আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
94 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (26 points)
edited by

১. সন্দেহ করছি যে আমার কিছু পোশাক হয়ত হারাম টাকায় কেনা(ব্যাংকের ইন্টেরেস্ট মিশ্রিত টাকা থেকে ক্রয় করা, পরিমাণ জানা নেই),এখন এই পোশাক গুলোর ক্রয়কালীন মুল্য যদি বর্তমানে আমি সদকাহ করে দেই তবে কি পোশাক গুলো ব্যবহার জায়েয হবে? (আমার নিজের কামাই নেই,বাবা,চাচা,মামা,খালা'র টাকা থেকে যেসব পোশাক ক্রয় করে দেওয়া হয়/উপহার পাই তাই ব্যবহার করে আসছি,সুদের ভয়াবহতার  ব্যাপারে বুঝেছি মাত্রই ৪-৫ মাস হবে) যদি এই নিয়ম জায়েয হয় কিন্তু এই মুহুর্তে সদকাহ করতে না পারি,ফলে কাপড় গুলো পরিধান না করে আলাদা করে রাখি,তাও কি আমার ইবাদত,দোয়া কবুলে বাধা থাকবে? নাকি অন্য হালাল পোশাক পরে ইবাদত,দোয়া করলে  কবুল হবে আমার?

২. কেউ ব্যাংক থেকে সুদ নিয়েছে,আবার অন্যভাবে পরিশ্রম করে হালাল টাকা ও উপার্জন করতেন,মাসিক হিসাবে হালাল উপার্জন সুদের চেয়ে বেশি,এখন আর সুদ নেন না তবে আগের সুদের পরিমান কত,কতদিন অব্দি নিয়েছেন তা মনে নেই,তাহলে তার টাকায় কি এখনো সুদ মিশ্রিত আছে? থাকলেও তার প্রতি দিনকার খাবার কি হালাল হচ্ছে?

৩. সুদ মিশ্রিত টাকায় কেনা গবাদি পশু পালন করে,তার দুধ বিক্রয় করে যে টাকা আসবে তা কি হালাল হবে?দুধ বিক্রয় এর  টাকায় কেনা খাদ্য দ্রব্য,পানীয় কি হালাল হবে?

৪. দুই একটি নাপাক কাপড়ের সাথে কিছু পাক কাপড় ধোয়া হয়েছে একই বালতিতে ভিজিয়ে,এখন সেই পাক কাপড় গুলো অনেক দিন ধরে রেগুলার পরিধান করে ধুয়ে আবার পরিধান করা হচ্ছে, কাপড় গুলো তে কোন দৃশ্যমান নাপাকি লেগে নেই,নাপাক পানিতে নিমজ্জিত ছিলো হয়ত, এতদিন যাবৎ ধোয়ার কারণে ৩ বার পরিধানের পর ৩ বার ধোয়ায় মোট ৩ বার ধোয়া হয়েছে এভাবে হিসেব করে কাপড় পবিত্র হবে?

নাকি নাপাক কাপড় ধুতে নিলে একই সময়ে পরপর ৩ বার না ধুলে কাপড় পবিত্রই হবেনা?

৫. কোন নাপাক কাপড় যদি ১ বার ধুলেই আর কোন নাপাকি কাপড়ে থাকবেই না এটা আমার বিশ্বাস, ধরলাম ২ বার ধুয়ে দিলাম আরো নিশ্চয়তার জন্যে,১ বার বা ২ বার ধুয়ে যদি ভরষা পাই যে পাক হয়েছে,এভাবে কাপড় পাক করা কি ইসলাম সম্মত?

৬. আমার নিজস্ব টাকা থেকে বাবা মা কে না জানিয়ে তাদের নামে কোন দান সাদাকা করা যাবে? গেলেও তাদের নামে দান করার সময় নিয়ত টা কিভাবে করবো?

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
সূদ হারাম।
আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَ ذَرُوْا مَا بَقِیَ مِنَ الرِّبٰۤوا اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِیْنَ فَاِنْ لَّمْ تَفْعَلُوْا فَاْذَنُوْا بِحَرْبٍ مِّنَ اللهِ وَ رَسُوْلِهٖ.

হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সুদের যা কিছু অবশিষ্ট আছে তা পরিত্যাগ করো। যদি তোমরা মুমিন হও। যদি তা না কর তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের সংবাদ জেনে নাও। (সূরা বাকারা  ২৭৮-২৭৯)

হাদীস শরীফে এসেছে, জাবের রাযি. বলেন,

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكِلَ الرِّبَا، وَمُؤْكِلَهُ، وَكَاتِبَهُ، وَشَاهِدَيْهِ، وَقَالَ: هُمْ سَوَاءٌ

‘রাসূলুল্লাহ ﷺ সুদ ভক্ষণকারী, সুদ প্রদানকারী, সুদের লেখক এবং সাক্ষীগণকে অভিসম্পাত করেছেন এবং বলেছেন, (গুনাহের ক্ষেত্রে) তারা সবাই বরাবর।’ (মুসলিম ১৫৯৮)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত পোশাক হারাম টাকায় ক্রয়কৃত সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত হলে বা প্রবল ধারনা হলে  তাহা পরিধান করবেননা।
,
পোশাক গুলোর ক্রয়কালীন মুল্য যদি বর্তমানে আপনি সদকাহ করে দেন, তবে পোশাক গুলো ব্যবহার জায়েয হবে।
এই মুহুর্তে সদকাহ করতে না পারলে সেটি রেখে দিয়ে হালাল কোনো পোশাক পড়ে ইবাদত করলে তাহা কবুল হবে। 
,
(০২)
যেই পরিমান সূদ গ্রহন করেছেন,তাহা মূল মালিককে ফেরত দিবে। 
ফেরত দেওয়া অসম্ভব হলে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবে।
,
এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট এমাউন্ট জানা না থাকলে প্রবল ধারনার ভিত্তিতে সংখ্যা নির্দিষ্ট করবে।
,
এখন প্রত্যেহ যেই খাবার তিনি খান,তাতে যদি সেই হারাম টাকার মিশ্রণ থাকেন,তাহলে তাহা কিছু হলেও হারাম খাবার হিসেবে থাকবে। 
তবে যেহেতু তাতে হালালের আধিক্যতা রয়েছে,তাই তার ইবাদত কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ। 
,
(০৩)   
এখানে সেই পরিমান টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করার আগ পর্যন্ত সেই গবাদি পশু থেকে যাবতীয় উপকৃত হওয়া হারাম হবে।

(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত কাপড় পরবর্তীতে ২য়,৩য় বার ধোয়ার সময় যদি কোনো নাপাক কাপড়ের সাথে স্পর্শ না হয়,তাহলে সেট পাক হবে।
,
(০৫)
যদি ট্যাপেএ পানি ছেড়ে দিয়ে তার মুখে সেটি ধোয়া হয়,অথবা প্রবাহিত কোনো পানির সম্মুখে রেখে সেটি ধোয়া হয়,তাহলে সেটি পাক হবে।
,
নতুবা বদ্ধ পানির ভিতর রেখে এইভাবে দুই বার ধোয়া হলে তাহা পাক হবেনা।
,
(০৬)
হ্যাঁ এভাবে সদকাহ করা যাবে।
,
এই সদকার ছওয়াব বাবা মা পাবে,এটি মনে সংকল্প করে দান করলেই হবে।
বা মনে সংকল্প করবেন যে এটি আমার বাবা মার নামে দান করছি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...