আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (11 points)
edited by
প্রিয় মুফতি সাহেব

১) আমার নানার নিজের প্রায় আনুমানিক ৩০০ কাঠা জমি ছিল আর আমার নানীর প্রায় ১৫ কাঠার মত জমি ছিল। আমার নানার জমি বৈধ হলেও আমার নানীর জমি বৈধ ছিল না। আমার মায়েরা তিন বোন এবং ছয় ভাই ছিলেন। শরীয়হ হিসেব অনুসারে আমার মা, আমার নানার জমি বেশি পাবেন এবং আমার নানীর জমি অনেক কম পাবেন (যেহেতু জমির পরিমান অনেক কম). কিন্তু আমার মামারা জোরপূর্বক আমার নানার জমি না দিয়ে ওয়ারিশ হিসেবে শুধু আমার নানীর জমি(যেটা বৈধ ছিল নাহ) দিয়েছেন যেখানে আমার মায়ের মত ছিল নাহ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে :

আমার মাকে মামারা ইচ্ছাকৃত ভাবে যে জমি দিয়েছেন সেটা কি বৈধ হবে? যেহেতু ওয়ারিশ হিসাবে উনার বাবার বৈধ জমিগুলো বেশি পাওয়ার কথা।

২) আমি টিউশনিতে গেলে আমাকে নাস্তা খেতে দেয়। অনেক সময় তাদের ইনকাম হালাল কি না এ ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যায় না। এ অবস্থায় করণীয় কি?

৩) হিন্দুদেরকে তো সালাম দেওয়া যায় না। আমাদের অনেক হিন্দু শিক্ষক থাকে, তাদেরকে সম্মান জানানোর জন্য যদি আদাব বলা হয় সেটা জায়েজ হবে কি?

৪) আমরা জানি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ কাদিয়ানীদের। তাই প্রাণ আরএফএল গ্রুপের পণ্য কিনা যাবে কি?

৫) আমার এক পাগল আত্মীয় (ছেলে) আছে। যার স্বাভাবিক কোনো সেন্স নেই। আমি যদি তার দাড়ি কেটে দিলে যেটা জায়েজ হবে কিনা?

৬) বিয়ের পরে স্বামী স্ত্রী নিজেদের মত করে কিছুদিন সময় কাটানোর জন্য, দেরিতে বাচ্চা নিবার ইচ্ছা পোষণ করতে পারবে কিনা?

৭) ধরুন কোন ডাক্তার বলল, রোগীকে বাঁচানোর জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি এখন বাকিটুকু আল্লার হাতে। যদিও এর মাধ্যমে ডাক্তার বুঝাতে চাইল যে সম্পূর্ণ বিষয়টা আল্লাহর ইচ্ছাতে হয়েছে। এখন, আমার চেষ্টা আমি করেছি বাকিটুকু আল্লার হাতে এই কথা বলা যাবে কিনা? অনেককেই বলতে শুনেছি এতে নাকি শিরক হয় এটি সত্যি কিনা?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ইতিপূর্বেও এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নটি করা হয়েছিলো।

আপনার নানীর জমি তো অবৈধ,সূদের টাকায় ক্রয়কৃত,ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া এই জমি/সমপরিমাণ বর্তমূল্য গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।

সুতরাং এই জমির মালিক তো আপনার নানী নিজেই নয়,তাই এই জমি ওয়ারিশদের মাঝে বন্টন হবেনা।

আপনার মামারা যেই কাজ করেছেন,এটি কোনোভাবেই জায়েজ জয়নি।
এটি স্পষ্ট জুলুম। এটি বান্দার হক,তাই কিয়ামতের ময়দানে আপনার মামাদের এরজন্য জন্য কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।

আপনার নানা মারা যাওয়া মাত্র শরীয়াহ নীতিমালা অনুসারে আপনার মায়ের সম্পদ দিয়ে দেয়া করনীয়, কেননা আপনার নানার সম্পদ হতে আপনার মায়ের যেই সম্পদ পাওয়ার কথা ছিলো,এটির মালিক আপনার  মালিক আপনার মা।

এই সম্পদের মধ্যে আপনার মামাদের হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই জায়েজ নেই।

(০২)
তাদের বাবা মায়ের ইনকাম হালাল কিনা,সেই তথ্য যেভাবেই হোক নিতে হবে।

(০৩)
জায়েজ হবে।

(০৪)
তাদের পন্য ক্রয় করা নাজায়েজ নয়।

(০৫)
সেটি জায়েজ হবেনা।

(০৬)
স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন তো কোনোভাবেই জায়েজ নেই।
এক্ষেত্রে অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করা মাকরুহে তানযিহি হবে। 

তবে সন্তানের রিযিকের টেনশনে এমনটি করলে হারাম হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৭)
এটি শিরকে জলির অন্তর্ভুক্ত নয়।
তাই এট বলার দরুন কেউ কাফের হয়ে যাবেনা।

তবে এভাবে বলা ঠিক নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...