আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
109 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (136 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম।

আমাদের জাতীয় পরীক্ষায় ব্যাবহারিক এ সাধারণত টাকা দেওয়া হয়না। আমাদের আগের ইয়ার এ লাগতো তাই এবারও লাগবে ভেবে আমাদের কিছু স্টুডেন্ট স্টাফ দের সামনে টাকা নিয়ে কথা তুলে ফেলে। এজন্য এখন ওরা টাকা চেয়ে বসেছে। এখন তাই আমাদের ক্লাসমেট টাকা দাওয়ার জন্য জোর করছে যে টাকা বের করে ফেলএছি এখন তো দিতে হবে। আমি কি করবো? এদিকে আমি একা না করলে একটা ঝামেলা লেগে যাবে আর আমি এভাবে অযথাই টাকা দাওয়া টা মানতে পারছিনা কোনো প্রয়োজন এ ছিলনা। ওরা বিষয় টা সামনে এনে এখন ঝামেলা করে ফেলেছে।

এখন টাকা দিয়ে ফেললে কি আমি হারাম এ লিপ্ত হয়ে যাবো? কি করবো পরামর্শ দিবেন।

2. ব্যাবহারিক পরীক্ষায় সবাই প্রশ্ন ফিক্স করে নিচ্ছে জাতীয় পরীক্ষা এটি। আমি নিজে যদি ফিক্স না করে সব পড়ে সততার সাথে এক্সাম ও দেই। আমার কাছে অঅন্যের ফিক্স করা প্রশ্ন আসলে সে যেহেতু ঐটাই ছাড়া আর কোনটা পড়ে আসেনি আমার কাছ থেকে আমার প্রশ্ন( যেটি ও ফিক্স করে নিয়েছে) অটি চ্যাবে এবং না দিলে অন্যরা যে যেটা ফিক্স করেছে সবার তাই উল্টাপ্লাতা হয়ে যাবে। পরীক্ষার হল এ একটা কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।ওই অল্প সময়ের মধ্যে। আমি কি করতে পারি?

3. এক্ষেত্রে আমি যদি আমার পরীক্ষায় ওরা কোন প্রশ্ন ফিক্স করেছে ওটা না খুঁজি, নিজের মতো করে সব পড়ে যাই এবং ওখানে যেয়ে ওরা যা ফিক্স করা করেছে ওদের ওদের মত থাকতে দিয়ে ওরা(ক্লাসমেট রা) আমাকে যেটা দেয় ফিক্স কারার পড়ে, ওইটা দিয়ে এক্সাম দেই আমার জন্য কি জায়েজ হবে? ওদেরকে এই বিষয়টি বললে কেউ গুরত্ব দিবেনা। যে ফিক্স করা উচিত হবেনা। দয়া করে জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/31470/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
ঘুষ কবিরা গুনাহ সমূহের একটি। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,

 ﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺷِﻲ ﻭَﺍﻟْﻤُﺮْﺗَﺸِﻲ .

অনুবাদঃ ঘুষ প্রদাণকারী ও গ্রহণকারী উভয়ের উপর রাসূলুল্লাহ সাঃ লা'নত দিয়েছেন। মুসনাদে আহমদ-৬৭৯১ সুনানে আবু-দাউদ-৩৫৮০ 

তবে একটি মাসয়ালা হলোঃ-  ঘুষ দেওয়া ব্যতীত যদি নিজ প্রাপ্য হক আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে এমতাবস্থায় ঘুষ দেয়া জায়েয।অন্যথায় ঘুষ দেয়া হারাম।তবে ঘুষ গ্রহণ করা সর্বাবস্থায়-ই নাজায়েয ও হারাম। প্রয়োজনে ঘুষ দেয়া জায়েয।

এ বিষয়ের উপর উলামায়ে কেরাম নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করে থাকেন। হযরত উমর ইবনে খাত্তাব রাযি থেকে বর্ণিত,

 ﻋﻦ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﺇِﻥَّ ﺃَﺣَﺪَﻫُﻢْ ﻟَﻴَﺴْﺄَﻟُﻨِﻲ ﺍﻟْﻤَﺴْﺄَﻟَﺔَ ﻓَﺄُﻋْﻄِﻴﻬَﺎ ﺇِﻳَّﺎﻩُ ﻓَﻴَﺨْﺮُﺝُ ﺑِﻬَﺎ ﻣُﺘَﺄَﺑِّﻄُﻬَﺎ ، ﻭَﻣَﺎ ﻫِﻲَ ﻟَﻬُﻢْ ﺇِﻻ ﻧَﺎﺭٌ ، ﻗَﺎﻝَ ﻋُﻤَﺮُ : ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، ﻓَﻠِﻢَ ﺗُﻌْﻄِﻴﻬِﻢْ ؟ ﻗَﺎﻝَ : ﺇِﻧَّﻬُﻢْ ﻳَﺄْﺑَﻮْﻥَ ﺇِﻻ ﺃَﻥْ ﻳَﺴْﺄَﻟُﻮﻧِﻲ ، ﻭَﻳَﺄْﺑَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻲ ﺍﻟْﺒُﺨْﻞَ ) 

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ আমার কাছে যাকাতের মাল থেকে কিছু দেওয়ার জন্য সুওয়াল করে।অতঃপর আমি তাকে কিছু দিয়ে দেই।তথা তার সুওয়াল আমার কাছ থেকে কিছু নিয়ে নেয়।তবে এই গ্রহণকৃত জিনিষ তাদের জন্য আগুনের মত।তখন উমর রাযি বললেন, হে রাসূলুল্লাহ! তাহলে আপনি কেন দেন?তারা আমারকে লেপ্টে ধরেছে।অথচ আল্লাহ আমাকে কৃপণতা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছন।মসনাদে আহমদ-১০৭৩৯ 

বিস্তারিত জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
কোনো যোগ্য ব্যাক্তি যদি  নিজ প্রাপ্য হক আদায়ের লক্ষ্যে ঘুষ দেয়,অবস্থা যদি এমন হয় যে ঘুষ না দিলে তার প্রাপ্য হক আদায় হবেনা,তাহলে  এমন অবস্থায় ঘুষ দেওয়া যাবে।
তবে ঘুষ গ্রহনকারীর জন্য তাহা গ্রহন হারামই থাকবে।

(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু  "ঘুষ না দিলে আপনার প্রাপ্য হক আদায় হবেনা"" এমন পর্যায়ে অবস্থা গড়ায়নি,তাই এমতাবস্থায় উক্ত টাকা প্রদান করাতে আপনার গুনাহ হবে।
তবে এটি বাধ্যতামূলক হলে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে দিতে পারবেন।

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে প্রশ্ন ফিক্সড না করে সব পড়ে সততার সাথে এক্সাম দিতে হবে।

নতুবা অন্যায় কাজ করা ও তাতে সহযোগিতার গুনাহ হবে। 

(০৩)
এটি যদি কর্তৃপক্ষের নিয়ম বহির্ভুত কোনো কাজ না হয়,তাহলে জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...