আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
101 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (22 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ।
আমার জাওযের ছোট ভাই আমার চেয়ে ছয় বছরের ছোট,কলেজে পড়ে। যেহেতু আমি নিকাব করি,গাইরে মাহরাম মেনে চলার চেষ্টা করি,পর্দায় থাকার চেষ্টা করি,তার সাথে কথা বলি না,শশুড়বাড়িতে বেড়াতে গেলেও। অনেক আগে,আমার আব্বুর বাসায় যখন শশুড় আব্বু,শাশুড়ি আম্মু আর সাহেবের ছোট ভাই আসতো,যেহেতু মেহমান সবাই অনেক জোরাজুরি করতো বলে মেহমানের রুমে গিয়ে নিকাব করে শুধু কেমন আছো,আর সালাম-এরপর চলে আসতাম কিংবা একবার খাবার নিয়ে যেতাম।  সচরাচর কোনো কথা হয়না,শশুড়বাড়ি গেলেও আমি আলাদা রুমে থাকি,খাবার আলাদা রুমেই দেয়া হয় আমাকে।তো,জাওযের ছোট ভাই একবার পরীক্ষা দেয়ার সময় আমার কাছে ফোন করে দুয়া চাইতে। কিন্তু আর কখনোই করেনাই। কথাও বলেনা। তখন আমি কল ধরিনি,নাম্বার সেভ করা আছে ফ্যামিলির সবার। জাওয সাহেব আমাকে বলেন কেন ধরিনি এবং জোর করে কল করান যে শুধু কথা বলে রেখে দাও।(বুঝিয়েছি বেশি বলা লাগবে না,একটু বলে কেটে দিতে)
এতে কি তিনি জুলুম করেছেন কি না,আর আমার এরকম পরিস্থিতিতে কি করা উচিত?

আমি বুঝছি না তিনি আমাকে কেন জোর করলেন। হতে পারে,ছোট ভাইয়ের জন্য মায়া যে কল দিলো ধরলামই না,নাহয় বাসার চাপ তার পরিবারের দ্বীনি বুঝ নাই। বিয়ের পর উনি কিছুটা এসেছেন দ্বীনে,আমার জোর বা নাসীহাহতে কিনা জানি না। আমি মনে মনে ভেঙে পড়েছি,প্রকাশ করতে পারি না। এই চিন্তায় যে আমার এতে গুনাহ হয় কিনা কথা বলায়।

আপনি মুফতি, শাইখ। অনেক বড় মানুষ,হয়তো আল্লাহর অনেক পছন্দের,খাস করে দুয়া চাই যেন আমার জাওযের ও আমার পরিবারের সদস্যরা হিদায়াতপ্রাপ্ত হয়,দ্বীনকে বুঝে। জাওযও যেন প্রকৃতভাবে দ্বীন পালন করে। নাহয়,আমার জন্য জুলুম হয়ে পড়ে একা দ্বীনের জন্য কষ্ট করা।

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "
তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দ্বীন শিখতে দ্বীনের মাসাঈল জানতে আমাদের এখানে প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার স্বামীর উচিৎ ছিল যে, এভাবে আপনাকে বাধ্য না করা।  যাইহোক, প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী জওযের ভাইয়ের সাথে জওযের উপস্থিতিতে কথা বলার জন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না। আল্লাহ আপনার স্বামীর পরিবারকে পরিপূর্ণ দ্বীন ইসলাম মানা ও বুঝার তাওফিক দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...