আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
158 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল এগুলো উত্তর দিলে উপকৃত হব।

১.তওবা করার পরও বারবার নফসের তাড়নায় গুণাহ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে যে তওবা গুলো করি তা কি কবুল হবে? যদি না হয় এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি?

২.স্কুলে টিফিন টাইমের আগে টিফিন খাওয়া নিষেধ। কিন্তু আমি যদি টিফিনের আগে টিফিন খাই তাহলে আমার গুণাহ হবে?

৩.স্কুলে শিক্ষা উপকরণ ব্যাতিত অন্যকিছু আনা নিষেধ।কেউ শিক্ষা উপকরণ ব্যাতিত অন্যকিছু আনে সে কি তাহলে গুণাহগার হবে?

৪.ক্লাসে অনেক সময় ছাত্ররা অশ্লীল কথা,খারাপ গালিগালাজ করে। এগুলো শুনে অনিচ্ছায় আমার হাসি উঠে যায়। অনেক কষ্টে হাসি থামাতে হয়।এই জন্য কি আমার গুণাহ হবে?

৫.অনিচ্ছায় যদি মনে অশ্লীল চিন্তা আসে তাহলে কি আমার গুণাহ হবে?

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (574,230 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার আগের তওবা গুলি কবুলযোগ্য হবে ইনশাআল্লাহ্। 
আল্লাহ তায়ালা চাইলে পূর্বের সব তওবা কবুল করবেন।

তবে এটি মাথায় রাখতে হবে যে এভাবে একই গুনাহ একাধিক বার করা বড় অন্যায়। 
তাই দ্রুত তাহা ত্যাগ করার চেষ্টা করতে হবে।

হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে,

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ عَبْدًا أَذْنَبَ ذَنْبًا فَقَالَ: رَبِّ أَذْنَبْتُ فَاغْفِرْهُ فَقَالَ رَبُّهُ أَعَلِمَ عَبْدِي أَنَّ لَهُ رَبًّا يَغْفِرُ الذَّنْبَ وَيَأْخُذُ بِهِ؟ غَفَرْتُ لِعَبْدِي ثُمَّ مَكَثَ مَا شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ أَذْنَبَ ذَنْبًا فَقَالَ: رَبِّ أَذْنَبْتُ ذَنْبًا فَاغْفِرْهُ فَقَالَ رَبُّهُ: أَعَلِمَ عَبْدِي أَنَّ لَهُ رَبًّا يَغْفِرُ الذَّنْبَ وَيَأْخُذُ بِهِ؟ غَفَرْتُ لِعَبْدِي ثُمَّ مَكَثَ مَا شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ أَذْنَبَ ذَنبا قالَ: رب أذنبت ذَنبا آخر فَاغْفِر لِي فَقَالَ: أَعَلِمَ عَبْدِي أَنَّ لَهُ رَبًّا يَغْفِرُ الذَّنْبَ وَيَأْخُذُ بِهِ؟ غَفَرْتُ لِعَبْدِي فَلْيَفْعَلْ مَا شَاءَ 

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন বান্দা গুনাহ করে বলে, ‘হে আমার রব! আমি গুনাহ করে ফেলেছি। তুমি আমার এ গুনাহ ক্ষমা করে দাও।’ তখন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, (হে আমার মালায়িকাহ্ (ফেরেশতা)!) আমার বান্দা কি জানে, তার একজন ‘রব’ আছেন? যে ‘রব’ গুনাহ মাফ করেন অথবা (এর জন্য) তাকে শাস্তি দেন? (তোমরা সাক্ষী থেক) আমি তাকে মাফ করে দিলাম। অতঃপর যতদিন আল্লাহ চাইলেন, সে গুনাহ না করে থাকল। তারপর আবার সে গুনাহ করল ও বলল, ‘হে রব’! আমি আবার গুনাহ করে ফেলেছি। আমার এ গুনাহ মাফ করো। তখন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমার বান্দা কি জানে, তার একজন ‘রব’ আছেন, যে রব গুনাহ মাফ করেন অথবা এর জন্য শাস্তি দেন। আমি আমার বান্দাকে মাফ করে দিলাম। অতঃপর আল্লাহ যতদিন চাইলেন, সে কোন গুনাহ না করে থাকল। তারপর সে আবারও গুনাহ করল এবং বলল, হে রব! আমি আবার গুনাহ করেছি। তুমি আমার এ গুনাহ ক্ষমা করো। তখন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমার বান্দা কি জানে, তার একজন ‘রব’ আছেন, যে রব গুনাহ মাফ করেন অথবা অপরাধের জন্য শাস্তি দেন? আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করলাম। সে যা চায় করুক।

(সহীহ : বুখারী ৭৫০৭, মুসলিম ২৭৫৮, আহমাদ ৭৯৪৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ২০৭৬৪, শু‘আবূল ঈমান ৬৬৮৫, সহীহ আত্ তারগীব ৩১৪০, ইবনু হিব্বান ৬২২।)

(০২)
আপনি যদি অনেক ক্ষুধা থাকায় এমনটি করেন,তবে তাহা শিথিলযোগ্য।

হ্যাঁ এমনিতেই এমনটি করলে অনুমতি নিতে হবে,নতুবা কর্তৃপক্ষের বৈধ আইন না মানার গুনাহ হবে।

(০৩)
হ্যাঁ , এতে স্কুল কর্তৃপক্ষের বৈধ আইন না মানার গুনাহ হবে।

(০৪)
আপনি যেহেতু গালি দেননি,তাই আপনার গুনাহ হবেনা।
তবে গালি দাতাদের উৎসাহ দেয়া মূলক কোনো কাজ করা যাবেনা।

(০৫)
অনিচ্ছায় এমনটি হলে এতে গুনাহ হবেনা।
তবে তাহা দ্রুত মন থেকে দূর করে দিতে হবে,নতুবা গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...