আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (19 points)
১/কুফরি কাজ বলতে কি কি বুঝায়?

২/মুখে কুফরি বাক্য উচ্চারন না করলে কবিরাহ গোনাহের কাজ করার সময় অন্তরের কুফরি শিরকি নিয়তের জন্য ইমান চলে যাবে? যেমন ধরেন পানি অপচয় করতেসে কেউ,তার অন্তরে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় আসতেসে পানি অপচয় গোনাহ মানিনা।।।ইচ্ছাতে আসলে কি ইমান চলে যাবে??

৩/ মুখে কুফরি বাক্য উচ্চারন না করে কি কি কাজ থেকে দূরে থাকলে ইমান চলে যাবেনা?

৪/কোন বিষয়ে একাধিক আলেম এক ফতোয়া দিলে সেই বিষয়টা এতদিন মেনে চলি,,,এখন যদি নতুন করে আরেক আলেম অন্য ফতোয়া দেয় আমি কি পুর্বের ফতোয়া মানতে পারব?এতে কি গোনাহ হবে?

৫/সেই নতুন আলেম থেকে যদি একাধিক বিষয়ে ফতোয়া নি কিন্তু শুধুমাত্র পুর্বের বিষয়টার জন্য পুর্বের ফতোয়া মানি।।।তাহলে বর্তমানের অন্য বিষয়ের ফতোয়া গুলা মানতে পারব? মানে বুঝাতে চাচ্ছি এক আলেমের সব ফতোয়াই মানতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
কুফরি কাজ বলতে বুঝায়ঃ
যেমন শিরক করা
নবী বা মৃত আওলিয়াদের নিকট কিছু চাওয়া অথবা কোন ওলী আওলিয়ার অনুপস্থিতিতে দূর থেকে তার কাছে সাহায্য চাওয়া অথবা ঐ পীর বুজুর্গের উপস্থিতিতে তার কাছে এমন কিছু চাওয়া যা দেওয়ার ক্ষমতা তার নেই । 

আল্লাহ তাআলা বলেন,

(হে নবী!) “শিরক যদি তুমিও করো তাহলে তোমার সকল ইবাদত বাতিল হয়ে যাবে । অতঃপর তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে।” (সূরা ৩৯; যুমার ৬৫)

★গায়রুল্লাহকে সিজদা করা
জেনে-বুঝে কোন রাজা, বাদশা, পীর, বুজুর্গ, জীবিত বা মৃত ব্যক্তিকে ইবাদতের নিয়তে রুকূ বা সিজদা করা।

★ইসলামের কোন একটি রুকন অস্বীকার করা
যেমন- ঈমান, সালাত, সওম, যাকাত যাকাত ও হজ্জ । অথবা ঈমানের কোন একটি রুকন অস্বীকার করা। যেমন আল্লাহ, তাঁর রাসূল, তাঁর ফেরেশতা, আসমানি কিতাব, তাকদীরের ভালোমন্দ এবং মৃত্যুর পর পুনরুত্থান এগুলোর উপর ঈমান আনতেই হবে । এর কোন একটিকে অস্বীকার করলে ঈমান বিনষ্ট হয়ে যায়।

★কুরআন-হাদীসের কোন বিষয় নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা কিংবা ইসলামের কোননা হুকুম-আহকাম নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করা

এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন,
“বল, তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছিলে? (কাজেই আজ আমার সামনে) তোমরা কোন ওজর-আপত্তি পেশ করো না। ঈমান আনার পর (বিদ্রুপের করে) পুনরায় তোমরা কুফুরী করেছ।” (সূরা ৯; তাওবা ৬৫-৬৬)

অতএব, কুরআন-হাদীস নিয়ে ঠাট্টা করা হলো কুফরী কাজ, যার ফলে ঈমান চলে যায় ।

★কুরআন-হাদীসের কোন কথা অস্বীকার করা
জেনে-শুনে ইচ্ছাকৃতভাবে কুরআন কারীমের কিংবা বিশুদ্ধ হাদীসের কোন অংশ বা কথা অস্বীকার করলে ইসলাম থেকে বহিস্কার হয়ে যায়। যদিও তা কোন ক্ষুদ্র বিষয়ে হোক না কেন ।

★আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে গালি দেওয়া
মহান রবকে গালি দেওয়া, দীন ইসলামকে অভিশাপ দেওয়া, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে গালি দেওয়া বা তার কোন অবস্থা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করা, তার প্রদর্শিত জীবনবিধানের সমালোচনা করা । এ জাতীয় কর্মকাণ্ডের কোন একটি কাজ করলেও কাফির হয়ে যাবে, ঈমান চলে যাবে।।

★হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল করে ফেলা।

যেমন সুদকে বৈধ ঘোষণা দেওয়া বা হালাল মনে করা ইত্যাদি। আল্লাহ তাআলা বলেন,
“আর আল্লাহ ব্যবসাকে বৈধ করেছেন, আর সুদকে করেছেন হারাম” (সূরা ২; বাকারা ২৭৫)।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে ব্যাক্তির ঈমান চলে যাবেনা।

(০৩)
এক নং প্রশ্নের জবাবে দেয়া কাজ গুলি হতে দূরে থাকতে হবে।

(০৪)
অভিজ্ঞ ও বিজ্ঞ মুফতী সাহেব,দলিলের ভিত্তিতে যেই ফতোয়া দিয়েছেন, সেটি মেনে চলবেন।

(০৫)
একই মাযহাবের দুই মুফতী সাহেবের দুই ফতোয়া দুই রকম হবেনা।
হলে সেটি মতবিরোধ পূর্ণ মাসয়ালার ক্ষেত্রে হতে পারে।
সেক্ষেত্রে দলিলের দিক থেকে যাহা শক্তিশালী, সেটা মানতে হবে,মন যেটা চাচ্ছে,সেটা মানা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...