আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (76 points)
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

১।মুফতি কাজী ইব্রাহিম হুজুর কোন মাজহাবের অনুসারী? ওনার মাসআলা কি গ্রহন করা যাবে?

২।মুফতি কাজী ইব্রাহিম হুজুরের একটা লেকচার দেখেছিলাম ওইখানে ওনি বলেছিলেন সহীহ হাদিস পাইলে সেটা যদি মাজহাবের বিপক্ষে যায় সেই হাদিস মানলে গুণাহ হবে না।সেইটার লিন্ক সহ সহীহ হাদিস  ২ টা দিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করেছিলাম।প্রথমে আপনি হানাফী অনুযায়ী ফতোয়া দিয়েছিলেন। পরে আরো বুঝিয়ে বলার পর সবকিছু আপনিও ঠিকি সহীহ হাদিস ২ টার পক্ষে উত্তর দিয়েছিলেন।মানে হানাফী অনুযায়ী অন্য ফতোয়া কিন্তু আপনি হয়ত গবেষণা করে ফতোয়াটা দিয়েছিলেন।তখন আমি জানতাম না ইব্রাহিম হুজুর কোন মাজহাব মানেন হয়ত বলেছিলাম হানাফী মাজহাবের আলেম।তবুও আমি সিওর হওয়ার জন্য আপনার কাছ থেকে ফতোয়া নিয়েছিলাম।তহ এখন সেই অনুযায়ী চললে তহ কোন সমস্যা হবে না তাই না? মাঝে মাঝে বেশি ওয়াসওয়াসা আসে তহ তাই আবার জিগ্যেস করেছি।কিছু মনে করিয়েন না হুজুর মাফ করিয়েন।

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
কারো সম্পর্কে মন্তব্য করার পূর্বে নিম্নোক্ত হাদীসটি লক্ষণীয়-

হযরত আবু বাকরা রাযি থেকে বর্ণিত,

عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَجُلًا ذُكِرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَثْنَى عَلَيْهِ رَجُلٌ خَيْرًا ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( وَيْحَكَ قَطَعْتَ عُنُقَ صَاحِبِكَ - يَقُولُهُ مِرَارًا - إِنْ كَانَ أَحَدُكُمْ مَادِحًا لَا مَحَالَةَ فَلْيَقُلْ : أَحْسِبُ كَذَا وَكَذَا إِنْ كَانَ يُرَى أَنَّهُ كَذَلِكَ وَحَسِيبُهُ اللَّهُ ، وَلَا يُزَكِّي عَلَى اللَّهِ أَحَدًا 

একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক লোকের ব্যাপারে আলোচনা হয়। তখন অন্য এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক কাজের বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর তার চেয়ে উত্তম আর কোন লোক নেই। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার ধ্বংস হোক, তুমি তো তোমার সঙ্গীর গর্দান কেটে ফেলেছ। তিনি এ কথাটি বার বার বললেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের কারো যদি তার ভাইয়ের প্রশংসা করতেই হয় তবে সে যেন বলে অমুকের ব্যাপারে আমার ধারণা যে, সে এমন (বাস্তবে হলেই এ কথাটি বলতে পারবে), তবে আল্লাহর সম্মুখে আমি কাউকে দোষমুক্ত ঘোষণা করছি না (অর্থাৎ আমি আল্লাহর সামনে কাউকে পবিত্র করতে পারি না)। (সহীহ মুসলিম-শামেলা:৩০০০,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২৩১, ইসলামিক সেন্টার ৭২৮৪)(সহীহ বোখারী-৬০৬১)

★★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জানামতে প্রশ্নে উল্লেখিত মুফতী সাহেব ইসলামের দায়ী।।
দীনের নিষ্ঠাবান খাদেম।
তার মাসয়ালা গ্রহন করা যাবে।
জানা মতে তিনি হানাফি মাযহাবের অনুসারী, তবে কেহ কেহ তাকে আহলে হাদীসদের অন্তর্ভুক্ত মনে করেন।
,
তার কোনো কথা যদি নিজ মাযহাবের বহির্ভুত হয়,সেটি মানা যাবেনা।

(০২)
আপনি যেই ফতোয়ার কথা উল্লেখ করেছেন,সেখানে হানাফি মাযহাবের বিপরীত ফতোয়া প্রদান করা হয়নি।

সেই ফতোয়াটি হলো,
প্রশ্নের বিবরণ মতে স্বামীর ইচ্ছা সত্ত্বেও, বারবার চাওয়া সত্ত্বেও লকডাউনের কারনে যেহেতু সে চার মাসের মধ্যে স্ত্রীর নিকট গমন করতে পারেনি,সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এই চার মাসের মধ্যে স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে স্বামী সূলভ মৌখিক আচরণ করে থাকে,যেটি সেই স্ত্রীকে তালাক দিবেনা,বরং তাকে আগের সেই শপথ থেকে ফিরিয়ে নিয়েছে এমন বুঝায় বা তার কাছে গমন করবে এমন ইচ্ছা বুঝায়,তাহলে স্বামীর জন্য স্ত্রীর নিকট গমনের প্রবল ইচ্ছা থাকায় লকডাউনের ফলে যেতে না পারায় প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 
,
শরহে বিকায়াহ গ্রন্থে আছেঃ-

ولو عجز عن الفئي بالوطي لمرض باحدهما أو صغرها أو رتقها أو لمسيرة  أربعة أشهر بينهما ففئيوه قوله فئت إليها فلا تطلق بعده لو مضت مدته وهو عاجز فإن صح قبل مدته ففئيوه بوطيه.

সারমর্মঃ-
যদি সহবাসের দ্বারা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে অপারগ হয়,চাই এই অপারগতা স্বামী স্ত্রীর কাহারো অসুস্থতার কারনে হোক বা স্ত্রীর অল্প বয়স্কতার কারনে হোক বা যোনির মুখ বন্ধ হওয়ার কারনে হোক ,অথবা চার মাসের ভ্রমন পথে থাকার কারনে হোক,তাহলে তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া উক্তি দ্বারা হবে।
অর্থাৎ সে স্ত্রীকে বলবে আমি তার দিতে প্রত্যাবর্তন করলাম।
স্বামী যদি সহবাসে অপারগ হওয়ার দরুন সহবাস করতে না পারে,আর এভাবেই যদি মুদ্দাত শেষ হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে তালাক হবেনা।
আর যদি মুদ্দাত তথা চার মাসের আগেই সুস্থ হয়ে যায়,তাহলে সে সহবাস করার মাধ্যমে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিবে।
(শরহে বিকায়াহ {মতন} ২/১০৬ মাকতাবাতুল ফাতাহ বাংলাদেশ)  

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (76 points)
edited by
১।   ifatwa.info/47513/
২।    ifatwa.info/47980/
৩।     ifatwa.info/48042/
৪।     ifatwa.info/48103/
৫।  ifatwa.info/54784/
শুধু ১ম লিন্ক টা ছাড়া পরের গুলোতে সব বলার পর বলেছিলেন তালাক হবে না।কয়েকবার প্রশ্ন করেছিলাম।আপনি ২ নং প্রশ্নে লিন্ক এড করতে বলেছেন তাই করেছি।এই মোতাবেক চললে তহ সমস্যা হবে না তাই না?
by (76 points)
ifatwa.info/54784/ 
শায়খ এই ফতোয়ায় বলেছিলেন স্বামীকে বার বার বলার পর ও যদি না করে তাহলে আর না বলতে বা বিবাহ না করে সংসার করলেও গুণাহ হবে না।তহ এইভাবে চললে তহ গুণাহ হবে না তাই না?
by (677,120 points)
হ্যাঁ, গুনাহ হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...