম পুরুষ বউ ডাকলে কি কোন সমস্যা হয়? মহিলাটি ভয়ে হ্যা না কিছু বলে নি।কারন ও ওর স্বামীকে খুব ভালবাসে।মানে  একজন পুরুষ আরেকজনকে বলতেছে বউ আমারটার সাথে কথা বল।।তহ আরেকজন ওটার সাথে এমনিতে কথা বলেছে।মেয়েটা কথা বলত না কথা প্রয়োজনে কথা বলেছে ২ জনের সাথে,না হয় বলত না।২ জনই নন মাহারাম।মেয়েটা বিবাহিত।মেয়েটার স্বামী কারাগারে  তহ এই কারনে প্রয়োজনে কথা বলেছে।ওর মনে ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে কোন সমস্যা হবে কিনা ভেবে।মেয়েটার মনে সব বিষয়ে ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে।এমন ও আসে আমি তহ বিবাহিত কিছু হবে না।আবার আসে ওর স্বামী ওকে কি কেনদিন তালাক দিয়েছিল কিনা।দিলে এরকম কথা বললে কোন সমস্যা হবে কিনা।ওর জানা মতে দেয় নি কোনদিন।ওর মনে এসব ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে।সে খুব ভয় পেয়ে আছে।এতে কি সমস্যা হবে?

২।উপরে প্রশ্নটা আমি অন্যের দিকে ইন্গিত করে করেছি।কারন আমার স্বামী আমাকে পাওয়ার দিছে।আমি আমার স্বামীর সাথে থাকতে চায়,অনেক ভালবাসি। আমার স্বামী কারাগারে, তাই বাধ্য হয়ে কথা বলতে হয়ছে। উপরে এভাবে প্রশ্ন করায় কোন সমস্যা হবে?দয়া করে বুঝিয়ে বলবেন।

৩।স্বামী স্ত্রী যে যার বাপের বাসায় থাকে।স্ত্রী মা বাবা মেনে নেয় নি তহ স্বামী ২-৩ মাস পর পর আসে স্ত্রীর সাথে দেখা করতে।হোটেলে দেখা করে।তখন তারা নিরিবিলিতে সময় কাটায় একসাথে,সহবাস ও হয় প্রত্যেকবার।তহ স্বামী দেখা করে চলে যাওয়ার সময়,স্ত্রী বলে আবার কবে আসবেন? স্বামী বলে ৩ মাস পর।স্ত্রী একটু বেশি ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত। ওর মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয় স্বামীর কথা দ্বারা কোন সমস্যা হবে কিনা মানে ঈলা হবে কিনা।স্বামী তহ শপথ করে নি, আর সহবাস করবে না এমন ও বলে নি।এতে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (562,680 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
বিবাহিতা মহিলাকে তালাক ছাড়া অন্য কেউ বিবাহই করতে পারেনা।
সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র এভাবে বউ/স্ত্রী বলে ডাকার দরুন তো বিবাহ হয়ে যাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০২)
এভাবে প্রশ্ন করায় কোন সমস্যা হবেনা।

(০৩)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 
لِلَّذِیۡنَ یُؤۡلُوۡنَ مِنۡ نِّسَآئِہِمۡ تَرَبُّصُ اَرۡبَعَۃِ اَشۡہُرٍ ۚ فَاِنۡ فَآءُوۡ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۲۲۶﴾

যারা নিজ স্ত্রীর সাথে সংগত না হওয়ার শপথ করে  তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। অতঃপর যদি তারা প্রত্যাগত হয় তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা বাকারা ২২৬)

অর্থাৎ যদি কেহ যদি কসম খেয়ে বলে যে, আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করব না, তবে তার চারটি দিক রয়েছে, প্রথমতঃ কোন সময় নির্ধারণ করল না। দ্বিতীয়তঃ চার মাস সময়ের শর্ত রাখল। তৃতীয়তঃ চার মাসের বেশী সময়ের শর্ত আরোপ করল। চতুর্থতঃ চার মাসের কম সময়ের শর্ত রাখল। বস্তুতঃ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিকগুলোকে শরীআতে ‘ঈলা’ বলা হয়। আর তার বিধান হচ্ছে, যদি চার মাসের মধ্যে কসম ভেঙ্গে স্ত্রীর কাছে চলে আসে, তাহলে তাকে কসমের কাফফারা দিতে হবে, কিন্তু বিয়ে যথাস্থানে বহাল থাকবে। পক্ষান্তরে যদি চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কসম না ভাঙ্গে, তাহলে সে স্ত্রীর উপর ‘তালাকে-কাতায়ী’ বা নিশ্চিত তালাক পতিত হবে। অর্থাৎ পুনঃর্বার বিয়ে ছাড়া স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া জায়েয থাকবে না। অবশ্য চতুর্থ অবস্থায় নির্দেশ হচ্ছে এই যে, যদি কসম ভঙ্গ করে, তাহলে কাফফারা ওয়াজিব হবে। পক্ষান্তরে কসম পূর্ণ করলেও বিয়ে যথাযথ অটুট থাকবে। [মা'আরিফুল কুরআন থেকে সংক্ষেপিত]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতকে ঈলা বলা হবেনা।
তাই এতে কোনো সমস্যা হবেনা।

নিশ্চিত থাকুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...