আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
47 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ শায়খ,


১.আমি ১৭/১৮ বছর বয়সে কলেজের বেতন দেওয়ার জন্য  আমার মায়ের একাউন্ট থেকে তাকে না জানিয়ে দেওয়া কিছু টাকা তুলেছিলাম পরবর্তী তে হাতে টাকা হলে আবার অই একাউন্টে রেখে দিব ভেবেছিলাম।কিন্তু আমি এই কথা ভুলে গিয়েছিলাম,প্রায় ৭/৮ বছর পর এখন আমার এই কথা মনে পড়েছে।আমার মায়ের একাউন্ট থেকে যা টাকা তুলেছিলাম ইতোমধ্যে তার চেয়ে বেশি টাকা তার আরেকটি একাউন্টে জমা দিয়েছি তবে এই নিয়ত ছিল না যে আগের পাওনা টাকা পরিশোধ করার জন্য দিচ্ছি কারন পাওনা টাকার কথা আমার মনেই ছিল না।

**আমার প্রশ্ন হচ্ছে এতে কি পাওনা টাকা পরিশোধ হয়েছে নাকি আবার পাওনা টাকা পরিশোধ করার নিয়তে নতুন করে টাকা দিতে হবে??আর আমি  মাকে আমার পূর্ববর্তী বিশ্বাসঘাতকতা র কথা জানাতে চাচ্ছিনা এম্নিতেই কিছু না বলে তার একাউন্ট এ টাকাটা রেখে দিলে কি পাওনা আদায় হবে?


২.আমরা প্রতিনিয়ত শ্যাম্পু,ভ্যাস্লিন,লোশন, ক্রিম ইত্যাদি প্রসাধনী  ব্যবহার করি।কিন্তু এসবের মধ্যে প্রায়শই প্রানীজ চর্বি বা প্রানী দেহ(হালাল না হারাম প্রানী অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা জানা যায়না)থেকে তৈরি বিভিন্ন উপাদান থাকে।আর একটা প্রোডাক্টে প্রায়ই ৩০-৪০ টা ক্যামিকেল থাকে সবসময় প্রতিটা ক্যামিকেলের নাম দেখে আলাদাভাবে  এগুলো হালাল না হারাম বা পাক না নাপাক এসব নির্ণয় করা রসায়নবিদ ছাড়া সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়না।আমরা যদি এই প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার করি যাতে আমার অজ্ঞাতসারে কিছু সন্দেহজনক উপাদান মিশ্রিত থাকতে পারে তাহলে কি গুনাহ হবে আর শীতের দিন লোশন মেখে স্বলাত আদায় করলে কি তা আদায় হবে?

*কোনো কোম্পানি যদি দাবি করে তাদের প্রোডাক্ট হালাল তাহলে কি উপাদান লিস্ট চেক না করে বা উপাদান লিস্টে সন্দেহজনক কিছু থাকলেও তা নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে??

আফওয়ান প্রশ্ন গুলো অনেক বড় হয়ে গিয়েছে।

জাযাকুমুল্লাহ খইরন।

1 Answer

0 votes
by (679,000 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
(বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু তার চেয়ে বেশি টাকা আপনার মায়ের একাউন্টে জমা দিয়েছেন,সুতরাং এক্ষেত্রে পাওনা টাকা পরিশোধ হয়েছে।

★কাহারো থেকে এভাবে টাকা নিলে কিছু না বলে তার একাউন্ট এ টাকাটা রেখে দিলে পাওনা টাকা আদায় হবে।

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করা জায়েজ আছে।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

শীতের দিন লোশন মেখে স্বলাত আদায় করলে তা আদায় হবে।

কোনো কোম্পানি যদি দাবি করে তাদের প্রোডাক্ট হালাল তাহলে উপাদান লিস্টে সন্দেহজনক কিছু থাকলেও তা নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে।

তবে উপাদান লিস্টে হারাম কিছু থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত হলে সেক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...