আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
106 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (38 points)
তার জন্য আজকে আমার এই চাকরিটা হয়ে গেল অথবা সে যদি না থাকতো তাহলে আমার এই ধরনের কাজটা হইত না এই ধরনের কথা বলা কি জায়েজ নাকি জায়েজ হবে না নাকি এগুলা আল্লাহর নির্ভরতা থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে বা তাওয়াককুল এর বিরোধী হচ্ছে বা যে বলবে সে কি কাফের হয়ে যাবে কি ? যুদি হয়ে থাকে তাহলে এই কথা কিভাবে বলা উচিত ?

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُؤْمِنُ الْقَوِيُّ خَيْرٌ وَأَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنَ الْمُؤْمِنِ الضَّعِيفِ وَفِي كُلٍّ خَيْرٌ احْرِصْ عَلَى مَا يَنْفَعُكَ واستعن بِاللَّه ولاتعجز وَإِنْ أَصَابَكَ شَيْءٌ فَلَا تَقُلْ لَوْ أَنِّي فَعَلْتُ كَانَ كَذَا وَكَذَا وَلَكِنْ قُلْ قَدَّرَ اللَّهُ وَمَا شَاءَ فَعَلَ فَإِنَّ لَوْ تَفْتَحُ عمل الشَّيْطَان» رَوَاهُ مُسلم

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: শক্তিশালী মু'মিন দুর্বল ঈমানদার হতে অধিক উত্তম ও আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়। তবে প্রত্যেকের মাঝেই কল্যাণ রয়েছে। (কেননা কল্যাণের মূলই হলো ঈমান; আর তা কমবেশি উভয় প্রকারের মুমিনের মধ্যে মওজুদ আছে)। আর (দীনি) যে কাজে তোমার উপকার হবে, তার প্রতি আগ্রহ রাখো এবং আল্লাহ তা'আলার সাহায্য কামনা করো (কিন্তু তা অর্জনে) দুর্বলতা প্রকাশ করো না। যদি তোমার কোন কাজে (চাই তা দীন সম্পর্কীয় হোক বা দুনিয়াবি ব্যাপারে হোক) কিছু ক্ষতি সাধিত হয় তখন তুমি এভাবে বলো না- “যদি আমি কাজটি এভাবে এভাবে করতাম তাহলে আমার এই এই ভালো হত।” বরং বলল, আল্লাহ এটাই ভাগ্যে রেখেছিলেন, আর তিনি যা চান তাই করেন। (لَوْ) তথা “যদি” শব্দটি শয়তানের কাজের পথকে খুলে দেয়।

(সহীহ: মুসলিম ৩৪-(২৬৬৪), ইবনু মাজাহ ৭৯, সহীহুল জামি ৬৬৫০, মুসনাদুল হুমায়দী ১১১৪, মুসনাদে আহমাদ ৮৭৭৭, আবূ ইয়া'লা ৬২৫১, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৭২২, শুআবূল ঈমান ১৯৪, আস সুনানুল কুবরা লিন্ নাসায়ী ১০৪৫৭, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী ২০৬৬৮।)

কাযী ‘ইয়ায (রহিমাহুল্লাহ) এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন, অত্র হাদীসে ‘যদি' বলার নিষিদ্ধতা বাহ্যিকভাবে অথবা সাধারণভাবে সর্বদাই নিষিদ্ধ। আর তা এই নিষেধাজ্ঞাটি ধমকসূচক, হারাম নয়। এর প্রমাণ হচ্ছে হাদীসের পরবর্তী অংশ (إِنَّ لَوْ تَفْتَحُ عمل الشَّيْطَان) কেননা যদি বলা শয়তানের পথ খুলে দেয়। অর্থাৎ অন্তরে তাক্বদীরের প্রতি অনিহা সৃষ্টি করে এবং শয়তানের দ্বারা ওয়াসওয়াসা প্রদান করে। (শারুহুন্ নাবাবী ১৬/২৬৬৫, মিরক্বাতুল মাফাতীহ ৫২৯৮)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্য গুলো বলা হতে রাসুলুল্লাহ সাঃ ধমক দিয়েছেন।
সুতরাং এহেন বাক্য বলা যাবেনা,তবে এহেন বাক্য বলায় কোনো কুফরি বা শিরক হবেনা।
কেননা প্রত্যেক মু'মিন বান্দার অন্তরে একথা বদ্ধমূল রয়েছে যে ব্যাক্তি আসলে উসিলা,উক্ত ব্যাক্তি বা উক্ত প্রেক্ষাপট শুধু মাত্র ওসিলা মাত্র।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হাদীসের ভাষ্য মতে এভাবে বলা উচিতঃ-

""আল্লাহ এটাই ভাগ্যে রেখেছিলেন, আর তিনি যা চান তাই করেন""


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...