আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
82 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (76 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ শায়খ।
১।
ifatwa.info/48147/

এইখানে ১ নং প্রশ্নে আপনি বলেছেন বিয়ে না পড়িয়েও নির্জনে দেখা করতে  পারবে গুণাহ হবে না।স্বামী এসব বিষয়ে জানে না মানে ঈলা বিষয়ে তেমন কিছু।স্ত্রী বুঝাতে ভয় পাচ্ছে কারন স্বামী যদি হঠাত কেনায়া বা অন্য কিছু বলে ফেলে যার দ্বারা তালাক হতে পারে এমন কিছু বলবে বলে।কারন স্বামী জানে না কি কি বললে বা কিভাবে বললে বিচ্ছেদ হতে পারে।।শুধু স্ত্রী বার বার মানে অনেক বার বলেছিল বিয়ে করতে আবার।স্বামী বলেছিল করবে।যদি না করে তাহলে কি গুণাহ হবে?।আর আপনিও তহ বলেছেন সতর্কতা সরূপ বিয়ে করতে তালাক হয় নি।স্ত্রী তহ কয়েকবার বলেছে তবু যদি স্বামী বিয়ে না করে আবার বা নামিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ও না করে তাহলে কি কোন গুণাহ হবে? ওদের তহ তালাক হয় নি।শায়খ মেয়েটা টেনশনে পাগলের মত হয়ে যাচ্ছে। সে স্বামীকেও এই ব্যাপারে বলতে ভয় পাচ্ছে।জানে না স্বামী কি বলবে। সে হয়ত শুধু এইটা বলতে পারে বিয়ে করেন আবার।স্বামী যদি না করে তাহলে কি গুণাহ হবে? মেয়েটার মা বাবাও মানতেছে না কিন্তুু মেয়েটা তার স্বামীর সাথে থাকতে চায়।আর এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে করতে সে প্রায় সব বিষয় নিয়ে ওয়াসওয়াসায় ভুগে।দয়া করে একটু বলবেন আবার বিয়ে না করে সংসার করলে কি গুণাহ হবে? তালাক তহ হয় নি ওদের আপনি বলেছিলেন।দয়া করে একটু বলেন।

২।স্বামীকে কি আর বিয়ে করতে বলা উচিত হবে? অনেকবার বলেছিল।কিন্তু করবে বলে করে নি।নামিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ও যদি করবে বলে  না করে তাহলে আর বলা কি উচিত হবে?

৩।ধরেন কোন স্বামী যদি বলে যদি বলস মরে যাব, জীবন এটা আর রাখব না ভাল লাগতেছে না তাহলে তালাক হবে।তহ স্ত্রী যদি এমনিতে গান গায় ওখানে যদি এমন মরার কথা থাকে তাহলে কি তালাক হবে সেটা গাইলে?সে তহ এমনিতে গান গাচ্ছে।ধরেন প্রথমে খেয়াল থাকলেও পরে খেয়াল না করে এমনটা গেয়ে ফেললে কি তালাক হবে?এই প্রশ্নটা এমনিতে জানার জন্য।আমার না এইটা প্রশ্ন।মানে আমার স্বামী এমনটা বলে নি। মানে পুরোপুরি এমন বলে নি স্বামী।

1 Answer

0 votes
by (685,520 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/48103/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

لِلَّذِیۡنَ یُؤۡلُوۡنَ مِنۡ نِّسَآئِہِمۡ تَرَبُّصُ اَرۡبَعَۃِ اَشۡہُرٍ ۚ فَاِنۡ فَآءُوۡ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۲۲۶﴾

যারা নিজ স্ত্রীর সাথে সংগত না হওয়ার শপথ করে তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। অতঃপর যদি তারা প্রত্যাগত হয় তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা বাকারা ২২৬)

وَ اِنۡ عَزَمُوا الطَّلَاقَ فَاِنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۲۲۷﴾

আর যদি তারা তালাক দেয়ার সংকল্প করে তবে নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
(সুরা বাকারা ২২৭)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে স্বামীর ইচ্ছা সত্ত্বেও, বারবার চাওয়া সত্ত্বেও লকডাউনের কারনে যেহেতু সে চার মাসের মধ্যে স্ত্রীর নিকট গমন করতে পারেনি,সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এই চার মাসের মধ্যে স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে স্বামী সূলভ মৌখিক আচরণ করে থাকে,যেটি সেই স্ত্রীকে তালাক দিবেনা,বরং তাকে আগের সেই শপথ থেকে ফিরিয়ে নিয়েছে এমন বুঝায় বা তার কাছে গমন করবে এমন ইচ্ছা বুঝায়,তাহলে স্বামীর জন্য স্ত্রীর নিকট গমনের প্রবল ইচ্ছা থাকায় লকডাউনের ফলে যেতে না পারায় প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 
,
শরহে বিকায়াহ গ্রন্থে আছেঃ-

ولو عجز عن الفئي بالوطي لمرض باحدهما أو صغرها أو رتقها أو لمسيرة  أربعة أشهر بينهما ففئيوه قوله فئت إليها فلا تطلق بعده لو مضت مدته وهو عاجز فإن صح قبل مدته ففئيوه بوطيه.

সারমর্মঃ-
যদি সহবাসের দ্বারা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে অপারগ হয়,চাই এই অপারগতা স্বামী স্ত্রীর কাহারো অসুস্থতার কারনে হোক বা স্ত্রীর অল্প বয়স্কতার কারনে হোক বা যোনির মুখ বন্ধ হওয়ার কারনে হোক ,অথবা চার মাসের ভ্রমন পথে থাকার কারনে হোক,তাহলে তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া উক্তি দ্বারা হবে।
অর্থাৎ সে স্ত্রীকে বলবে আমি তার দিতে প্রত্যাবর্তন করলাম।
স্বামী যদি সহবাসে অপারগ হওয়ার দরুন সহবাস করতে না পারে,আর এভাবেই যদি মুদ্দাত শেষ হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে তালাক হবেনা।
আর যদি মুদ্দাত তথা চার মাসের আগেই সুস্থ হয়ে যায়,তাহলে সে সহবাস করার মাধ্যমে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিবে।
(শরহে বিকায়াহ {মতন} ২/১০৬ মাকতাবাতুল ফাতাহ বাংলাদেশ)  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
আবার বিয়ে না করে সংসার করলে গুণাহ হবেনা।

(০২)
স্বামীকে আর বিয়ে করতে বলতে হবেনা।

(০৩)
এতে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...