আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
205 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম। নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দিলে অনেক উপকৃত হব।

১)ইসলামে মাযহাব মানা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ এটা কি ফরজ এর মধ্যে পড়ে নাকি ওয়াজিবের মধ্যে পড়ে নাকি সুন্নতের মধ্যে পড়ে?

২)কেউ যদি মাযহাব না মানে তাহলে তার কি ধরনের গুনাহ হতে পারে? তার কি এজন্য ইমান চলে যাইতে পারে?

৩)কয়েক বছর আগে ইসলাম ধর্ম বই পড়তে গিয়ে একটা কথা পেয়েছিলাম যে,  " যারা হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল মনে করে তারা কাফের "।  কিন্তু এ ধরনের কথার শেষে কোনো রেফারেন্স দেওয়া ছিল না। কুরআন-হাদিসে কি এ বিষয়ে কোন কিছু  উল্লেখ আছে? যদি কুরআন হাদীসে উল্লেখ না থাকে তাহলে ইসলামের কোথাও কি এ বিষয়ে উল্লেখ আছে? এ প্রশ্নের উত্তর রেফারেন্সসহ দিলে অনেক ভালো হয়।অন্যদেরকে সতর্ক করতে পারব এ বিষয়ে।

৪)নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য মাহরাম ও নন-মাহরাম মেনে চলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ এটা কি ফরজ এর মধ্যে পড়ে নাকি ওয়াজিবের মধ্যে পড়ে নাকি সুন্নতের মধ্যে পড়ে?এ প্রশ্নের উত্তর রেফারেন্সসহ দিলে অনেক ভালো হয়। অন্যদেরকে সতর্ক করতে পারব এ বিষয়ে।

৫) ইসলামে পুরুষদের দৃষ্টি হেফাজত করা  কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ এটা কি ফরজ এর মধ্যে পড়ে নাকি ওয়াজিবের মধ্যে পড়ে নাকি সুন্নতের মধ্যে পড়ে?

জাযাকাল্লাহু খায়রান
closed

1 Answer

+1 vote
by (574,050 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মুজতাহিদ নয় এমন সবার জন্য মাযহাব মানা ফরয।বিস্তারিত জানতে দেখুন!জাস্টিস আল্লামা তাক্বী উসমানী রচিত"মাযহাব কি ও কেন?"

মাযহাব অর্থ হল,কুরআন-হাদীসের ব্যাখা জানতে কারো সাহায্য গ্রহণ করা।অর্থাৎ যারা নিজে সরাসরি কুরআনের আয়াত বা হাদীসে রাসূল এর মর্মার্থ বুঝতে পারেন না, তারা অন্যর সাহায্য নিয়ে কুরআন-হাদীস এর মর্মার্থ বুঝবেন,এবং সে অনুযায়ী আ'মল করবেন।

সুতরাং কোনো এক আলেম বা মৌলিক মূলনীতি এক এমন একদল আলেমের কুরাআন-সুন্নাহ অনুসৃত মত ও পন্থাকে অনুসরণ করার নামই হল মাযহাব। এক্ষেত্রে সকল মাস'আলায় শুধুমাত্র একজনকেই অনুসরণ করতে হবে।নতুবা একেকজনকে একেক মাস'আলা অনুসরণ মূলত প্রবৃত্তির অনুসরণ হবে,।এজন্য এমন কোনো এক আলেম বা মূলনীতি এক এমন একদল আলেমকে অনুসরণ করতে হবে যাদের প্রায় সকল বিষয়ে ইজতেহাদ রয়েছে।এই হল মাযহাব এর তাৎপর্য। এ সম্পর্কে আরো জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1936

(২)
ঈমান যাবে না।তবে তার অাখেরাত আশংকাযুক্তই থেকে যাবে। সে হয়তো একদিন শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে নিতে পারে।

(৩)
হালালকে হারাম করা আর হারামকে হালাল করা বড় ধরণের কুফরি। এ বিষয়ে কুরআন হাদীস থেকে এত অসংখ্য দলীল রয়েছে যে, তা উল্লেখের কোনো প্রয়োজনিয়তা রাখে না। আপনাকে একটি আয়াতের কথাই শুধু বলবো,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَمَا لَكُمْ أَلَّا تَأْكُلُوا مِمَّا ذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَقَدْ فَصَّلَ لَكُم مَّا حَرَّمَ عَلَيْكُمْ إِلَّا مَا اضْطُرِرْتُمْ إِلَيْهِ ۗ وَإِنَّ كَثِيرًا لَّيُضِلُّونَ بِأَهْوَائِهِم بِغَيْرِ عِلْمٍ ۗ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِالْمُعْتَدِينَ
কোন কারণে তোমরা এমন জন্তু থেকে ভক্ষণ করবে না, যার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয়, অথচ আল্লাহ ঐ সব জন্তুর বিশদ বিবরণ দিয়েছেন, যেগুলোকে তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন; কিন্তু সেগুলোও তোমাদের জন্যে হালাল, যখন তোমরা নিরুপায় হয়ে যাও। অনেক লোক স্বীয় ভ্রান্ত প্রবৃত্তি দ্বারা না জেনে বিপথগামী করতে থাকে। আপনার প্রতিপালক সীমাতিক্রম কারীদেরকে যথার্থই জানেন।(সূরা আন'আম- ১১৯)

(৪)
মাহরাম নন মাহরাম মেন্টন করে চলা ফরয।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2722

মুহতারাম!
আপনার প্রশ্ন থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, আপনি ইসলাম সম্পর্কে নতুন ধারণা পেয়েছেন। যাইহোক, আল্লাহ আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুক।আমীন।
আপনাকে দলীল বললে সেটা সম্ভবত বুঝবেন না মুহতারাম। কেননা দলীল বুঝার জন্যই মাদরাসায় ১৬/১৮ বৎসর পড়ানো হয়ে থাকে। আপনি মাহরাম সম্পর্কে জানতে ও দলীল বুঝতে উপরের লিংকে ক্লিক করবেন।

(৫)
দৃষ্টির হেফাজত ফরয।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1535


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (574,050 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...