আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
369 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)

আমার আহলিয়া দীর্ঘ ১১ বছর যাবৎ একটি সমস্যায় ভুগছে। তার হায়েজ শুরু হবার পর ৭দিন, মাঝে মাঝে ৮-১০ দিন ও রক্ত যেতে থাকে। হায়েজ বন্ধ হবার কিছুদিন পর আবার অল্প অল্প রক্ত যেতে দেখা যায়।
বিষেশজ্ঞ ডাঃ এর শরণাপন্ন হলে তিনি বলেন, এটি একটি হরমোন জনিত সমস্যা। আমার স্ত্রীর হায়েজ শেষ হবার প্রায় ১-২ সপ্তাহের মধ্যে আবার এরকম সমস্যা দেখা দেয়। তার ধ্রারনা এটি হয়তো জীনের প্রভাবে হচ্ছে কেননা কোনো ডাক্তার ই এর কোনো কারন খুজে বের করতে পারছে না। 
আমার স্ত্রী তার মাসিক শেষ হবার পর ফরজ নামাজ পড়া শুরু করে। যখন অল্প অল্প দেখা যায় মাঝে মাঝে, তখনও সে তার ফরজগুলো পালন করে যতক্ষন না বেশি পরিমান যেতে শুরু করে।
আমার প্রশ্নঃ
১। আমার স্ত্রী কখন হায়েজ বন্ধ হয়েছে ধরে নিবে? কখন থেকে নামায পড়া শুরু করবে?

২। এটির কারন কি হতে পারে জীনের প্রভাব? হলে করনীয় কি?
৩। কখন থেকে স্ত্রীর সাথে সহবাস করা জায়েজ হবে? হায়েজ শেষ কিন্তু রক্ত এরপরো অল্প অল্প যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে কি সহবাস জায়েজ হবে কিনা?

জাকাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(১.৩)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার আহলিয়ার জন্য করনীয় হলো, হায়েজ শুরু হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে যদি হায়েজ বন্ধ হয়ে আবারো রক্ত যায়,চাই তাহা পরিমানে বেশি হউক বা খুবই কম হউক,সেটিকে হায়েজ হিসেবেই ধরবে।
নামাজ আদায় করবেনা,সহবাস হতে বিরত থাকতে হবে।

এভাবেই চলতে থাকলে ১১ তম দিন থেকে পবিত্র মনে করবে,সেদিন হতে নামাজ আদায় করবে,সহবাস করতে পারবে।

আর যদি ১০ দিনের মধ্যে হায়েজ বন্ধ হয়ে ১১ তম দিন বা তার পরে রক্ত আসে,তাহলে এটিকে ইস্তেহাজা ধরবে,এটি হায়েজ নয়।
সুতরাং নামাজ চালিয়ে যাবে।
সহবাস করতে পারবে।

(০২)
এখানে কোনো জীনের প্রভাব আছে বলে মনে হয়না।
অন্তর থেকে জীনের বিষয় ঝেড়ে ফেলার পরামর্শ রইলো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...