আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
218 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (58 points)
১. ঈদের খুতবায় তাকবীরে তাশরীক বলা হয় যে অনেক বার, আবার খুতবা চলাকালীন চুপ করে শুনতে হয়। এখন মুসল্লীরা কি ইমামের সাথে খুতবা চলাকালীন সেই তাকবীরে তাশরীক বলবে নাকি চুপ করে শুনবে?

২. জুম্মার খুতবা বা অন্যান্য খুতবায় রাসূল স. এর নাম আসলে কি দুরুদ পড়বে নাকি চুপ করে থাকবে?
৩. হজ্ব উমরার সময় যে হজে যায় অনেকে তাকে বলে রাসূল স. কে আমার সালাম জানিয়েন। প্রশ্ন হলো, রাসূল স. এর উপর দুরুদ পড়লে ফেরেশতা তার কাছে পৌঁছে দেয়। দূর সালাম দিলে কি তা পৌঁছায়? আর এইভাবে অন্যর মাধ্যমে সালাম পৌঁছানো কি শরীয়ত সমর্থন করে?

৪. সালাম জানায় কিভাবে রওযা মুবারকে গিয়ে সেই বাক্য টা যদি বলে দিতেন? অন্যের পক্ষ হয়ে রওযা মুবারকে গিয়ে কিভাবে সালাম দিবে?

৫. নবীজির উপর অনেক সময় সালাত ও সালাম পৌঁছানো হয়। সালাত পৌঁছানো বলতে কি বুঝায়?
৬. বিনা অযুতে সিজদা দিলে কি ঈমান চলে যায়? আর কেউ ভুলে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে ( জামাতের মাঝে অজু ভেঙ্গে গেছে তাই অভিনয় করার ক্ষেত্রে) বিনা অযুতে সিজদা দেয় তাহলে কি ঈমান চলে যাবে? আর কেউ ইচ্ছে করে দিলে?

৭. হতাশ হওয়া কবিরা গুনাহ শুনেছি এটা কি সঠিক? এখন কেউ কোনো কারণে হতাশ হলে তার কি কবিরা গুনাহ হবে? তওবা করার জন্য করণীয় কি? এবং তওবার উপর অটুট কিভাবে থাকবে যেহেতু জীবনের নানা পর্যায় এমন পরিস্থিতি হয় অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ে??
৮. কোনো ব্যাক্তির কি উচিত অন্য ব্যাক্তির নফল ইবাদত সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া? কেউ যদি নফল ইবাদত সম্পর্কে জানতে চায় তাহলে উত্তর সঠিক হ্যাঁ হইলে সেটা কি লুকানো ঠিক হবে নাকি হ্যাঁ বলে দিবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
হযরত  আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-
وَجَبَ الْإِنْصَاتُ فِي أَرْبَعَةِ مَوَاطِنَ: الْجُمُعَةِ،وَالْفِطْرِ،وَالْأَضْحَى، وَالِاسْتِسْقَاءِ.
চারটি স্থানে চুপ থাকা ওয়াজিব ; জুমা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা এবং ইসতিসকার খুতবার সময়। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ৫৬৪২)

★ঈদের খুতবা চলাকালীন উপস্থিত লোকদের জন্য সম্পূর্ণ চুপ থেকে খুতবা শোনা ওয়াজিব। তাই খুতবার সময় মুসল্লীগণ তাকবীর বলবে না; বরং চুপ থেকে খুতবা শুনবে। 

(বাদায়েউস সানায়ে ১/৬১৯ ফাতাওয়ায়ে শামি ১/৫৪৫।)

(০২)
চুপ করে থাকবে।

(০৩)
হ্যাঁ এইভাবে এইভাবে অন্যের মাধ্যমে সালাম পৌঁছানো  শরীয়ত সমর্থন করে।

(০৪)
যখন কেউ রসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ‘রওজা আকদাসে’ যাবে, তখন ওখানে দাঁড়িয়ে বলতে হবে, ‘আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা ইয়া রসুলাল্লাহ'

এরপর একটু ডানে অগ্রসর হলেই আবূ বকর রাদিআল্লাহু আনহু-এর কবর। তাকে সালাম দিবেন এবং তাঁর জন্য দোয়া করবেন। আর একটু ডানদিকে এগিয়ে গেলে দেখতে পাবেন উমর রাদিআল্লাহু আনহু-এর কবর। তাকেও সালাম দেবেন এবং তাঁর জন্য দোয়া করবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসহ উক্ত তিনজনকে আপনি এভাবেও সালাম দিতে পারেনঃ
اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَارَسُوْلَ اللهِ - اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا أَبَا بَكْرٍ - اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا عُُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশী না বলাই উত্তম। এরপর এ স্থান ত্যাগ করবেন।

★অন্যের পক্ষ হয়ে রওযা মুবারকে গিয়ে সালাম দেয়ার পদ্ধতিঃ


اَلسَّلاَمُ عَلَیْکَ یَا رَسُوْلَ اللّٰه ! فُلاَنُ بْنُ فُلاَنٍ یُسَلِّمُ عَلَیْکَ یَا رَسُوْلَ اللّٰہِ ۔
(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/২৬৫)

এখানে  فُلاَنُ بْنُ فُلاَنٍ যার পর পক্ষ থেকে সালাম পৌছাবেন,তার ও তার বাবার নাম নিতে হবে। 
প্রথমে ব্যাক্তির নাম,তার পর "বিন" উল্লেখ করে বাবার নাম উল্লেখ করতে হবে।

(০৫)
সালাত পৌঁছানো বলতে দরুদ পৌঁছানো বুঝায়।

(০৬)
ঠাট্রা করে এমনটি করলে ঈমান চলে যাবে।
নতুবা ঈমান চলে যাবেনা।
তবে মারাত্মক কবিরা গুনাহ হবে।

(০৭)
হতাশ হওয়া কবিরা গুনাহ নয়।

তওবা সংক্রান্ত জানুনঃ 

(০৮)
সে ব্যাক্তি জবাব দিতে অপছন্দ করলে তাকে এভাবে প্রশ্ন করা উচিত নয়।

অহংকার চলে আসার সম্ভাবনা হলে তাওরিয়াহ করতে পারবে।
এই ভাবে বলতে পারবে যে আমাকে দিয়ে নফল নামাজ হবে?
এই জাতীয় কিছু উত্তর দেয়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 223 views
...