আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in সালাত(Prayer) by (102 points)
edited by
১) নামাজে দুই হাত দিয়ে কিছু করলে নামাজ ফাসিদ হয়।কিন্তু যদি দুই হাত শরীরের সাথে লাগা অবস্থাতেই নড়ানো হয় তাহলে কি নামাজ ফাসিদ হবে?মাঝে মাঝে হাত একটু উপরে বাঁধা হয়ে যায় তাই গায়ের সাথে লাগানো অবস্থাতেই সামান্য নিচে নামাই
আজও আসরের নামাযের বৈঠকে বসার সময় হাত একটু বেশি উপরে রেখে ফেলি।তাই দুই হাত রানের সাথে লাগা অবস্থাতেই হাত একটু নিচের দিকে নেই।এতে কি নামাজ হয়েছে?

২)হাত বাঁধা অবস্থায় কেউ যদি ছেড়ে দেয় ভুলে পুনরায় যদি হাত বাঁধে তাহলে নামাজ হবে?

৩)অন্য নামাজে বৈঠক থেকে উঠার সময় আল্লহু আকবার না বলেই হাত বেধে ফেলি।আমি জানতাম না যে এসময় আল্লহু আকবার না বললে ও নামাজ হয় কারণ এটি সুন্নত।তাই হাত ছেড়ে দিয়ে আল্লহু আকবার বলে পুনরায় হাত বাঁধি।এতে কি নামাজ হবে?

৪)নামাজে কীরাত শেষের দিকে অর্থাৎ শেষ আয়াতের একটু বাকি এমন সময় অনেকে তারাতারি করতে গিয়ে কীরাত পড়া অবস্থাতেই হাত ছেড়ে দেয় রুকুর জন্য।এতে কি নামাজ ভঙ্গ হবে?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/445 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
মুদ্দাকথা:
প্রথম চার প্রকারই 'আ'মলে কাছির' হওয়ার বেলায় গ্রহণযোগ্য।পঞ্চম প্রকার 'আ'মলে কাছির বলে ধর্তব্য হবে না।কেননা সব মানুষের অনুভূতি সমান নয়।কেউ একটা কাজকে 'আ'মলে কাছির' মনে করলে অন্যজন এটাকে 'আ'মলে ক্বালিল' মনে করবে।এক্ষেত্রে মতানৈক্য সৃষ্টি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থেকে যায়।যেমন,এক ইমামের পিছনে একি কাজে জড়িত মুসাল্লিদের মধ্য থেকে ঐ সমস্ত ব্যক্তিবর্গের নামায ফাসিদ হবে,যাদের ধারণা হবে যে,এটা 'আ'মলে কাছির'।আর ঐ সমস্ত মুসাল্লিদের নামায ফাসিদ হবে না যাদের ধারণা হবে যে, এটা 'আ'মলে ক্বালিল'।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী উপরোক্ত পরিস্থিতি অনুযায়ী নামায ফাসিদ হবে না।

(২)
হাত বাঁধা অবস্থায় কেউ যদি ছেড়ে দেয় ভুলে, অতঃপর পুনরায় যদি হাত বাঁধে তাহলে নামাজ ফাসিদ হবে না।

(৩)
জ্বী,  নামায হয়েছে।

(৪)
নামায ভঙ্গ হবে না।তবে এমনটা করা মাকরুহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...