বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-
وَجَبَ الْإِنْصَاتُ فِي أَرْبَعَةِ مَوَاطِنَ: الْجُمُعَةِ،وَالْفِطْرِ،وَالْأَضْحَى، وَالِاسْتِسْقَاءِ.
চারটি স্থানে চুপ থাকা ওয়াজিব ; জুমা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা এবং ইসতিসকার খুতবার সময়। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ৫৬৪২)
★ঈদের খুতবা চলাকালীন উপস্থিত লোকদের জন্য সম্পূর্ণ চুপ থেকে খুতবা শোনা ওয়াজিব। তাই খুতবার সময় মুসল্লীগণ তাকবীর বলবে না; বরং চুপ থেকে খুতবা শুনবে।
(বাদায়েউস সানায়ে ১/৬১৯ ফাতাওয়ায়ে শামি ১/৫৪৫।)
(০২)
চুপ করে থাকবে।
(০৩)
হ্যাঁ এইভাবে এইভাবে অন্যের মাধ্যমে সালাম পৌঁছানো শরীয়ত সমর্থন করে।
(০৪)
যখন কেউ রসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ‘রওজা আকদাসে’ যাবে, তখন ওখানে দাঁড়িয়ে বলতে হবে, ‘আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা ইয়া রসুলাল্লাহ'
এরপর একটু ডানে অগ্রসর হলেই আবূ বকর রাদিআল্লাহু আনহু-এর কবর। তাকে সালাম দিবেন এবং তাঁর জন্য দোয়া করবেন। আর একটু ডানদিকে এগিয়ে গেলে দেখতে পাবেন উমর রাদিআল্লাহু আনহু-এর কবর। তাকেও সালাম দেবেন এবং তাঁর জন্য দোয়া করবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসহ উক্ত তিনজনকে আপনি এভাবেও সালাম দিতে পারেনঃ
اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَارَسُوْلَ اللهِ - اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا أَبَا بَكْرٍ - اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا عُُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশী না বলাই উত্তম। এরপর এ স্থান ত্যাগ করবেন।
★অন্যের পক্ষ হয়ে রওযা মুবারকে গিয়ে সালাম দেয়ার পদ্ধতিঃ
اَلسَّلاَمُ عَلَیْکَ یَا رَسُوْلَ اللّٰه ! فُلاَنُ بْنُ فُلاَنٍ یُسَلِّمُ عَلَیْکَ یَا رَسُوْلَ اللّٰہِ ۔
(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/২৬৫)
এখানে فُلاَنُ بْنُ فُلاَنٍ যার পর পক্ষ থেকে সালাম পৌছাবেন,তার ও তার বাবার নাম নিতে হবে।
প্রথমে ব্যাক্তির নাম,তার পর "বিন" উল্লেখ করে বাবার নাম উল্লেখ করতে হবে।
(০৫)
সালাত পৌঁছানো বলতে দরুদ পৌঁছানো বুঝায়।
(০৬)
ঠাট্রা করে এমনটি করলে ঈমান চলে যাবে।
নতুবা ঈমান চলে যাবেনা।
তবে মারাত্মক কবিরা গুনাহ হবে।
(০৭)
হতাশ হওয়া কবিরা গুনাহ নয়।
(০৮)
সে ব্যাক্তি জবাব দিতে অপছন্দ করলে তাকে এভাবে প্রশ্ন করা উচিত নয়।
অহংকার চলে আসার সম্ভাবনা হলে তাওরিয়াহ করতে পারবে।
এই ভাবে বলতে পারবে যে আমাকে দিয়ে নফল নামাজ হবে?
এই জাতীয় কিছু উত্তর দেয়া যাবে।